রংপুর-কুমিল্লা-চিটাগংয়ের সঙ্গী হবে কে?
৩১ জানুয়ারি ২০১৯ ১১:২০
।। স্পোর্টস ডেস্ক ।।
ফাইনাল সহ এই বিপিএলে খেলা হবে মোট ৪৬টি ম্যাচ। এরই মধ্যে ম্যাচ সম্পন্ন হয়েছে ৩৮টি। ঢাকা-সিলেট-ঢাকা হয়ে বিপিএল চলে গিয়েছিল বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। আবারো বিপিএল ফিরে আসছে ঢাকায়। আগামীকাল থেকে মাঠে গড়াবে ঢাকা পর্বের শেষ ভাগ। ৮ ফেব্রুয়ারি ফাইনালের মধ্যদিয়ে পর্দা নামবে ষষ্ঠ বিপিএলের।
এলিমিনেটর পর্বের আগে টুর্নামেন্টে প্রতিটি দলই খেলার সুযোগ পাচ্ছে ১২টি করে ম্যাচ। একে অপরের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ পায় দুবার করে। এরই মধ্যে মেহেদি হাসান মিরাজের রাজশাহী কিংস তাদের ১২টি ম্যাচই খেলেছে। অন্যদের ম্যাচ বাকি থাকলেও টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের খুলনা টাইটান্স এবং ডেভিড ওয়ার্নার, সোহেল তানভীর, অলোক কাপালির নেতৃত্বে খেলতে নামা সিলেট সিক্সার্স।
১। রংপুর রাইডার্স: মাশরাফির নেতৃত্বে খেলতে নামা রংপুর রাইডার্স ১১ ম্যাচে ৭ জয় আর ৪ পরাজয়ে তুলেছে সর্বোচ্চ ১৪ পয়েন্ট। নেট রানরেট +০.৬৯০। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের এখনও এক ম্যাচ বাকি। তবে, গেইল-রুশো-ডি ভিলিয়ার্স-হেলসদের নিয়ে সাজানো রংপুর নিশ্চিত করেছে শেষ চার।
২। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে আছে তামিম-আফ্রিদি-ইমরুলদের কুমিল্লা। ১০ ম্যাচ খেলে ৭টি জয়, ৩টি পরাজয়ে দলটির সংগ্রহ রংপুরের সমান ১৪। নেট রানরেট +০.৪৯৫। এখানেই পিছিয়ে থেকে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে কুমিল্লা। তাদের হাতে ম্যাচ আছে আরও দুটি।
৩। চিটাগং ভাইকিংস: মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বে খেলা দলটি ৭ ম্যাচে ৬টি জয় নিয়ে নিজেদের মাঠে খেলতে গিয়েছিল। চট্টগ্রামে টানা তিন ম্যাচ হারে স্বাগতিকরা। সেখানে নিজেদের শেষ ম্যাচটিতে জয় তুলে নিয়ে এরই মধ্যে শেষ চার নিশ্চিত করেছে ভাইকিংস। ১১ ম্যাচে ৭টি জয়, ৪টি পরাজয়ে তাদের সংগ্রহ ১৪ পয়েন্ট। নেট রানরেট -০.১৮৭। রংপুর-কুমিল্লার সমান পয়েন্ট থাকলেও রানরেটে পিছিয়ে থেকে তিনে অবস্থান করছে চিটাগং। হাতে আছে আরও একটি ম্যাচ।
৪। রাজশাহী কিংস: মেহেদি হাসান মিরাজের দলটি পেয়ে গেছে জায়ান্ট কিলার খ্যাতি। পয়েন্ট টেবিলে চারে থাকলে শেষ চার নিশ্চিত নয় দলটির। পদ্মাপাড়ের দলটির হাতে আর কোনো ম্যাচ বাকি নেই। ১২ ম্যাচ খেলে ৬ জয়, ৬ পরাজয়ে তাদের সংগ্রহ ১২ পয়েন্ট, নেট রানরেট -০.৫১৮। রাজশাহীকে অপেক্ষা করতে হবে, চেয়ে থাকতে হবে ঢাকা ডায়নামাইটসের পরাজয়ের দিকে।
৫। ঢাকা ডায়নামাইটস: চলতি বিপিএলের শুরুতে উড়তে থাকা ঢাকা হঠাত করেই মাটিতে নেমে আসে। সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে খেলতে নামা গতবারের রানার্সআপ দলটি ১০ ম্যাচ খেলে ৫টি জয় আর ৫টি পরাজয়ে সংগ্রহ করেছে ১০ পয়েন্ট। টেবিলের পাঁচ নম্বরে থাকলেও সাকিবদের শেষ চারে খেলার আশা এখনও টিকে আছে। দলটির হাতে আছে এখনও দুটি ম্যাচ। এর একটি জিতলেই শেষ চারে উঠবে ডায়নামাইটসরা। সেক্ষেত্রে বিদায় নিতে হবে রাজশাহীকে। ঢাকার নেট রানরেট +০.৯৫৮, রাজশাহীর -০.৫১৮।
৬। সিলেট সিক্সার্স: বাঁচা-মরার ম্যাচে চট্টগ্রামে রাজশাহীর বিপক্ষে নেমেছিল সিলেট সিক্সার্স। বড় স্কোর গড়েও জিততে পারেনি দলটি। এবারের মতো বিপিএল থেকে বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে সিলেটের। ১১ ম্যাচে ৪ জয় আর ৭টি পরাজয়ে সাব্বির-নাসির-লিটন-তাসকিনদের সংগ্রহ ৮ পয়েন্ট। নেট রানরেট -০.০৬৭। আরও একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে সিলেট।
৭। খুলনা টাইটান্স: মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বে গোছানো দল হলেও টানা হারের ব্যর্থতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি খুলনা টাইটান্স। দলটি ১১ ম্যাচে মাত্র দুটি ম্যাচেই জিততে পেরেছে। ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের থলানিতে অবস্থান করছে খুলনা। নেট রানরেট -১.১৬৫। খুলনার হাতে আছে আরও একটি ম্যাচ, সেটি সাকিবের ঢাকার বিপক্ষে। বিপিএলের ইতিহাসে প্রথম সুপার ওভারের ম্যাচটিও খেলতে হয়েছে খুলনাকে, যেখানে চিটাগংয়ের বিপক্ষে হারতে হয়েছিল।
ছবি: শ্যামল নন্দী
সারাবাংলা/এমআরপি