দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সিরিজে সমতায় পাকিস্তান
২৭ জানুয়ারি ২০১৯ ২০:০৮
।। স্পোর্টস ডেস্ক ।।
ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ হেরেছিল স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে সিরিজের পরের দুই ম্যাচে দাপুটে জয়ে সিরিজে এগিয়ে গিয়েছিল প্রোটিয়ারা। তাতেই চতুর্থ ওয়ানডেতে জয় তুলেই সিরিজ জেতার সুযোগ ছিল তাদের। কিন্তু তা আর হলো কই!
রোববার (২৭ জানুয়ারি) সফরকারীদের বিপক্ষে ম্যাচ জিততেই মাঠে নেমেছিল ফাফ ডু প্লেসিসের দল। উল্টো এই ম্যাচে স্বাগতিকদের ৮ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে ২-২ এ সমতায় ফেরে সফরকারী পাকিস্তান।
সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ফেলুকায়ায়োকে বর্ণবাদী মন্তব্য করে চার ম্যাচের জন্য নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। তাই এই ম্যাচে তাকে পায়নি সফরকারীরা। তার বদলে এই ম্যাচে একাদশে জায়গা পান মোহাম্মদ রিজওয়ান। আর অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন শোয়েব মালিক।
জোহানেসবার্গে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান দলের অধিনায়কত্ব পাওয়া শোয়েব মালিক। তবে আগে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার হাশিম আমলা আর অধিনায়ক ডু প্লেসিস অর্ধশতক তুলে নিলেও বাকিরা তেমন কিছুই করতে পারেননি। তাতে ৪১ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রানেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩১.৩ ওভারে ২ উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান (১৬৮/২)।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম উইকেট জুটিতেই ৭০ রান তোলে দুই ওপেনার ইমাম উল হক ও ফখর জামান। তবে সেই জুটি ভেঙে দেন ইমরান তাহির। তার বলে ভ্যান ডের ডুসেনের হাতে ক্যাচে দিয়ে ফেরেন ফখর জামান। ফেরার আগে ৪৪ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন এই ওপেনার। এরপর বাবর আজমকে সঙ্গে করে এগুতে থাকেন ইমাম। তাতে ক্যারিয়ারের পঞ্চম অর্ধশতক তুলে নেন ২৩ বছর বয়সি এই ওপেনার।
শেষ দিকে ইমাম-বাবর জুটিতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যাতে পারতো পাকিস্তান। তবে দলীয় ১৬৪ রানে ইমাম আউট হওয়ায় কিছুটা সময় লেগেছে তাদের। আউট হওয়ার আগে ৯১ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৭১ রান করেন ইমাম। এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ানের বাউন্ডারিতে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত ৫৩ বলে ২ বাউন্ডারিতে ৪১ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন বাবর আজম।
প্রোটিয়াদের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন ইমরান তাহির ও ফেলুকায়ায়ো।
এর আগে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৮ রানেই ২ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর ওপেনার হাশিম আমলার সঙ্গে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। দু’জনের জুটি থেকে আসে ১০১ রান। তবে দলীয় ১১৯ রানে সেই জুটি ভেঙে দেন শাদাব খান। তার বলে মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৫৭ রানে ফেরেন ডু প্লেসিস। ৭৬ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় এই ইনিংসটি খেলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। এরপর দলীয় ১৩০ রানে ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৯ রান তুলে আউট হয়ে ফেরেন ওপেনার হাশিম আমলা। ফেরার আগে ৭৫ রানে ৭ চারে এই ইনিংসটি খেলেন তিনি।
এরপর উসমান শিনওয়ারির বোলিং তোপে বেশিদূর ইনিংস গড়ায়নি স্বাগতিকদের। ভ্যান ডের ডুসেন ১৮ ও ফেলুকায়ায়ো ১১ রান করলেও বাকি আর কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। তাতেই দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস থামে ১৬৪ রানে।
এক ওভারে ৩ উইকেটসহ মোট ৪টি উইকেট নিয়ে প্রোটিয়া ইনিংসে ধ্বস নামান শিনওয়ারি। এছাড়াও দুটি করে উইকেট নেন শাহীন শাহ আফ্রিদি ও শাদাব খান। আর ১টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ আমির ও ইমাদ ওয়াসিম।
সারাবাংলা/এসএন