‘ক্যারিশম্যাটিক’ মাশরাফিকে ভুলে যাননি সুজন
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৮:৪৬
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটের গেল মৌসুমে দেখানো ‘মাশরাফি যাদু’ যেন আজও খালেদ মাহমুদ সুজনের চোখে লেগে আছে। আবাহনীর ডাগ আউট থেকে বেশ নিবিড়ভাবেই দেখেছেন অদ্বিতীয় অধিনায়কত্ব ও আক্রমণাত্মক বোলিং নৈপুণ্যে কী দুর্লভ এক একটি জয় তিনি দলকে এনে দিয়েছেন। আসন্ন মৌসুমে সেই মাশরাফিতেই ভরসা রাখছেন আবাহনীর নন্দিত এই হেড কোচ। তাকেই দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে অভিহিত করলেন সুজন।
ঢাকা লিগের গেল ২০১৭-১৮ মৌসুমে মাশরাফির নেতৃত্বে ১৬ ম্যাচের ১২টিতেই সাফল্য পেয়িছিল আবাহনী। আর বল হাতে আবাহনীর জার্সিতে সমান সংখ্যক ম্যাচে ৩৯ উইকেট শিকার করে গড়েন রেকর্ড। একটি ম্যাচে করেন হ্যাটট্রিক। ডিপিএলে ক্ষুরধার বোলিংয়ের ধারাবাহিতা ধরে রেখেছিলেন সদ্য সমাপ্ত বিপিএলেও। রংপুর রাইডার্সের জার্সি গায়ে ২২ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শিকারি তিনিই। কাজেই মাশরাফির বিকল্প যে শুধু তিনিই সেটা সুজন ভুলে যাননি।
রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে তিনি একথা বলেন, ‘মাশরাফি সবসময় প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক। সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়ার মতো দারুণ একটা ছেলে। তার নেতৃত্ব আবাহনী গতবারের চ্যাম্পিয়ন। এটা অবশ্যই মাশরাফির জন্য গুরুত্বপূর্ণ, একই সাথে আবাহনীর জন্যও।’
তবে এবারের লিগের শুরু থেকেই মাশরাফিকে পাচ্ছে না ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। নিউজিল্যান্ড সিরিজ শেষে দেশে ফিরে ১০ মার্চ পর্যন্ত বিশ্রামে থাকবেন লাল সবুজের ওয়ানডে দলপতি। লিগ মাঠে গড়াবে ১ মার্চ। নিউজিল্যান্ডে সিরিজ থাকায় মাশরাফির মতো জাতীয় দলের অনেকেই লিগের শুরু থেকে থাকতে পারছেন না।
১ মার্চের আগে ওয়ানডে সিরিজ শেষ হওয়ায় সাব্বির, শফিউল, লিটন দাস, সাইফউদ্দীন, রুবেল হোসেনকে পাওয়া গেলেও টেস্ট সিরিজ থাকায় মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, সৌম্যর মতো তারকাদের শুরু থেকে দেখা যাবে না।
তামিম ইকবালকে সম্ভবত এবারের আসরে দেখাই যাবে না। বিশ্বকাপ সামনে রেখে এই ওপেনার নিজের ফিটনেস নিয়ে কাজ করবেন বলে বিসিবি বরাবর আবেদন করেছেন। সাকিবকে পাওয়া নিয়েও যথেষ্টই সংশয় আছে। বিপিএল ফাইনালে বাঁহাতের তর্জণীতে পাওয়া চোটে ইতোমধ্যেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন। টেস্ট সিরিজেও তাকে পাওয়া নিয়ে আছে শঙ্কা। কাজেই এবারের ঢাকা লিগ অনেকটাই বর্ণহীন থাকবে।
বিষয়টিকে ক্রিকেটীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই দেখছেন আবাহনী কোচ এবং এই জৌলুশহীনতার মাঝেও খুঁজছেন ইতিবাচকতা, ‘ভালো প্লেয়ার না খেললে তো একটু রং হারায়। এটা ক্রিকেটের অংশ। আপনাকে এটা মানতেই হবে। আমাদের মৌসুম তো খুব অল্প সময়ের। প্লেয়াররা নিউজিল্যান্ড থেকে আসার পর যদি লিগ শুরু করা হত তাহলে তো লিগ শেষ হবে না। এটা গুরুত্বপূর্ণ। সিসিডিএমের জন্যও সঠিক সময়। এটা সারা বিশ্বেই হয়। ইন্ডিয়ান প্লেয়াররা কয়টা তাদের রঞ্জি ট্রফি ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়? জৌলুস কমলেও আমি মনে করি নতুন কিছু প্লেয়াররা সুযোগ পাবে, এটাও একটা বড় দিক। যারা সুযোগ পাচ্ছে তাদের জন্য নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগ।’
১ মার্চ থেকে শুরু হওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুমকে সামনে রেখে সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর স্থাণীয় একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে প্লেয়ার্স ড্রাফট।
সারাবাংলা/এমআরএফ/এমআরপি