এমবাপে তো ‘এ যুগের পেলে’
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৫:২৬
।। স্পোর্টস ডেস্ক ।।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের তরুণ স্ট্রাইকার কাইলিয়ান এমবাপেকে বলা হচ্ছে ‘এ যুগের পেলে’। শুধু শুধুই বলা হচ্ছে না, এর প্রমাণ তিনি দিয়েছেন। রাশিয়া বিশ্বকাপের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা এমবাপে নিজের খেলার স্টাইল আর মাঠের বাইরের স্টাইলে অনেকটাই পেলেকে ধারণ করছেন।
ফুটবলের ইতিহাসের সর্বকালের সেরা ফুটবলারের একজন পেলে। ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তির উত্তরসূরি হিসেবে অনেকের নাম বিভিন্ন সময়ে আসলেও কেউই তা ধরে রাখতে পারেননি। তবে ব্রাজিলের বাইরে থেকে সত্যিই এমন একজন এসেছেন। স্বয়ং পেলে জানিয়েছেন, তিনি ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী তারকা এমবাপের মধ্যে তার ছায়া দেখতে পান।
খেলোয়াড়ি জীবনে পেলে মাঠে যেমন ছিলেন দাপুটে, মাঠের বাইরেই ছিলেন ততটাই দাপুটে। ম্যাচের বাইরে মাঠের অনুশীলনে ছিলেন সবার থেকে আলাদা। এমনকি অনুশীলনে গোল করলেও তিনি সেটি নিজের খাতায় লিখে রাখতেন, যার জন্য তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল। এমবাপে ঠিক পেলেও মতোই হয়েছেন। অনুশীলনে তার করা সবকটি গোলের হিসেব রেখেছেন।
সদ্যই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মাঠে স্বাগতিকদের হারিয়ে এসেছে এমবাপের দল পিএসজি। উড়তে থাকা ইংলিশ ক্লাবটির বিপক্ষে গোলও করেছেন ফরাসি ক্লাবের মধ্যমনি এমবাপে। ফরাসি লিগ ওয়ানে দুর্দান্ত গতিতেই দলক টেনে নিয়ে চলেছেন তিনি। এরই মধ্যে চলমান লিগ ওয়ানে ২০ বছর বয়সী এমবাপে গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে। ১৭ ম্যাচে করেছেন সর্বোচ্চ ১৮ গোল। যেখানে ক্লাবের অনুশীলনে করেছেন ১০০ গোল। আর এই স্মৃতি ধরে রাখতে এমবাপে বিশেষভাবে পিএসজির একটি জার্সিও বানিয়েছিলেন। যেখানে জার্সিতে নম্বর লেখা ১০০। ঠিক যেন পেলের পথেই হাঁটছেন অনুশীলনের গোল গণনায়।
ব্রাজিলের কিংবদন্তি পেলের পর প্রথম টিনএজার হিসেবে বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচে একাধিক গোল করেন ফ্রান্সের তরুণ ফরোয়ার্ড এমবাপে। কাজান অ্যারেনায় রাশিয়া বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে ৪-৩ গোলে হারায় ফ্রান্স। ৬৪তম মিনিটে মিনিটে দারুণ গোলে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চার মিনিট পর কোনাকুনি শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন এমবাপে। ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে সুইডেনের বিপক্ষে ব্রাজিলের ৫-২ ব্যবধানে জেতা ম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন পেলে।
সারাবাংলা/এমআরপি