এই দিনে ফুটবল দুনিয়ার ঘড়ির কাটা থমকে গিয়েছিল
৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:৫৫
।। মুশফিক পিয়াল, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর ।।
ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ঘরের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডকে বলা হয়, ফুটবলের থিয়েটার অব ড্রিম বা স্বপ্নমঞ্চ। যেখানে ফুটবলাররা স্বপ্ন দেখেন, পূরণও করেন। গ্রিক পুরান অনুযায়ী ধ্বংসস্তূপ থেকে ফিনিক্স পাখির জেগে ওঠার নতুন রূপায়ন যেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ৬১ বছর আগে এই দিনে মিউনিখ ট্র্যাজেডি দলটিকে ধাক্কা দিয়েছিল ঠিকই। কিন্তু ফেলে দিতে পারেনি, শোককে তারা পরিণত করেছে অপার এক শক্তিতে। আত্মপ্রকাশ করেছে ক্লাব ফুটবলের নতুন পরাশক্তি হিসেবে। ডানকান এডওয়ার্ডস-টমি টেইলর-ডেভিড পেগরা যেই স্বপ্ন দেখেছিলেন, নিজেরা না পারলেও, তা সত্যি হয়েছে ঠিকই। যুগে যুগে ব্রায়ান রবসন-ক্যান্টোনা-রয় কিন-বেকহ্যাম-গিগস-নেভিল-স্কোলস-রোনালদো কিংবা রুনিরা ট্রফি জিতেছেন আর ওপার থেকে হেসেছে ‘বাসবি বেবস’রা।
হঠাৎ করে কেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কথা উঠলো? কারণ, মিউনিখ বিমান দুর্ঘটনা সংঘঠিত হয়েছিল ১৯৫৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি, ৬১ বছর আগে এই দিনে। যেদিন ব্রিটিশ ইউরোপীয়ান এয়ারওয়েজ ফ্লাইট ৬০৯ বরফে ঢাকা জার্মানির মিউনিখ-রিয়েম এয়ারপোর্টের রানওয়ে থেকে তৃতীয়বারের মতো উড্ডয়নের চেষ্টা করার সময় ভূপাতিত হয়। বিমানের যাত্রী ছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফুটবল দল, আদর করে যাদের ডাকা হতো বাসবি বেবস নামে। সেই বিমানে আরও ছিলেন ক্রীড়া সাংবাদিক, সমর্থক, এজেন্ট, তাদের পরিবার এবং অন্য কিছু যাত্রী। মোট যাত্রী ছিলেন ৪৪ জন, যার ২৩ জন এই বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ৮ খেলোয়াড়সহ সেই দুর্ঘটনায় মারা যান ক্লাবটির আরও তিন সাপোর্ট স্টাফ। ফুটবল দুনিয়ার ঘড়ির কাটা তখন থমকে দাঁড়িয়েছিল।
১৯৫৫ সাল থেকে ইউরোপীয়ান কাপ শুরু হয়। ইউরোপীয়ান কাপ, যার আজকের রূপ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। শুরু থেকেই ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ইংল্যান্ডের ক্লাবগুলোকে খেলতে বাধা দেয় ‘ইংলিশ ফুটবলের স্বার্থে’। কিন্তু অনেকটা জোর করেই স্যার ম্যাট বাসবির অধীনে ইউরোপীয়ান কাপে প্রথম ইংলিশ ক্লাব হিসেবে অংশগ্রহণ করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। দলটি ১৯৫৬-৫৭ মৌসুমের ইউরোপীয়ান কাপে প্রথম অংশ নেয়। সেবার তারা সেমি ফাইনালেও খেলেছিল। স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে হেরেছিল বটে, কিন্তু ১৯৫৭-৫৮ মৌসুমের অন্যতম আলোচিত দল ছিল তারা। তখন ঘরোয়া লিগের খেলাগুলো শনিবারে এবং ইউরোপীয়ান খেলাগুলো সপ্তাহের মধ্যভাগে অনুষ্ঠিত হতো। তাই বিমানযোগে যাতায়াত ঝুঁকিপূর্ণ হলেও লিগ সময়সূচি অক্ষুন্ন রাখতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হাতে অন্য বিকল্প ছিল না।
