চার গোলের রোমাঞ্চ: সানডে-কলিনদ্রেস ছাপিয়ে শীর্ষে ফামৌসা
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৮:৪৭
।। স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: একদিকে টিম বিজেএমসির সঙ্গে গোলশূন্য ড্র ম্যাচ উপহার দিলো নোয়াখালী সেখানে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ছিল চার গোলের রোমাঞ্চ। রহমতগঞ্জের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধার ম্যাচটি উত্তেজনা ছাড়িয়েছে দফায় দফায়। বিপিএলের প্রথম হ্যাটট্রিক ম্যান ফামৌসার জোড়া গোল, ছিল লাল কার্ডের ট্রাজেডি। ছিল জায়ান্ট কিলার রহমতগঞ্জের ফিরে আসার গল্প।
শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার দিনের দ্বিতীয় এই ম্যাচটি শেষ হয়েছে ২-২ গোল ব্যবধানে। তবে, প্রাপ্তিটা একদিক থেকে রহমতগঞ্জের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধারও। পয়েন্ট ভাগাভাগিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে (বিপিএল) সপ্তম রাউন্ড শেষে সর্বোচ্চ গোল দাতার তালিকায় সাত গোল নিয়ে শীর্ষে উঠে গেল মুক্তিযোদ্ধার বাল্লো ফামৌসা।
ম্যাচের ১৪ মিনিটে রহমতগঞ্জের ডি বক্সের ভেতরে জটলা থেকে সাঈদ রকিব খানের কাছ থেকে বল পেয়ে ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে জড়ান ফামৌসা। তার ছয় মিনিট পরই আবারও মুক্তিযোদ্ধা শিবিরকে আবারও আনন্দে মাতান এই আইভরিকোস্টের ফুটবলার। এবার কাতোর চিপ পাস থেকে ডি বক্সের ভেতরে ভেসে ওঠা বলা দুর্দান্ত ভলিতে নিখুঁতভাবে কোণাকুণি শটে বল ঠিকানায় ফেলেন ফামৌসা। সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা আবাহনীর সানডে সিজোবা ও নবীব নেওয়াজ জীবন থেকে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় বেশ উপরে উঠে গেলেন তিনি। জীবনের গোল পাঁচ ও সানডের চারটি।
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি এগারতম আসরের প্রথম হ্যাটট্রিক উপহার দিয়েছিলেন বাল্লো ফামৌসা। তার হ্যাটট্রিকেই হ্যাভিয়েট শেখ জামালকে ৩-০ গোল ব্যবধানে হারিয়েছিল আব্দুল কাইয়ুম সেন্টুর শিষ্যরা। এরপর নোফেলের সঙ্গেও জোড়া গোল করেছিলেন আইভরিকোস্টের এই স্ট্রাইকার।
প্রথমার্ধেই যখন ম্যাচ বগলদাবা করতে চলেছিল মুক্তিযোদ্ধা সেখানে ২৪ মিনিটের মাথায় লাল কার্ড দেখেন জাপানিজ ফুটবলার ইয়োসকা কাতো। দশ জনে পরিণত হয় মুক্তিযোদ্ধা।
এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধেই সর্বনাশ ঘটায় রহমতগঞ্জ। চার মিনিটেই দুটি গোল করে সমতায় ফেরে সাঈদ গোলাম জিলানীর শিষ্যরা। গোল দুটি করেছেন সোহেল রানা ও রাখানি।
এ ড্রয়ে এক পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিয়েছে দু‘দল। ছয় ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে কোন ম্যাচ না জিতেও টেবিলের নয়ে উঠে গেছে রহমতগঞ্জ এমএফসি। অন্যদিকে এক ম্যাচে কম খেলে সাত পয়েন্ট নিয়ে আটে মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া সংসদ।
সারাবাংলা/জেএইচ