Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন গতিময় তাসকিন


১২ জানুয়ারি ২০১৯ ১৫:০৭

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

তাসকিন মানেই তো গতিময় বোলিং। বলে গতির ঝড় তুলে প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইনআপ তছনছ করে দেয়াই যার জীবনে পরম আরাধ্য। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ক্যারিয়ারে শুরু থেকে টানা তিন বছর সেই কাজটি করেছেন নিপুন হাতেই। কিন্তু মাঝখানে আচমকা চোট হানা দেয়ায় তার বলের গতি অনেকটাই কমে গিয়েছিল। লেংথও খুঁজে পাচ্ছিলেন না। ফলে ২০১৮ সালের পুরোটাই থেকেছেন নিজের ছায়া হয়ে। চোট জর্জর শরীর কখনো তাকে ছিটকে দিয়েছ মাঠের বাইরেও।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু নতুন বছরে শুরুটা হয়েছে তার দারুণ। বল হাতে নেমে নিজেকে ফিরে পেয়েছেন। গেল ৯ জানুয়ারি বিপিএলে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে ১৪০ কিলোমিটার বেগে বল ছুঁড়ে তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। বলে গতিময় এই ধারা বিপিএল তো বটেই পুরো বছর জুড়ে অব্যাহত থাকবে বলে জানালেন এই ভাইকিংস স্পিড স্টার। সম্ভব হলে নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ও তার আছে।

তাসকিন জানালেন, ‘২০১৮ সালের দিকে পেস অনেকটা কমে গিয়েছিল পিঠের ব্যথার কারণে। তবে এখন প্রায় ১৪০ এর কাছাকাছি হচ্ছে আবারও। আশা করি সামনে আরও রিদম ভালো হবে। এটা সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসের ব্যাপার। ইনশাল্লাহ যদি সুস্থ থাকি তাহলে সামনে ভালো ইনিংস আসবে।’

গত ম্যাচে চার উইকেট পেয়েছেন, কি কি পরিবর্তন এসেছে বোলিংয়ে? সংবাদমাধ্যমের করা এমন প্রশ্নের জবাবে তাসকিন জানালেন, ‘আসলে আমি চেষ্টা করেছিলাম যে রকম উইকেট ছিল আমার কাছে ফিল হয়েছিল এবং আমাদের পরিকল্পনা ছিল হার্ড লেন্থে হিট করা। মানে উইকেট টু উইকেট বোলিং করা, ভেরিয়েশন করা। আমি আমার পরিকল্পনা ঠিক মতো কাজে লাগাতে পারায় হয়তো সাফল্য পেয়েছিলাম গত ম্যাচে।’

বিজ্ঞাপন

দেশের ক্রিকেটের খোঁজ খবর যারা কম বেশি রাখেন নিশ্চয়ই জানেন, মিরপুরের চাইতে চট্টগ্রাম ও সিলেটের উইকেট ফ্ল্যাট থাকায় সেখানে রানের ফোয়ারা ছুটবে। তাতে চ্যালেঞ্জটা বোলারদের জন্য বেশিই। আখেরে লাভ হয় কিন্তু ক্রিকেটেরই। টি-টোয়েন্টির নির্জাস পুরোটাই মেলে সেখানে। চার-ছক্কার বৃষ্টির রিনিঝিনি শব্দে মুখরিত হয় দেশের এই দুই ভেন্যু। ফলে দর্শকদের সরব উপস্থিতিতে মাঠগুলোও ভরে ওঠে কানায়।

দর্শকরাই তো মাঠের প্রাণ। মাঠে দর্শকদের করতালি, উল্লাস ক্রিকেটারদের প্রেরণার কারণ। স্বাগতিক হলে কখনো আবার চাপেরও। যেটা সিলেট পর্বে সিলেট সিক্সার্স মোকাবেলা করতে যাচ্ছে। কিন্তু তাসকিন বিষয়টিকে চাপ না ভেবে প্রেরণাই মানছেন, ‘হয়তো একটু বাড়তি প্রেরণাও দিতে পারে যেহেতু সিলেটের ফ্যানরা আসবে, সিলেটকে সাপোর্ট করবে। আশা করছি সিলেটের ফ্যানদের সিলেটে ভালো কিছু উপহার দিবো আমরা।’

তিনি আরও জানালেন, ‘আসলে বাংলাদেশে মিরপুর ছাড়া কিন্তু সিলেট, চিটাগাং সবগুলোতেই একটু ফ্ল্যাট ট্র্যাক থাকে। একটু ব্যাটিংয়ে সহায়তা বেশি থাকে। অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং হবে বোলারদের জন্য। তবুও ভালো এক্সিকিউশন করা, ভেরিয়েশন করা, ব্যাটসম্যানের থেকে এক ধাপ এগিয়ে থাকার চেষ্টা করলেই হয়তো বোলিংয়ে ভালো কিছু হবে। প্রত্যেকটি দলই অনেক ব্যালেন্সড। কাজটা সহজ হবে না, সবগুলো ম্যাচই কঠিন হবে।’

১৫-১৯ জানুয়ারি সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গড়াবে বিপিএল ষষ্ঠ আসরের সিলেট পর্ব।

সারাবাংলা/এমআরএফ/এমআরপি

তাসকিন বিপিএল ২০১৯

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর