হাবিবুল বাশারের কাঠগড়ায় টপ অর্ডারের ব্যর্থতা
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৮:২৯
।। মহিবুর রহমান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
তাসমান সাগর পাড়ে কিউইদের ডানার প্রবল ঝাপটায় স্তব্ধ বাঘেদের গর্জন। দুই ওয়ানডের দুটিতেই স্রেফ উড়ে গেল লাল সবুজের দল। প্রথমটিতে ৮ উইকেটে হার। দ্বিতীয়টিতেও তাই। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ হারের গ্লানি টাইগার দলে। যার মূল কারণ হিসেবে দলের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদেরকেই দায়ী করলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের নির্বাচক ও সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন।
হাবিবুল বাশারের ভাষ্যমতে, আমাদের ব্যাটিং হচ্ছে না।
সারাবাংলার প্রশ্ন- বাংলাদেশ তো আর নতুন খেলছে না নিউজিল্যান্ডে?
টপ অর্ডার-মিডল অর্ডারের অধিকাংশই অভিজ্ঞ। এরপরেও কেন হচ্ছে না? টেকনিক্যাল কোন উত্তরে গেলেন না। সোজা সাপ্টা বললেন, ‘টপ অর্ডার ব্যর্থ হচ্ছে বলেই আমাদের এই অবস্থা। পক্ষান্তরে আপনি দেখেন তাদের (নিউজিল্যান্ড) টপ অর্ডারই কিন্তু ম্যাচ বের করে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সবাই জানে ওয়ানডেতে প্রথম ১০ ওভার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সিরিজে আমাদের ব্যাটসম্যানরা সম্ভবত সেটা ভুলে গেছে।’
ম্যাচের উইকেট পর্যবেক্ষণপূর্বক সারাবাংলার জিজ্ঞাসা, যে উইকেটে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড দেদার্চে রান তুলছে সেই উইকেটে সফরকারী দলের এত স্বল্প সংগ্রহ কতটা দুঃখজনক?
টাইগার নির্বাচকও সারাবাংলার সুরে সুর মেলালেন। ‘অবশ্যই দুঃখজনক। ভীষণ দুঃখজনক। কেননা যে উইকেটে খেলা হচ্ছে এটা ২৮০-২৯০ রানের উইকেট। অথচ আমরা ২৩০ রানও করতে পারছি না। এই রান করে ওখানে জেতা যাবে না।’
ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার সুস্পষ্ট প্রভাব পড়ছে বোলিং বিভাগেও। যে কোন ম্যাচে ন্যুনতম একটি ফাইটিং স্কোর না হলে আদতে বোলারদের কিছুই করার থাকে না। আত্মবিশ্বাসও থাকে ঘুনে ধরা। আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে এত স্বল্প সংগ্রহের পর দলকে জয় উপহার দেয়া বস্তুতই অসম্ভব। বলা বাহুল্যই হবে হালে ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির কোন কোন ম্যাচ দলীয় সংগ্রহ ২৪০ ও দেখা যায়। কাজেই এমন শোচনীয় হারে বোলারদের দোষ নিয়ে কোন লাভ নেই বলে সাফ জানিয়ে দিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সফল এই ওয়ানডে দলপতি।
‘বোলিং বিভাগকে দোষ দিয়ে কোন লাভ নেই। যে উইকেট সেখানে ২২০ রান করলে ওদের করার কিছু নেই। খুবই ভাল উইকেট। বোলিংকে আপাতত নির্বিষ মনে হচ্ছে ঠিক আছে। কিন্তু আমরা যদি ২৭০-২৮০ করতে পারি তাহলেই বোলাররা তাদের কাজ করতে পারবে।’
এবার আসুন দেখে নেই প্রথম দুই ওয়ানডেতে টাইগার টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স।
দ্বিতীয় ওয়ানডে (ক্রাইস্টচার্চ) : তামিম ইকবাল ৫, লিটন দাস ১, সৌম্য সরকার ২২, মুশফিকুর রহিম ২৪।
প্রথম ওয়ানডে (নেপিয়ার) : তামিম ইকবাল ৫, লিটন দাস ১, সৌম্য সরকার ৩০, মুশফিকুর রহিম ৫।
অথচ ব্যাটিংয়ে দলের টিউন সেট করার দায়িত্ব এই টপ অর্ডারদের কাঁধেই বর্তায়। দারুণ শুরু করে তারা দলকে একটি শক্ত গাঁথুনি দিয়ে যাবেন। মিডল ও লোয়ার মিডল অর্ডাররা সেই গাঁথুনির ওপর বড় সংগ্রহ এনে দিবেন।
সারাবাংলা/এমআরএফ/এসএন