সেবার ইউরোপীয়ান কাপে যুগোস্লাভিয়ার দল রেড স্টার বেলগ্রেডের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলার জন্য একটি বিমান ভাড়া করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ফিরতি লেগের ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হয় এবং ইউনাইটেড দুই লেগে ৫-৪ অ্যাগ্রিগেটে এগিয়েও যায়। যুগোস্লাভিয়া থেকে সুখস্মৃতি নিয়ে ফেরার সময় জনি বেরি নিজের পাসপোর্ট হারিয়ে ফেলেন। বিমান ছাড়তে দেরি হয়। প্রায় এক ঘণ্টা পর বিমানটি আকাশে ডানা মেলে। সুখস্মৃতি খুব অল্প সময়ের মধ্যে এভাবেই আকাশে হারিয়ে যাওয়া দুঃস্মৃতিতে পরিণত হবে সেটা কেউ কল্পনাও করেনি।
নন স্টপ ফ্লাইট হলেও তেল নেওয়ার জন্য যাত্রা বিরতি করেছিল বিমানটি। ফ্লাইটটি পরিচালনার দায়িত্ব ছিল ব্রিটিশ ইউরোপীয়ান এয়ারওয়েজের এলিজাবেথীয় শ্রেণীর এয়ারস্পীড অ্যাম্বাসেডর চার্টার বিমান জি-এএলজেডইউ (G-ALZU)। জার্মানির মিউনিখে তেল নেয়ার জন্য থামে ৪৪ যাত্রী নিয়ে উড়ে আসা বিমানটি। বিমানের পাইলট ক্যাপ্টেন জেমস থেইন দুইবার উড্ডয়নের চেষ্টা করেন, কিন্তু ইঞ্জিনের সমস্যার কারণে দুইবারের চেষ্টাই ব্যর্থ হয়। দুপুর দুইটা উনিশ মিনিটে মিউনিখ থেকে ম্যানচেস্টারে যাবার জন্য কন্ট্রোল টাওয়ারের অনুমতি পায় প্লেনটি। বরফাচ্ছন্ন রানওয়েতে যাত্রা শুরু করলেও ক্যাপ্টেন থেইন বাম ইঞ্জিনে কিছু সমস্যা লক্ষ্য করায় টেকঅফ বাতিল করেন। তিন মিনিট পর দ্বিতীয় চেষ্টাতেও যখন সমস্যা দেখা দেয় তখন আবারো বাতিল করেন টেকঅফ। দ্বিতীয়বার বাতিলের পর প্লেনের যাত্রীরা বিমানবন্দরের লাউঞ্জে চলে যান। এক সময় এমন মনে হয় সেদিন হয়তো আর যাওয়াই হবে না। বিকাল ৩টা ৪মিনিটে আরেকবার বিমান আকাশে তোলার চেষ্টা করেন থেইন। হ্যাঁ, কাজ হয়েছিল। বিমানটি প্রচণ্ড গর্জন তুলে আকাশে উড়েছিল। কিন্তু, আকাশে উড়ার জন্য যথেষ্ট উচ্চতায় পৌঁছাতে পারেনি। থেইনের মনে যে শঙ্কা জেগেছিল সেটি বিমানের মতো উড়িয়ে দিতে চাননি, হয়তো নিজের স্ত্রী আর মেয়ের কথা মনে পড়েছিল। তাই বিমানটি আবারো মাটিতে নামিয়ে আনার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন থেইন। কিন্তু, ভাগ্যদেবী তার চেষ্টাকে সফল হতে দেয়নি।
মুহূর্তেই বিমানটি আছড়ে পড়ে। দুর্ঘটনায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাতজন খেলোয়াড় ঘটনাস্থলেই মারা যান। ২১ ফেব্রুয়ারি মারা যান ডানকান এডওয়ার্ডস। পঙ্গু হয়ে যাওয়ায় বাকি দুজন খেলোয়াড় অবসর নিতে বাধ্য হন। এমন অবস্থায় ক্লাবটিকে বন্ধ করে দেওয়ার আলোচনাও হয়েছিল। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের উত্থানের গল্পটা শুরু সেখান থেকেই। মিউনিখ ট্র্যাজেডির পর, দল গড়া নিয়েই শঙ্কায় ছিল ক্লাবটি। কিন্তু তারা পাশে পেয়েছে বিশ্বব্যাপী কোটি সমর্থক এমনকি প্রতিপক্ষ ক্লাবগুলোকেও। ইউনাইটেডের কোচ জেমস মারফি ম্যানেজারের দায়িত্ব নেন এবং যুব দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে দলটি কোনমতে ১৯৫৭-৫৮ মৌসুমে লিগ শেষ করে। লিগের অবস্থা ভালো না গেলেও শোককে শক্তিতে পরিণত করে এফএ কাপের ফাইনালে পৌঁছায় দলটি, তবে যুব দলের খেলোয়াড়রা ফাইনালে ২–০ গোলে বোল্টন ওয়ান্ডারার্স কাছে হেরে যায়। দীর্ঘদিন হাসপাতালে থেকে পরের মৌসুমে বাসবি দলের ম্যানেজার হিসেবে প্রত্যাবর্তন করেন এবং শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় প্রজন্মের