Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রথম ম্যাচের ১০০ বছর পর একই ব্যবধানে জয়


১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৬:৩৫

।। মুশফিক পিয়াল, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর ।।

টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ইংল্যান্ডের সাথে যুগ্মভাবে বিশ্বের প্রাচীনতম দল হিসেবে পরিচিতি রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। ১৮৭৭ সালে দলটি সর্বপ্রথম টেস্ট ক্রিকেটে অংশ নেয়। এছাড়া, ক্যাঙ্গারুর দেশ অস্ট্রেলিয়া ১৯৭০-৭১ মৌসুমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই সর্বপ্রথম ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিল। আর ২০০৪-০৫ মৌসুমে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো নেমেছিল টি-টোয়েন্টির আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। তিন ফরম্যাটেই অস্ট্রেলিয়া তাদের অভিষেক ম্যাচে জিতেছে।

বিজ্ঞাপন

১৮৭৭ সালে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে অংশ নিয়েছিল ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া। টেস্টের ইতিহাসে সেটিই ছিল আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত প্রথম টেস্ট ম্যাচ। সে বছরের মার্চের ১৫ তারিখ শুরু হয়েছিল ম্যাচটি। শেষ হয় ১৯ মার্চ। ম্যাচটি শেষ হওয়ার কোনো সুনির্দিষ্ট তারিখা বা সময় ছিল না। তখন যতদিন ইচ্ছে ম্যাচটি গড়ানোর নিয়ম ছিল। কিন্তু, চারদিনেই ম্যাচটির নিষ্পত্তি হয়। যদিও ম্যাচের তারিখ বলছে পাঁচদিন। তখন তিন দিন খেলার পর ছিল রেস্ট ডে (বিশ্রামের দিন)। আর ম্যাচে ওভার প্রতি বল হতো ৪টি।

১৮৭৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত প্রথম টেস্ট ম্যাচটি হয়েছিল স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মধ্যে অনুষ্ঠিত ঐ ম্যাচে ৪৫ রানে জয় পেয়েছিল অজিরা। টেস্ট ক্রিকেটের ১০০ বছর পূর্তিতে মেলবোর্নে এই দুই দলের একটি টেস্ট আয়োজন করা হয়। ১৯৭৭ সালের ১২ মার্চ সেই ম্যাচটি শুরু হয়। ম্যাচটি শেষ হয়েছিল ১৭ মার্চ। ইতিহাসের প্রথম ম্যাচের মতো অবশ্য যতদিন ইচ্ছে এই ম্যাচ খেলার নিয়ম ছিল না। ১০০ বছর পূর্তির এই ম্যাচটিতে দিনক্ষণের বাধ্যবাধকতা ছিল (৫ দিন)। তবে, ১০০ বছর আগের মতো ছিল ম্যাচ শুরুর তিন দিন পর ছিল রেস্ট ডে। পঞ্চম ও ষষ্ঠ দিন আবারো মাঠে বল গড়ায়। ইতিহাসের প্রথম টেস্টে ওভার প্রতি চারটি করে বল হলেও ১০০ বছর পর এই ম্যাচে ওভার প্রতি হয়েছিল ৮টি করে বল। ইতিহাসের প্রথম টেস্টের মতো অস্ট্রেলিয়া সফরকারী ইংল্যান্ডকে ৪৫ রানের একই ব্যবধানে পরাজিত করেছিল। দুই দলের ১০০ বছর পূর্তির এই ম্যাচটি আবার টেস্ট ইতিহাসের ছিল ৮০০তম ম্যাচ। তার মানে ১০০ বছরে বিশ্বজুড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত টেস্ট হয়ে গিয়েছিল আরও ৭৯৮টি।

বিজ্ঞাপন

একটু পেছনে ফেরা যাক। ১৮শ শতাব্দীর শেষদিকে ‘ইংল্যান্ড নামধারী দলগুলো’ ক্রিকেট খেলতে শুরু করে। কিন্তু ঐ দলগুলো প্রকৃতভাবে প্রতিনিধিত্বকারী দল ছিল না। ফরাসী বিপ্লব ও আমেরিকার গৃহযুদ্ধের কারণে শুরুরদিকের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিঘ্ন ঘটায়। ১৮৪৪ সালের ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার মধ্যে প্রথমদিকের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তবে, খেলাটি আনুষ্ঠানিকভাবে টেস্ট হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেনি। ইংল্যান্ডের জাতীয় দলগুলো মূলতঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সফর করতো। অস্ট্রেলীয় আদিবাসী দল প্রথমবারের মতো ১৮৬৮ সালে ইংল্যান্ডে আসে। দুইটি ইংরেজ প্রতিদ্বন্দ্বী দল ১৮৭৭ সালের শুরুরদিকে অস্ট্রেলিয়া সফরে যায়। জেমস লিলিহোয়াইট পেশাদার দল ও ফ্রেড গ্রেস শৌখিন দলের নেতৃত্বে ছিলেন। গ্রেসের সফরটি ব্যর্থ হলেও লিলিহোয়াইটের দল ১৮৭৬-৭৭ মৌসুমে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া সফর করে। ফিরতি সফরের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ভিত্তি তৈরি হয়। ১৮৮২ সালে অস্ট্রেলিয়া দল ইংল্যান্ড সফর করে। সেখান থেকেই অ্যাশেজের উৎপত্তি (সূত্র: উইকিপিডিয়া)।

