যে রেকর্ড ছিল না মোস্তাফিজের
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১০:২৯
।। স্পোর্টস ডেস্ক ।।
বল হাতে এমন রেকর্ড হইতো কেউই চাইবেন না। এমনটা হয়তো নিজেও চাননি কাটার মাস্টার খ্যাত মোস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের খাতায় তেমনই এক বাজে রেকর্ড নিজের খাতায় লিখে ফেললেন ফিজ।
বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ডানেডিনে কিউইদের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্যে নেমেছে বাংলাদেশ দল। এই ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে টাইগারদের সামনে ৩৩১ রানের পাহাড় সমান লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে স্বাগতিকরা।
নির্ধারিত ওভারে ৩৩০ রান তুলে নিতে কিউইদের খরচ হয়েছে মাত্র ৬টি উইকেট। এর মধ্যে ২টি উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ। তবে ১০ ওভার করে এই দুই উইকেট তুলতে ৯৩ রান খরচ করেছেন বাঁহাতি এই পেসার। যেখানে তার ইকোনমি রেট ৯.৩০।
ওয়ানডেতে এর আগে এক ম্যাচে এতো রান খরচার রেকর্ড ছিলনা মোস্তাফিজের। এর আগে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ৬৩ রান খরচার রেকর্ড ছিল তার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুটি ম্যাচে ৬৩ রান করে খরচ করেছিলেন বাঁহাতি এই পেসার। যেখানে তার ইকোনমি রেট ছিল ৬.৩০।
এছাড়াও ২০১৭ সালের জুনে ভারতের বিপক্ষে এক ম্যাচে ৬ ওভারে ৫৩ রান খরচ করেছিলেন ফিজ। সেই ম্যাচে তার ইকোনমি রেট ছিল ৮.৮৩।
এবার কিউইদের বিপক্ষে নিজের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে বোলিংটাই করে ফেললেন মোস্তাফিজ।
তবে মোস্তাফিজের চেয়েও বেশি রান খরচ করেছেন আরেক বাংলাদেশি পেসার। ২০১০ সালের জুলাইয়ে এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ ওভারে ৯৭ রান দিয়েছিলেন ডানহাতি পেসার শফিউল ইসলাম। সেদিন তার খরুচে এবম বোলিংয়ে সেদিন ৩৪৭ রান তুলেছিল ইংলিশরা।
এর আগের রেকর্ডটিও ছিল শফিউলের। ইংলিশদের বিপক্ষে ২০১০ সালের জুলাইয়ের সেই ম্যাচের তিন সপ্তাহ আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপে ১০ ওভারে ৯৫ রান দিয়েছিলেন শফিউল। সেদিন পাকিস্তান সংগ্রহ করেছিল ৩৮৫। আর শফিউল নিয়েছিলেন ৩ উইকেট।
এছাড়াও রান খরচের দিক থেকে মোস্তাফিজের পরে আছেন বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বেনোনিতে ২০০৮ সালে এক ম্যাচে ৯ ওভারে ৮৮ রান দিয়েছিলেন তিনি।
এর তালিকায় নাম আছে পেসার তাপস বৈশ্যরও। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ট্রেন্ট ব্রিজে ২০০৫ সালে এক ম্যাচে ৭ ওভার করেই ৮৭ রান দিয়েছিলেন জাতীয় দলের সাবেক এই পেসার।
সারাবাংলা/এসএন