প্লে অফের আগে ব্যাটে-বলে এগিয়ে যারা
৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৩:৪৩
।। স্পোর্টস ডেস্ক ।।
শেষ হয়েছে বিপিএলের ষষ্ঠ আসরের প্রথম পর্ব। এই পর্বের সেরা চারে থেকে প্লে অফে জায়গা করে নিয়েছে রংপুর রাইডার্স, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, চিটাগং ভাইকিংস ও ঢাকা ডায়নামাইটস।
সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) শুরু হচ্ছে আসরের প্লে অফ। প্রথম দিনে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি হবে লিগ টেবিলের তিনে থেকে প্রথম পর্ব শেষ করা চিটাগং ভাইকিংস ও চারে থাকা ঢাকা ডায়নামাইটস। একই দিনে প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষে লড়বে টেবিলের দুইয়ে থেকে প্রথম পর্ব শেষ করা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে।
এরপর ৬ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) আসরের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে মাঠে নামবে এলিমিনেটর ম্যাচে জয়ী দল ও কোয়ালিফায়ার ম্যাচে হেরে যাওয়া দল। এই ম্যাচটিও শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে। সবকটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
চলতি আসরের মোট ৪৬ ম্যাচের মধ্যে আরও চারটি ম্যাচ বাকি। প্রথম পর্বের মোট ৪২টি ম্যাচ শেষ। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এখন পর্যন্ত ব্যাটে-বলে কারা এগিয়ে।
সর্বোচ্চ রান
১। রিলে রুশো (রংপুর রাইডার্স) : ১২ ম্যাচে ৫১৪ রান, ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১০০, শতক ১টি ও ফিফটি ৫টি। যেখানে ৪৫টি চার ও ২২টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি।
২। মুশফিকুর রহিম (চিটাগং ভাইকিংস) : ১২ ম্যাচে ৪১৮ রান, ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৭৫, ফিফটি ৩টি। যেখানে ৩৫টি চার ও ১৮টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি।
৩। নিকোলাস পুরান (সিলেট সিক্সার্স) : ১১ ম্যাচে ৩৭৯ রান, ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৭৬, ফিফটি ৩টি। যেখানে ২৭টি চার ও ২৮টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি।
৪। লরি ইভান্স (রাজশাহী কিংস) : ১১ ম্যাচে ৩৩৯ রান, ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১০৪, শতক ১টি ও ফিফটি ২টি। যেখানে ৩৭টি চার ও ১০টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি।
৫। তামিম ইকবাল (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স) : ১২ ম্যাচে ৩০৯ রান, ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৭৩, ফিফটি ২টি, যেখানে ৩০টি চার ও ১১টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি।
চলতি আসরের একটি করে শতক তুলে নিয়েছেন পাঁচ ব্যাটসম্যান। এরপর মধ্যে রংপুর রাইডার্সেরই তিন ব্যাটসম্যান শতকের স্বাদ নিয়েছেন।
শতক পাওয়া পাঁচ ব্যাটসম্যান:
এভিন লুইস (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স)- ৪৯ বলে ১০৯ রান।
লরি ইভান্স (রাজশাহী কিংস) – ৬২ বলে ১০৪ রান।
রিলে রুশো (রংপুর রাইডার্স) – ৫১ বলে ১০০ রান।
এবি ডি ভিলিয়ার্স (রংপুর রাইডার্স) – ৫০ বলে ১০০ রান।
অ্যালেক্স হেলস (রংপুর রাইডার্স) ৪৮ বলে ১০০ রান।
সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ :
রংপুর রাইডার্স : ২৩৯/৪ (২০ ওভার), রান রেট ১১.৯৫, প্রতিপক্ষ চিটাগং ভাইকিংস- ২৫ জানুয়ারি-চট্টগ্রাম
সর্বোচ্চ উইকেট :
১। তাসকিন আহমেদ (সিলেট সিক্সার্স) : ১২ ম্যাচ ৩৭.১ ওভার, ৩১৮ রানের বিনিময়ে ২২টি উইকেট।
২। সাকিব আল হাসান (ঢাকা ডায়নামাইটস) : ১২ ম্যাচ ৪৪ ওভার, ৩২১ রানের বিনিময়ে ২১টি উইকেট।
৩। মাশরাফি বিন মর্তুজা (রংপুর রাইডার্স) : ১২ ম্যাচ ৪৭ ওভার, ৩১২ রানের বিনিময়ে ১৯টি উইকেট।
৪। আবু জায়েদ (চিটাগং ভাইকিংস) : ১২ ম্যাচ ৪৬ ওভার, ৩৯৩ রানের বিনিময়ে ১৮টি উইকেট।
৫। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স) : ১১ ম্যাচ ৩৮ ওভার, ২৭৬ রানের বিনিময়ে ১৭টি উইকেট।
সর্বোচ্চ ক্যাচ :
আফিফ হোসেন (সিলেট সিক্সার্স) – ৯টি,
সাব্বির রহমান – (সিলেট সিক্সার্স) ৯টি,
ডেভিড উইজ (খুলনা টাইটান্স) ৮টি,
লউরি ইভান্স – (রাজশাহী কিংস) ৮টি,
ফরহাদ রেজা – (রংপুর রাইডার্স) ৮টি।
সর্বোচ্চ রানের জুটি :
১৮৪- ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে রংপুর রাইডার্সের অ্যালেক্স হেলস ও এবি ডি ভিলিয়ার্স।
১৭৪ – চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে রংপুর রাইডার্সের অ্যালেক্স হেলস ও রিলে রুশো।
১৪৮- কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে রাজশাহী কিংসের লরি ইভান্স এবং রায়ান টেন ডেসকাটে।
১২১- ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে রংপুর রাইডার্সের রাইলি রুশো এবং মোহাম্মদ মিঠুন।
১১৬ – রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে ঢাকা ডায়নামাইটসের হজরতউল্লাহ জাজাই এবং সুনীল নারাইন।
সারাবাংলা/এসএন