বাসবি বেবস তৈরি করেন। এ সময় দলে আসেন জর্জ বেস্ট ও ডেনিস ল এর মতো বিশ্ব কাঁপানো খেলোয়াড়রা, যারা দুর্ঘটনার এক দশক পর ১৯৬৮ সালে বেনফিকাকে হারিয়ে প্রথম ইউরোপীয়ান কাপ শিরোপা নিজেদের ঘরে তোলে। দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া ববি চার্লটন ও বিল ফোকস শিরোপা জেতা সেই দলের সদস্য ছিলেন। সেই দুর্ঘটনায় আহত হলেও, পরে ঠিকই মাঠে ফেরেন ববি চার্লটন। এরপর শুধু ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড না, জাতীয় দলের হয়ে নিজেকে নিয়ে যান অনন্য উচ্চতায়। তবে জনি বেরি যিনি পাসপোর্ট হারিয়ে বেলগ্রেডে বিমানটিকে প্রায় ১ ঘণ্টা দেরি করিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি আর কখনো ফুটবলের মাঠে নামেননি।
সেদিন গর্জন করতে করতেই বিমানটি এয়ারপোর্টের সীমানা প্রাচীরে আছড়ে পড়ে এবং একটি বাড়িতে ধাক্কা দেয়। তবে, সে সময় বাড়িটি খালি থাকায় হতাহতের সংখ্যা বাড়েনি। প্রথমে পাইলট থেইনের ভুলের কারণে বিমান দুর্ঘটনাটি হয়েছিল বলে মনে করা হলেও পরবর্তীকালে দেখা গেছে রানওয়ের শেষপ্রান্তে জমে থাকা তুষারের কারণেই এটি হয়েছিল। তুষারের কারণে বিমানটি উড্ডয়নের জন্য পর্যাপ্ত গতি পেতে ব্যর্থ হয়, যেটা একমাত্র থেইন ভালো বুঝেছিলেন। উড্ডয়নের শুরুতে বিমানটি ১১৭ নট গতি পেলেও তুষারের কারণে গতি কমে ১০৫ নটে নেমে আসে, যেটি বিমানটিকে আকাশে উঠানোর জন্য ছিল খুবই কম। ঘণ্টা প্রতি ১৭০ মাইল গতি হঠাৎ করে নেমে আসে ১০০ মাইলে। পাইলটদের হাতে সময় ছিল মাত্র কয়েক সেকেন্ড, কিন্তু কিছুই করতে পারেননি তারা। ছোট রানওয়েতে এয়ারস্পীড অ্যাম্বাসেডর G-ALZU এর উড্ডয়ন বাতিল করার মতো পর্যাপ্ত সময়ও ছিল না থেইনের হাতে। নাক-উঁচু স্বভাবের পশ্চিম জার্মানির কর্তৃপক্ষ ক্যাপ্টেন থেইনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। তারা দাবি করে মেজর পাইলট থেইন বিমানের ডানাগুলোকে পর্যাপ্ত ডি-আইসিং না করেই উড্ডয়নের চেষ্টা করেছেন। কোনো এক অজানা কারণে জার্মান তদন্ত কমিটি সাক্ষীদের হাজির না করেই থেইনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
সিডিউল জটিলতা দেখা দেওয়ার আশঙ্কায় আর প্রিয় দলের লিগ ম্যাচের সূচি থাকায় যে পাইলট এমন ঝুঁকি নিয়েছিলেন, সেই থেইনের বিরুদ্ধে এই মামলা ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত চলেছে এবং শেষ পর্যন্ত তাকে অভিযোগ থেকে নিস্কৃতিও দেয়া হয়। জার্মান তদন্তকারীদের দৃষ্টিতে দোষী ছিলেন দুই পাইলট। কো-পাইলট হিসেবে থেইনের সাথে ছিলেন রেমেন্ট। তারা দু’জনই রয়্যাল এয়ার ফোর্সের পাইলট হিসেবে কাজ করেছেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। তাদের মধ্যে রেমেন্ট মারা যাওয়াতে সন্দেহের সব তীর এসে লাগে থেইনের গায়ে। সবদিক থেকে অপমানিত হতে থাকেন তিনি। ব্রিটিশ ইউরোপীয়ান অ্যাসোসিয়েশন দুর্ঘটনার পর থেইনকে বরখাস্ত করে। পাইলটের চাকরি হারান, সামাজিক সম্মানও হারান। মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে তিনি ফিরে যান নিজের গ্রামে, শুরু করেন পোল্ট্রি ব্যবসা। মাত্র ৫৪ বছর বয়সে ১৯৭৫ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে থেইনের মেয়ে বলেছিলেন, ‘মিউনিখের দুর্ঘটনা শুধু ২৩ জন মানুষের জীবনই নেয়নি। সংখ্যাটিকে ২৪ করুন, বস্তুত আমার বাবাও সেদিনের দুর্ঘটনায় মারা যান।’
