তবুও গর্বিত মুশফিক
৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৯:২৭
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ডাকসাইটে কোনো প্লেয়ারের নাম দলে নেই। কি দেশি, কি বিদেশি। কাগজে কলমে তাই কোনোভাবেই চিটাগং ভাইকিংসেকে হেভিওয়েট দলের তকমা দেয়া যায় না। তারপরেও বিপিএল চলতি আসরের শেষ চারে জায়গা করে নেয়ায় গর্বিত চিটাগং ভাইকিংস দলপতি মুশফিকুর রহিম। সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান, ‘সবমিলিয়ে যেই দল ছিল ভাইকিংসের, সেই দিক থেকে এতদূর আসতে পেরেছি এটা অবশ্যই গর্বের।’
সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এলিমিনেটর ম্যাচে ঢাকা ডায়নাইমটসের বিপক্ষে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি একথা বলেন। এই ম্যাচটির আগে জায়ান্ট ঢাকার বিপক্ষে লিগ পর্বে আরো দু’বার খেলেছে মুশির চিটাগং। দু’বারই সাকিবের ঢাকাকে বিস্মৃতি উপহার দিয়েছে। তার পুনরাবৃত্তি এই ম্যাচেও হতে পারতো। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের অপরিনামদর্শীতা তা হতে দেয়নি বলে মত চট্টলা দলপতির।
এ সময় মুশফিক জানান, ‘একটা প্রতিযোগিতা হবে, সেটাই সবাই প্রত্যাশা করেছিলাম। উইকেট ভালো ছিল। আমরা ১৬০ রানের মতো করতে পারলেও ঢাকাকে চাপে রাখতে পারতাম। সেটা হয়নি। আর আমাদের উপরের সারির ব্যাটসম্যানদের সিলি কিছু ভুল হয়েছে। কিছু ব্যাটসম্যান উইকেটে সেট হয়েও আউট হয়েছে। এমন দলের বিপক্ষে এত ভুল করলে কঠিন হয়ে যায়। সেদিন থেকে হতাশার।’
এই ম্যাচ ৬ উইকেটের হারে একরাশ হতাশা মুশির মনে ভর করলেও লিগ পর্বের ম্যাচগুলোতে ব্যক্তিগত ও দলীয় পারফরম্যান্স তাকে উদ্বেলিত করে তুলছে। কেননা ব্যক্তিগত অর্জনের দিক থেকেও মুশফিকের অন্যতম সেরা বিপিএল এটি। চলতি আসরে ১৩ ম্যাচে করেছেন ৪২১ রান। স্থানীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। দেশি-বিদেশি মিলিয়ে অবস্থান দুই নম্বরে। ২২ গজে ব্যাট হাতে পারফরম্যান্সের বিচারে তাই তৃপ্তির ঢেকুর তিনি তুলতেই পারেন।
মুশফিক যোগ করেন, ‘পারফরম্যান্স নিয়ে আমার না, আপনাদের (সাংবাদিকদের প্রতি) বলা উচিত। আমি বেশি গবেষণা করি না। আমি শুধু চেষ্টা করি… অবশ্যই ইচ্ছা ছিল যে আজকের দিনটায় অবদান রাখতে যেন একটা ম্যাচ উইনিং ইনিংস খেলতে পারি। তবে আগের যে কোনো টুর্নামেন্টের চেয়ে একটু বেশি হ্যাপি। কিছু কিছু জায়গা অনেক কঠিন অবস্থার ছিল, যেখান থেকে বের হয়ে আসা এবং নিজের কাছেই নিজেকে প্রমাণ করার এই লেভেলে আমি পেরেছি। নিজের কাছে যেই যুদ্ধটা ছিল সেদিক থেকে একটু সন্তুষ্ট, তবে বেশি না।’
এই আসরের আগে বিপিএলের আরো ৫টি আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু কোনোটিতেই এতো তারকার উপস্থিতি দেখা যায়নি। স্মিথ, ওয়ার্নার, হেলস, ডি ভিলিয়ার্সের মতো ক্রিকেটাররা এবারের বিপিএল খেলেছেন। আছেন গেইল, পোলার্ড, আফ্রিদি, নারাইন, রুশো, রাসেল, ইয়ান বেল, ইমরান তাহির, লুক রাইটরাও। টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বসেরাদের উপস্থিতি টুর্নামেন্টকে করে তুলেছে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, যা আগের কোনো আসরেই দেখা যায়নি।
কাজেই বিগত ৫ আসর ছাপিয়ে এটিই মুশফিকের কাছে সেরা হয়ে ধরা দিয়েছে, ‘আগের যে কোনো বিপিএলের চেয়ে এটা অবশ্যই অনেক প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ হয়েছে এবং বড় মাপের ক্রিকেটারও এসেছে। তারা খেলেছে এবং উপভোগ করেছে। আমরা অনেক কিছু শেখার চেষ্টা করেছি তাদের কাছ থেকে। এটা অনেক বড় একটা অভিজ্ঞতা।’
সারাবাংলা/এমআরএফ/এমআরপি