১৮৭৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ম্যাচটিতে দুই দলের ১১ জন করে মোট ২২ খেলোয়াড়ের অভিষেক ধরা হয়েছিল। মেলবোর্নে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ডেভ গ্রেগরি। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে অস্ট্রেলিয়া ১৬৯.৩ ওভারে (ওভার প্রতি ৪ বল) ২৪৫ রান তুলে অলআউট হয়। জবাবে, নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৩৬.১ ওভারে ইংলিশরা তোলে ১৯৬ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ৬৮ ওভারে অলআউট হয়, স্কোরবোর্ডে রান তখন মাত্র ১০৪। ইংলিশদের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ১৫৪ রান। ৬৬.১ ওভারে সফরকারীরা গুটিয়ে যাওয়ার আগে তোলে ১০৮ রান। অজিরা টেস্ট ইতিহাসের প্রথম ম্যাচটি জিতে নেয় ৪৫ রানের ব্যবধানে।

প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার চার্লস ব্যানারম্যান ২৮৫ মিনিট ক্রিজে টিকে থেকে করেছিলেন ইনিংস সর্বোচ্চ ১৬৫ রান। তার এই অনবদ্য ইনিংসে ছিল ১৮টি চারের মার। রিটায়ার্ট হার্ট হয়ে তিনি ব্যাটিং ক্রিজ থেকে উঠে যান। আরেক ওপেনার থম্পসন ১ রানে সাজঘরে ফেরেন। এছাড়া, টম হোরান ১২, দলপতি ডেভ গ্রেগরি ১, ব্রানসবি কুপার ১৫, উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান বেকহাম ১৭, টম গ্যারেট অপরাজিত ১৮ রান করেছিলেন। ইংল্যান্ডের আলফ্রেড শ তিনটি, জেমস সাউদারটন তিনটি, অ্যালেন হিল একটি আর দলপতি লিলিহোয়াইট একটি করে উইকেট শিকার করেন।

প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ইংল্যান্ডের ওপেনার হ্যারি জ্যাপ ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন। ২৪১ বলে সাজানো তার ইনিংসে ছিল মাত্র দুটি বাউন্ডারি। মাত্র দুটি টেস্ট খেলে জ্যাপ মাত্র ৪৭ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। ফলে, ৬৩ রানই তার ক্যারিয়ার সেরা রানের ইনিংস হয়ে থমকে যায়। টেস্ট ইতিহাসের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের হয়ে তিন নম্বরে নামা হ্যারি চার্লউড করেছিলেন ৩৬ রান। এটিই তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। কারণ মাত্র দুটি টেস্ট খেলে তিনি মাত্র ৪১ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন। দলপতি লিলিহোয়াইট ১০ রান করেন। শেষ দিকে অ্যালেন হিল ৩৫ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার মিডউইন্টার ৫টি, গ্যারেট দুটি উইকেট পান। একটি করে উইকেট নেন জন হজ এবং টম কেনডাল।

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে অজি ওপেনার ব্যানারম্যান ৪ আর থম্পসন ৭ রানে বিদায় নেন। তিন নম্বরে নামা টম হোরান ২০, মিডউইন্টার ১৭, দলপতি ডেভ গ্রেগরি ৩, তার ছোটো ভাই নেড গ্রেগরি ১১, কেনডাল ১৭* রান করেন। ইংলিশদের হয়ে আলফ্রেড শ ৫টি, জর্জ উলেট তিনটি, অ্যালেন হিল একটি আর লিলিহোয়াইট একটি করে উইকেট পান। ১৫৪ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ইংল্যান্ড থেমে যায় ১০৮ রানের মাথায়। হ্যারি চার্লউড ১৩, উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জন সেলবি ৩৮ আর উলেট ২৪ রান করেন। আর কেউ দুই অঙ্কের দেখা পাননি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে কেনডাল ৭টি, হজ দুটি এবং মিডউইন্টার একটি করে উইকেট লাভ করেন। অস্ট্রেলিয়া ৪৫ রানে ম্যাচটি জেতার পাশাপাশি দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটি শেষে ১-০ তে লিড নেয়।

দুই দলের ১০০ বছর পূর্তিতে আবারো ১৯৭৭ সালে মেলবোর্নে একটি টেস্ট ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেও অস্ট্রেলিয়া ইতিহাসের প্রথম ম্যাচের মতো ৪৫ রানে হারিয়েছিল ইংল্যান্ডকে। সেই ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংলিশ দলপতি টনি গ্রে। গ্রেগ চ্যাপেলের নেতৃত্বে খেলতে নেমে অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে ৪৩.৬ ওভারে (ওভার প্রতি ৮ বল) অলআউট হওয়ার আগে তোলে ১৩৮ রান। ইংল্যান্ড নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৪.৩ ওভারে গুটিয়ে যাওয়ার আগে তোলে মাত্র ৯৫ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৬.৬ ওভারে অজিরা ৯ উইকেট হারিয়ে ৪১৯ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। ইংলিশদের সামনে জয়ের জন্য টার্গেট দাঁড়ায় ৪৬৩ রান। ১১২.৪ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ইংলিশদের ইনিংস থামে ৪১৭ রানের মাথায়। তাতে প্রথম ম্যাচের মতো ১০০ বছর পর ইংলিশদের বিপক্ষে ক্যাঙ্গারুরা জেতে ৪৫ রানের ব্যবধানে।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান করেন দলপতি গ্রেগ চ্যাপেল (৪০)। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন রড মার্শ। ইংল্যান্ডের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন ক্রিস ওল্ড এবং ড্রেক আন্ডারউড। দুটি করে উইকেট পান জন লেভার এবং বব উইলস। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ ১৮ রান করেন দলপতি টনি গ্রে। এছাড়া ওপেনার মাইক বেয়ারলি ১২, উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান অ্যালেন নট ১৫ এবং জন লেভার ১১ রান করেন। অস্ট্রেলিয়ার ডেনিস লিলি ৬টি, ম্যাক্স ওয়ালকার ৪টি করে উইকেট তুলে নেন। অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে রড মার্শ ১১০ রান করে অপরাজিত থাকেন। ওপেনার ইয়ান ডেভিস ৬৮, ডগ ওয়ালটার ৬৬, ডেভিড হুকস ৫৬ রান করেন। ইংলিশ বোলার ক্রিস ওল্ড চারটি, জন লেভার দুটি, টনি গ্রে দুটি আর আন্ডারউড একটি করে উইকেট লাভ করেন। ৪৬৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ইংলিশ কিংবদন্তি ড্রেক রানদাল ১৭৪ রানের ইনিংস খেলেন। ৬৪ রান করেন ডেনিস আমিস। অস্ট্রেলিয়ার ডেনিস লিলি ৫টি, ও‘কিফ তিনটি করে উইকেট পান। এই ম্যাচের ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন ইংল্যান্ডের ড্রেক রানদাল।

প্রথম ম্যাচ থেকে কিছু প্রাপ্ত:
### ইংল্যান্ডের আলফ্রেড শ টেস্ট ইতিহাসের প্রথম বলটি ডেলিভারি করেছিলেন, সেটির মুখোমুখি হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার চার্লস ব্যানারম্যান।
### টেস্টের ইতিহাসে প্রথম সেঞ্চুরিয়ান চার্লস ব্যানারম্যান এবং তিনিই প্রথম রিটায়ার্ট হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন।
### ইংল্যান্ডের বোলার অ্যালেন হিল টেস্টের প্রথম উইকেট শিকারী, এমনকি তিনিই প্রথম টেস্টের ক্যাচটি লুফে নিয়েছিলেন।
### টেস্টের প্রথম ৫ উইকেট শিকারী বোলার অস্ট্রেলিয়ার মিডউইন্টার।
### টেস্ট ইতিহাসের প্রথম উইকেটরক্ষক হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার বেকহ্যাম স্ট্যাম্পিং করে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠান।
### ব্যানারম্যান আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় তার জায়গায় বদলি খেলোয়াড় হিসেবে টেস্টে প্রথমবার ফিল্ডিংয়ে নামেন নেউইং।
### সবচেয়ে বেশি বয়সে ওই ম্যাচের মধ্যদিয়ে টেস্টে অভিষেক ঘটে ইংল্যান্ডের জেমস সাউদারটনের (৪৯ বছর ১১৯ দিন)।
### ব্যানারম্যান দুই ইনিংসে ব্যাট হাতে ক্রিজে ছিলেন ২৯৩ মিনিট, রান করেছেন ১৬৯, বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন ১৯টি। তার এই মোট রান দলীয় সংগ্রহের ৬৯.৬ শতাংশ। যা টেস্টের বিশ্ব রেকর্ডে নাম লেখায়।
### এই ম্যাচটি তিন দিন হওয়ার পর চতুর্থ দিন ছিল রেস্ট ডে। পঞ্চম দিন ম্যাচের ফল পাওয়া যায়। ম্যাচ চলাকালীন চারদিনে মেলবোর্নের মাঠে দর্শক হাজির হয়েছিল প্রায় সাড়ে ২০ হাজার। এর মধ্যে তৃতীয় দিনই মাঠে চলে এসেছিলেন প্রায় ১০ হাজার ক্রিকেটপ্রেমী। প্রথম দিন প্রায় সাড়ে চার হাজার, দ্বিতীয় দিন প্রায় চার হাজার আর শেষ দিনে প্রায় দুই হাজার দর্শক ক্রিকেটের টানে মাঠে ভিড় জমিয়েছিলেন।

সারাবাংলা/এমআরপি

স্পোর্টস স্পেশাল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর