দেশি ফুটবলাররা নাকি গোল পায় না?
১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২১:০০
জাহিদ-ই-হাসান, স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকাঃ বাংলাদেশের ফুটবলে বিদেশি ফুটবলারদের হাট বসেছে এবার। মানের ফুটবলারে গর্জে উঠছে স্থানীয় ফুটবলাররাও। এবার যেমন জর্জ গোটর-ড্যানিয়েল কলিনদ্রেসের মতো উঁচু মানের ফুটবলাররা দেশের মাটিতে দাঁপাবে এটাই অনুমেয়। তবে, সবশেষ স্বাধীনতা কাপ ও চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে (বিপিএল) দেশি ফুটবলাররা বুঝিয়ে দিয়েছে তারাও ‘সেরা’ হতে প্রতিজ্ঞবদ্ধ।
চলমান ঘরোয়া ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদার আসর বিপিএল এগারতম আসরের ম্যাচগুলো খোলা চোখে বিশ্লেষণ করলেই পাওয়া যায় বিদেশিদের ভিড়ে দেশিদের দাপটের চিত্র।
এবার ঘরোয়া ফুটবলে এএফসির শর্তে ক্লাবগুলো অন্ততপক্ষে চারজন বিদেশি ফুটবলার দলে ভেড়িয়েছে। ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরের ১৩ টি ক্লাব ২১ দেশের মোট ৫১ বিদেশি ফুটবলার নিয়ে এসেছে। নোফেল স্পোর্টি ছাড়া প্রত্যেক দলের চারজন করে বিদেশি ফুটবলার। বেশিরভাগ ক্লাবই স্টাইকার ও মিডফিল্ডার পজিশনে বেশি বিদেশি ফুটবলার নিয়েছে।
বিশ্বকাপ খেলুড়ে দেশ ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, স্পেন, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, আইভরিকোস্ট, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, পানামা, ক্যামেরুনের মতো দেশ থেকে ক্লাবগুলো আমদানি করেছে বিদেশি ফুটবলার। তাদেরই দাপট থাকা অনুমেয়।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের তৃতীয় রাউন্ডের খেলা শেষ হয়েছে। শনিবার থেকে চতুর্থ রাউন্ডের খেলা। ১৮ ম্যাচের পরিসংখ্যান, মোটামুটি সমান তালেই চলছে দেশি ও বিদেশি ফুটবলাররা। মোট হওয়া ৩৮টি গোলের মধ্যে ১৪টির মালিক স্থানীয় খেলোয়াড়েরা। এতে বিদেশিরা কিছুটা এগিয়ে থাকলেও হ্যাটট্রিকে সমান দেশী-বিদেশীরা। মুক্তিযোদ্ধার আইভরিকোস্টের বাল্লো ফামৌসো ও আরামবাগের জাহিদ হোসেন করেছেন হ্যাটট্রিক। জাহিদের তিন গোল ছিল ময়মনসিংহ মাঠে মোহামেডানের বিপেক্ষ। আর শেখ জামালের বিপক্ষে গোপালগঞ্জে হ্যাটট্রিক করেন ফামোসা।
‘দেশি ফুটবলাররা গোল পায় না’ এমন তথাকথিত সমালোচনার জবাব হয়তো দেশিরাই দিচ্ছেন প্রতি ম্যাচে। দেশের ফুটবলের মান বেড়েছে অনিবার্যভাবে। সেখানে দেশিরাই দাপট দেখিয়েছে নিশ্চিতভাবে। যেটা হচ্ছে না সেটা হলো এদের নিয়মিতকরণ ও সুযোগ। সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ও ক্লাবগুলোর।
সারাবাংলা/জেএইচ