দুর্ঘটনায় যারা মারা যান:
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড খেলোয়াড়: জিওফ বেন্ট, রজার বার্ন, এডি কোলম্যান, ডানকান এডওয়ার্ডস, মার্ক জোনস, ডেভিড পেগ, টমি টেইলর, লিয়াম হোয়েলান। ওয়াল্টার ক্রিকমার-ক্লাব সচিব, বার্ট হোয়ালি-প্রধান কোচ এবং টম কারি-প্রশিক্ষক।
অ্যালফ ক্লার্ক – সাংবাদিক, ম্যানচেস্টার ইভনিং ক্রোনিকি
ডন ডেভিস – সাংবাদিক, ম্যানচেস্টার গার্ডিয়ান
জর্জ ফলোস – সাংবাদিক, ডেইলি হেরাল্ড
টম জ্যাকস্ন – সাংবাদিক, ম্যানচেস্টার ইভনিং নিউজ
আর্চি লেডব্রুক – সাংবাদিক, ডেইলি মিরর
হেনরি রোজ – সাংবাদিক, ডেইলি এক্সপ্রেস
এরিক থম্পসন – সাংবাদিক, ডেইলি মেইল
ফ্রাঙ্ক সুইফট – সাংবাদিক, নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড (সাবেক ইংল্যান্ড ও ম্যানচেস্টার সিটি গোলরক্ষক)
বেলা মিকলস – ট্রাভেল এজেন্ট
উইলি স্যাটিনফ – সমর্থক
টম ক্যাবল – স্টুয়ার্ডস
ক্যাপ্টেন কেনেথ “কেন” রেমেন্ট – ব্রিটিশ সহকারী-পাইলট। মি. রেমেন্ট দুর্ঘটনার পর একাধিক আঘাত পান এবং তিন সপ্তাহ শেষে মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ জনিত কারনে মারা যান। যে দুইজন ঘটনার পরে হাসপাতালে মারা গেছেন তাদের মধ্যে তিনি একজন। (অন্যজন ডানকান এডওয়ার্ডস)
দুর্ঘটনায় যারা বেঁচে গেছেন:
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড খেলোয়াড়: জনি বেরি, জ্যাকি ব্লাঞ্চফ্লাওয়ার, ডেনিস ভায়োলেট, রে উড, স্যার ববি চার্লটন, বিল ফোকেস, হ্যারি গ্রেগ (গোলরক্ষক), কেন মরগানস, অ্যালবার্ট স্ক্যানলন।
ম্যাট বাসবি – দলীয় ম্যানেজার
ফ্রাঙ্ক টেইলর – সাংবাদিক
জেমস থেইন – ক্যাপ্টেন
জর্জ (বিল) রজার্স – রেডিও কর্মকর্তা
পিটার হোয়ার্ড – চিত্রগ্রাহক
টেড এলিয়ার্ড – চিত্রগ্রাহক
মিসেস ভেরা লুকিচ ও শিশুকন্যা ভেনোনা – যাত্রী (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড খেলোয়াড় হ্যারি গ্রেগ তাদের বাঁচিয়েছেন)
মিসেস মিকলস – ট্রাভেল এজেন্ট বেলা মিকলসের স্ত্রী
মি. এন টমাসেভিচ – যাত্রী
রোজমেরি চেভার্টন – স্টুয়ার্ডস
মার্গারেট বেলিজ – স্টুয়ার্ডেস
বন্ধু, সহযোদ্ধাদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তারা ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন দেখেছিল। তরুণ দলটি দেখছিল, ইউরোপ জয়ের স্বপ্ন। কিন্তু অসময়েই ভেঙে যায় সেই স্বপ্ন। স্বপ্ন থাকবে, ফুটবল থাকবে, থাকবে আবেগ উদ্দামতা, আর এর মধ্যেই থেকে যাবে মিউনিখ দুর্ঘটনায় হারিয়ে যাওয়া তরুণ বাসবি বেবস যোদ্ধারা, যাদের ফুটবল দেবতা ভালোবেসে নিজের কাছে ডেকে নিয়েছেন। বেঁচে থাকবেন তারা, অমর হয়ে থাকবে মিউনিখ দুর্ঘটনার পর থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড দলের সমর্থকদের গলায় যা ধ্বনিত হয়ে আসছে…
A broken heart, a broken dream,
A broken plane, a broken team,
No words were said, a silent vow,
We loved you then, we love you now
Red flags will always fly,
Manchester United will never die…
Never to be forgotten … 6th February 1958
https://www.youtube.com/watch?v=BdWRO7up2kw
সারাবাংলা/এমআরপি