Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিপিএলে ৬ সেঞ্চুরি, সিলেটে নেই, চট্টগ্রামেই চারটি


৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৭:৪০

।। স্পোর্টস ডেস্ক ।।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) মোট সেঞ্চুরি হয়েছে ১৮টি। এই আসরে হয়েছে সর্বোচ্চ ৬টি। আগের পাঁচ আসরে হয়েছে ১২টি। ২০১২ সালের প্রথম আসরে সেঞ্চুরি হয়েছিল চারটি, পরেরবার হয়েছিল তিনটি, ২০১৫ আসরে হয়েছিল একটি, গতবার সেঞ্চুরি হয় আরও চারটি। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৫টি সেঞ্চুরি করেছেন ক্যারিবীয়ান ওপেনার ক্রিস গেইল। আরেক ক্যারিবীয়ান ওপেনার এভিন লুইস সেঞ্চুরি করেছেন দুইবার।

একবার করে সেঞ্চুরি করেছেন আহমেদ শেহজাদ, ডোয়াইন স্মিথ, শাহরিয়ার নাফিস, মোহাম্মদ আশরাফুল, সাব্বির রহমান, জনসন চার্লস, লরি ইভান্স, অ্যালেক্স হেলস, রিলে রুশো এবং এবি ডি ভিলিয়ার্স। সবশেষ এই তালিকায় ঢুকেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের তামিম ইকবাল। এই আসরে সেঞ্চুরি পেয়েছেন রাজশাহী কিংসের ইংলিশ তারকা লরি ইভান্স, রংপুর রাইডার্সের ইংলিশ তারকা অ্যালেক্স হেলস, প্রোটিয়া তারকা রিলে রুশো, এবি ডি ভিলিয়ার্স এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ক্যারিবীয়ান তারকা এভিন লুইস, তামিম ইকবাল। এবার ঢাকার মাঠে সেঞ্চুরি হয়েছে দুইটি, সিলেট পর্বে কোনো সেঞ্চুরি হয়নি। বাকি চারটিই হয়েছে বন্দরনগরী চিটাগংয়ে।

২১ জানুয়ারি থেকে ২৮ জানুয়ারি এই আটদিনেই হয়েছে পাঁচটি সেঞ্চুরি। তার মধ্যে চার ব্যাটসম্যানই ছিলেন অপরাজিত। তবে, ম্যাচ ডের তিনদিনে হয়েছে এই পাঁচটি সেঞ্চুরি। ২১ জানুয়ারি রাজশাহী কিংসের লরি ইভান্স, ২৫ জানুয়ারি রংপুর রাইডার্সের অ্যালেক্স হেলস এবং রিলে রুশো একই ম্যাচে, ২৮ জানুয়ারি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের এভিন লুইস এবং একই দিন ভিন্ন ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের এবি ডি ভিলিয়ার্স সেঞ্চুরি হাঁকান। ৮ ফেব্রুয়ারি ফাইনালে কুমিল্লার ওপেনার তামিম ইকবাল সেঞ্চুরি হাঁকান। তিনিও অপরাজিত থাকেন। তার মানে ছয় সেঞ্চুরিয়ানের পাঁচজনই অপরাজিত ছিলেন।

এই আসরের সেঞ্চুরিয়ান:

১। লরি ইভান্স (রাজশাহী কিংস): গত ২১ জানুয়ারি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে এই বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান রাজশাহী কিংসের ইংলিশ তারকা লরি ইভান্স। মিরপুরের সেই ম্যাচে ইভান্স ৬২ বলে করেন অপরাজিত ১০৪ রান। তার ইনিংসে ছিল ৯টি চার আর ৬টি ছক্কা। স্ট্রাইকরেট ১৬৭.৭৪।

২। অ্যালেক্স হেলস (রংপুর রাইডার্স): এই আসরে বাকি সব সেঞ্চুরিয়ানরা অপরাজিত থাকলেও শুধু আউট হয়েছিলেন হেলস। ২৫ জানুয়ারি চিটাগংয়ের মাঠ জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে স্বাগতিক চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে ৪৮ বলে করেছিলেন ১০০ রান। তিন অঙ্ক ছুঁতে হেলস ১১টি চারের পাশাপাশি হাঁকিয়েছিলেন ৫টি ছক্কা। স্ট্রাইকরেট ছিল ২০৮.৩৩।

৩। রিলে রুশো (রংপুর রাইডার্স): অ্যালেক্স হেলসের সঙ্গে সেদিন সেঞ্চুরি করেছিলেন রিলে রুশো। প্রোটিয়া এই তারকা ব্যাটসম্যান ভাইকিংসের বিপক্ষে করেছিলেন অপরাজিত ১০০ রান। ২৫ জানুয়ারি জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ৫১ বলে সাজানো তার ইনিংসে ছিল ৮টি চার আর ৬টি ছক্কার মার। স্ট্রাইকরেট ছিল ১৯৬.০৭।

৪। এভিন লুইস (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স): ক্রিস গেইল বিপিএলের টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ৫টি সেঞ্চুরি করেন। একমাত্র লুইস ছাড়া আর কেউ একাধিক সেঞ্চুরির দেখা পাননি। এই ক্যারিবীয়ান ওপেনার এবার খেলতে নেমে শুরুতে চোটে পড়ে হাসপাতালেও গিয়েছিলেন। নিজেকে ফিট করে খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে ২৮ জানুয়ারি জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে নেমে ৪৯ বলে করেন অপরাজিত ১০৯ রান। ছিল ৫টি চারের পাশাপাশি ১০টি ছক্কার মার। স্ট্রাইকরেট ছিল ২২২.৪৪।

৫। এবি ডি ভিলিয়ার্স (রংপুর রাইডার্স): গত ২৮ জানুয়ারি আগের ম্যাচে চট্টগ্রামের দর্শকরা দেখেছিলেন কুমিল্লার এভিন লুইসের ঝড়ো সেঞ্চুরি। সেদিন পরের ম্যাচে দেখতে পেয়েছিল আরও একটি ঝড়ো সেঞ্চুরি, করেছিলেন মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি খ্যাত ডি ভিলিয়ার্স। এবারের বিপিএলে প্রথমবারের মতো খেলতে এসে দর্শকদের মন জয় করা রংপুর রাইডার্সের প্রোটিয়া এই তারকা সেঞ্চুরি করেন ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে। ৫০ বলে ১০০ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল ৮টি চার আর ৬টি ছক্কার মার। স্ট্রাইকরেট ছিল ২০০।

৬। তামিম ইকবাল (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স): এবারই প্রথমবার নিজের ক্যারিয়ারে বিপিএলের ফাইনালে খেলতে নেমেছিলেন তামিম ইকবাল। তাতেই চোখের পলকে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে তামিম দেখালেন অনন্য এক ঝলক। ফাইনালে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে ৫০ বলে তিন অঙ্কে পৌঁছানো তামিম ৬১ বলে ১৪১ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে অরপাজিত থাকেন। তার ইনিংসে ছিল ১০টি চার আর ১১টি ছক্কার মার। স্ট্রাইকরেট ছিল ২৩১.১৫।

সারাবাংলা/এমআরপি


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর