মাশরাফিদের হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচ
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৪:২৩
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
নিউজিল্যান্ড সফরে মাশরাফিদের ভাগ্য লেখা হয়ে গেছে আগেই। টানা দুই হারে কিউইদের কাছে ওয়ানডে সিরিজ খুইয়ে বসেছে লাল সবুজের দল। অপেক্ষা এখন শেষ ম্যাচটির। যেখানে ঘুড়ে দাঁড়াতে না পারলে হোয়াইটওয়াশের বিড়ম্বনা নিয়ে দেশে ফিরতে হবে। বলার অপেক্ষাই রাখছে না সেই বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতেই ওয়ানডে ফরম্যাটে বিশ্ব ক্রিকেটে হুঙ্কার ছাড়া দলটি স্বাগতিকদের মোকাবেলা করবে। ডানেডিনে ম্যাচটি শুরু হবে বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায়।
কিন্তু নিজেদের আব্রু বাঁচানোর এই কাজটি আদতেই কতটা সহজ হবে সেটা নিয়ে কিন্তু শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। প্রথম দুই ওয়ানডেতে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা যে অর্বাচীন ব্যাটিং উপহার দিয়েছেন সেই ধারাবাহিকতা এই ম্যাচেও বজায় থাকলে সত্যিকার অর্থেই তা অসম্ভব হয়ে উঠবে। ফলে ২০১৭ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে হোয়াইটওয়াশের বিস্মৃতি ফিরবে সফরকারী দলে।
এতে করে প্রশ্নবিদ্ধ হবে বিশ্বকাপের প্রস্তুতিও। সমালোচকের প্রশ্নবানে জর্জরিত হবে তামিম, লিটন, মাহমুদউল্লাহদের ব্যাটিং সামর্থ্য। বলা বাহুল্যই হবে এই নিউজিল্যান্ড সফরকেই ২০১৯ বিশ্বকাপের প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলো বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। সিরিজের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার আগে টাইগার কোচ স্টিভ রোডসও বলেছিলেন, ‘বিশ্ব ক্রিকেটে আমরা কোথায় আছি এই সিরিজ দিয়ে সেটা দেখা যাবে।’ নিশ্চয়ই স্টিভ সেটা খুব কাছ থেকে দেখেছেন। দেখেছেন লাল সবুজের কোটি কোটি ক্রিকেট অনুরাগীরাও।
তাহলে সমাধান কী? সমাধান একটিই। ব্যাট হাতে তাসমান সাগর পাড়ে তামিম, লিটন, সৌম্য, মুশফিকদের গগনবিদারী হুঙ্কার ছাড়তে হবে। যাতে করে কিউইদের পালকগুলো কদমফুলের রোয়ার মত অবিরত ঝড়ে পড়ে।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাবেক অধিনায়ক বর্তমান নির্বাচক হাবিবুল বাশার সেদিন বলছিলেন, ‘আমরা যদি ওখানে ২৮০ রানও করতে পারি তাহলে একটি ফাইটিং স্কোর হবে। হারি জিতি পরের ব্যাপার। অন্তত আমাদের বোলাররা চেষ্টা করতে পারবে। কিন্তু সেটা করতে না পারলে তো মুশকিল। ২৩০-২৪০ রানে কি আর ফাইট হয় বলেন?’
অবশ্যই তাই। খেলায় হার জিত থাকেই। তাই বলে এমন হার! বিষ্ময় জাগানিয়া বটে। ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ আজ এমন এক উচ্চতায় অবস্থান করছে যে প্রতিটি ম্যাচেই জয়ের জন্য নামে। সেই দলটিই যখন এমন হতাশাব্যঞ্জক ক্রিকেট উপহার দিয়ে থাকে তখন আর কীই বা বলার থাকে? অথচ এই দলটিই ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মঞ্চে এই নিউজিল্যান্ডকে কী দক্ষ হাতেই না উড়িয়ে দিল!
বলতে পারেন, ওই ম্যাচে সাকিব ছিলো তাই। কিন্তু তাই বলে সাকিব আল হাসান না থাকলে হবে না! দিন বদলের পালায় তাকেও তো ক্রিকেট থেকে বিদায় নিতে হবে। তখন কী হবে? শুধু হারতেই থাকবে বাংলাদেশ? বিষয়টি ভাবনারই বটে। সেই সামর্থ্য কেন মাশরাফিরা অর্জন করতে পারলো না? বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টই বা এতদিন কী করলো?
সারাবাংলা/এমআরএফ/এসএন