ভিক্টোরিয়ানস-ডায়নামাইটসের দ্বিতীয় শিরোপার মহারণ
৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:২২
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
বিপিএল ২০১৫-২০১৬ মৌসুমে নিজেদের প্রথম শিরোপা ঘরে তুলেছিলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। যদিও পরের আসরে নবাগত দলটি তা ধরে রাখতে পারেনি। পয়েন্ট টেবিলে পিছিয়ে থেকে লিগ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিলো। ফাইনালের মহারণে রাজশাহী কিংসকে ৫৬ রানে হারিয়ে নতুন নামে নিজেদের প্রথম শিরোপা ঘরে তোলে ঢাকা ডায়নামাইটস। এতে করে দু’দলেরই একবার করে শিরোপা জয়ের বুনো উল্লাস করার সুযোগ হয়েছে। এবারের আসরে যে দলটি জিতবে দ্বিতীয় শিরোপার মুকুট পড়বে।
বলার অপেক্ষা থাকছে না, সেই লক্ষ্যেই শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিপিএল ষষ্ঠ আসরের ফাইনালের মহারণে মুখোমুখি হবে ঢাকা ডায়নমাইটস ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টায়।
অথচ হাইভোল্টেজ এই ম্যাচটিকে সামনে রেখে ভিক্টোরিয়ানস দলে পরিকল্পনা কিংবা রণ কৌশলের বাড়াবাড়ি দেখা গেল না। বরং বেশ নির্ভারই মনে হলো ভিক্টোরিয়ানস দলপতি ইমরুল কায়েসকে। বিশ্বমানের চার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, আন্দ্রে রাসেল, সুনিল নারাইন ও কাইরন পোলার্ড দলে আছেন ঢাকায়। যে কোন মুহুর্তে ম্যাচের ভাগ্য ঘুরিয়ে দেওয়ার সক্ষমতায় তারা পরীক্ষীত সৈনিক। তবুও চাপ মুক্ত এই ভিক্টোরিয়ানস দলপতি।
কেনই বা থাকবেন না বলুন? তামিম ইকবাল, এভিন লুইস, শামসুর রহমান শুভ, থিসারা পেরেরা, শহীদ আফ্রিদি, ওয়াহাব রিয়াজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন ও মেহেদি হাসানেকে নিয়ে গড়া কুমিল্লার লাইন আপ। এই ঢাকাকেই লিগ পর্বের দুই ম্যাচে হারিয়ে দিয়েছে।
‘আমরা তাদের বিপক্ষে দুইটি ম্যাচ খেলেছি। আর এই দুই ম্যাচে কিন্তু চারটি অলরাউন্ডারই খেলিয়েছিলো তারা। আমাদের কাছে এই দুই ম্যাচেই তারা হেরেছে। সুতরাং আমরা অতিরিক্ত কোনও পরিকল্পনা বা চিন্তা করছি না। মাঠে গেলে পরিস্থিতি কি হয়, সেই পরিস্থিতিই বলে দেয় যে কিভাবে ফেস করতে হবে বা হ্যান্ডেল করতে হবে।’
‘আমাদের দলে অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছে। শহীদ আফ্রিদি আছে, সে জানে। সে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অনেক খেলেছে। আপনারা জানেন যে সে প্রথম থেকেই ভালো বোলিং করে আসছে। আমি আশা করি সে কালকেও তেমন একটি ভালো পারফরম্যান্স উপহার দিবে। আমরা আমাদের স্ট্রেন্থ (শক্তি) অনুযায়ী ঠিকমতো এক্সিকিউট করতে পারি ইনশাল্লাহ একটি ফলাফল আসার সম্ভাবনা আছে।’
ঢাকা দলেও সেই সম্ভাবনা প্রবল। একেতো ফাইনালের চাপ সামলাতে দলটি সিদ্ধহস্ত। আরো আছে লিগ পর্বে টানা ৫ ম্যাচ হেরে প্লে অফে ঘুড়ে দাঁড়ানোর তরতাজা সুখস্মৃতি। শুধু দরকার ম্যাচের দিন গোছালো খেলা উপহার দেয়া। তাতে দিক পাল্টে শিরোপা ঢাকা শিবিরে ধরা দেবে না তারই বা নিশ্চয়তা কি?
ঢাকা দলের তারকা পেসার রুবেল হোসেনও সেই ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন। ‘আমরা পরপর পাঁচটা ম্যাচ হেরে গিয়েছিলাম। মানসিকভাবে একটু ডাউন ছিলাম সবাই। খুব ভালোভাবে ফিরে আসতে পেরেছি। তো পরের ম্যাচটা আমরা সবাই যদি ভালো খেলতে পারি, তাহলে ভালো একটা রেজাল্ট আসবে।
সারাবাংলা/এমআরএফ/এসএন/আরএফ