জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন ফ্রাইলিঙ্ক
২২ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:০৪
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
চিটাগংয়ের ইনিংসের ১৭তম ওভারের কথা। জয়ের জন্য প্রয়োজন ২৬ রান। হাতে উইকেট ৫টি। বোলিংয়ে এলেন ঢাকা কাপ্তান সাকিব আল হাসান। ৬ বলে একটি রানও দিলেন না। উল্টো নাঈম হাসানকে ক্রিজ ছাড়া করলেন। তাতে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গেল ভাইকিংস শিবির। জয়ের পাল্লা হেলে গেল ঢাকার দিকে।
সাকিবের মেডেন উইকেটের ওই ওভারে প্রলুব্ধ হয়ে পরের ওভারে এসে ভীষণ হিসেবি এক ওভার ঢাকাকে উপহার দিলেন মোহর শেখ। মোমেন্টাম শতভাগ কাজে লাগিয়ে ডেথ ওভারে এসে রান দিলেন মোটে ৫টি। তার পরের ওভার তো আরও বিপজ্জনক। ১৯তম ওভারে রুবেল হোসেন এলে উইকেটে থিতু হওয়া মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও রান আউটের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন ব্যক্তিগত ৩৩ রানে।
তারপরেও হাল ছাড়েনি ভাইকিংস শিবির। বিশ্বাস ছিলো পারবে। যা তারা সত্যিই পেরেছে। ফ্রাইলিঙ্কের বিস্ফোরক ব্যাটে এক বল বাকি থাকতেই সাকিবদের দেয়া ১৪০ রানের লক্ষ্যটি ছুঁয়ে ফেললো।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সেকথাই শোনালেন ফিনিশার ফ্রাইলিঙ্ক, ‘অবশ্যই আমরা ভেবেছি পারব। সাকিবের ওভার শেষে কাজটা কিছুটা কঠিন হয়ে গিয়েছিল সত্যি। কিন্তু এটাও সত্যি আমরা ভালো ব্যাট করেছি। লক্ষ্যটা আমাদের থেকে কিছুটা দূরে ছিল। কিন্তু আমাদের সাধ্যের বাইরে ছিল না।’
আপনি ক্রিজে ছিলেন বলেই কী বিশ্বাসটি এতটা প্রবল ছিল? সংবাদ মাধ্যমের করা এমন প্রশ্নের জবাবে ফ্রাইলিঙ্ক জানালেন, ‘না, মোসাদ্দেকও ভালো ব্যাট করেছে। সে ওই ব্যাটিংটা না করলে হয়তো আমরা এখানে আসতে পারতাম না। সানজামুলও ভালো ব্যাটিং করেছে।’
ফ্রাইলিঙ্কের কথায় অনেকেই ভাবতে পারেন, সানজামুল তো মাত্র ২ রান করেছেন তাহলে ওর কথা এতটা ফলাও করে কেন বললেন তিনি? তাদের জন্য উত্তর হলো, শেষ ওভারের প্রথম বলটি সানজামুল মোকাবেলা করে ১ রান নিয়েই ফ্রাইলিঙ্ককে স্ট্রাইক দেন। আর ফ্রাইলিঙ্ক স্ট্রাইক পেয়েই রানের ঝড় তুলে চিটাগং ভাইকিংসকে নিয়ে গেলেন জয়ের বন্দরে। শেষ ওভারে ১৬ রান দরকার ছিল। তিন ছক্কায় ম্যাচের ভাগ্য ঘুরিয়ে দেন ফ্রাইলিঙ্ক।
সারাবাংলা/এমআরএফ/এমআরপি/আরএসও