সিলেটের কপালেই সব খরুচে বোলাররা
১৯ জানুয়ারি ২০১৯ ১৮:৩৪
।। স্পোর্টস ডেস্ক ।।
বিপিএলের চলতি আসরে গত ৯ জানুয়ারি চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে সিলেট সিক্সার্সের পেসার আল আমিন হোসেন ৪ ওভারে দিয়েছিলেন ৫৭ রান এবং থেকেছেন উইকেটশূন্য। শনিবার (১৯ জানুয়ারি) সিলেটের আরেক পেসার মেহেদি হাসান রানা মুক্তি দিলেন আল আমিনকে। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ৪ ওভারে কোনো উইকেট নিতে তো পারেননি, খরচ করেছেন সর্বোচ্চ ৫৭ রান।
তাতে সম্ভাব্য জয়টিও হাতছাড়া হয় সিলেটের। মেহেদি রানার শেষ ওভারে মাশরাফি-ফরহাদ রেজারা তুলে নেন ১৯ রান। জয়ের জন্য রংপুরের ইনিংসের শেষ ওভারে দরকার হয় মাত্র ৫ রান। মূলত রানার করা ইনিংসের ১৯তম ওভারে ১৯ রান তুলেই একরকম জয় নিশ্চিত করে রংপুর।
এর আগে চিটাগংয়ের বিপক্ষে আল আমিনের বাজে পারফর্ম খুব একটা ভাবায়নি সিলেটকে। কারণ, সেই ম্যাচের মধ্যদিয়ে প্রথম জয়ের মুখ দেখেছিল সিলেট সিক্সার্স। বিপিএলে এযাবৎকালে সবচেয়ে বেশি রান দেওয়ার রেকর্ড এখন আল আমিন-মেহেদি রানার দখলে। তারা ভেঙে দিয়েছেন বিগত আসরগুলোর রেকর্ডগুলো।
রেকর্ডটি যৌথভাবে ছিল লঙ্কান অফস্পিনিং অলরাউন্ডার দিলশান মুনাবিরা ও কামরুল ইসলাম রাব্বির দখলে। মুনাবিরা তিক্ত এই রেকর্ডটি করেছিলেন ২০১৫ সালে। ৪ ওভারে দিয়েছিলেন ৫৪ রান। কাকতালীয়ভাবে দলটি ছিল এই সিলেট এবং প্রতিপক্ষ চিটাগং ভাইকিংস। তবে তখন অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজির অধীনে থাকায় নাম ছিল সিলেট সুপার স্টারস। পঞ্চম বিপিএলে মুনাবিরাকে স্পর্শ করেন রাব্বি। অবিশ্বাস্য হলেও সেবারও দলের নাম সিলেট সিক্সার্স। তবে প্রতিপক্ষ ছিল রাজশাহী কিংস। ৪ ওভারে রাব্বি দিয়েছিলেন ৫৪ রান। এবারের আসরে আল আমিন আর মেহেদি রানাও তো খেলছেন সিলেটের দলেই!
তার তার আগের বছর অর্থাৎ ২০১৬ বিপিএলে খুলনা টাইটান্সের হয়ে রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৫৩ রান দিয়েছিলেন পেসার শফিউল ইসলাম।
সারাবাংলা/এমআরপি