Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শচীন সুনামির ৯ বছর


২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৪:৫২

।। স্পোর্টস ডেস্ক ।।

টাইম মেশিনে চেপে যদি ৯ বছর আগে ফিরে যাওয়া যেত, তাহলে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে আজকের দিনটি ছিল শুধুই শচীন টেন্ডুলকারের। ২০১০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি শচীনের ব্যাট থেকেই বিশ্ব ক্রিকেট দেখেছে ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। ভারতের মাস্টার ব্লাস্টার ব্যাটসম্যান গোয়ালিয়রের ক্যাপ্টেন রূপ সিং স্টেডিয়ামে ৫০ ওভারের ফরম্যাটে প্রথম কোনো ব্যাটসম্যান হিসেবে ২০০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।

বিজ্ঞাপন

আধুনিক ডনের সেই ‘অতিমানবিক’ ইনিংসের কথা মনে করিয়ে দিয়ে ‘দিস ডে দ্যাট ইয়ার’ বলে টুইটেও চলছে ভারতীয় এই কিংবদন্তির বন্দনা। গোয়ালিয়রে সেদিন ভারত খেলতে নেমেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে। শচীনের ডাবল সেঞ্চুরির নিচে চাপা পড়ে প্রোটিয়ারা হেরেছিল ১৫৩ রানের ব্যবধানে। এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতেছিল ভারত। ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান শচীন।

টস জিতে আগে জ্যাক ক্যালিসের দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নামে মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারত। ৩ উইকেটে টিম ইন্ডিয়া তোলে ৪০১ রান। জবাবে, ৪২.৫ ওভারে গুটিয়ে যাওয়ার আগে প্রোটিয়ারা তোলে ২৪৮ রান।

ভারতের ওপেনিংয়ে নামেন বিরেন্দ্রর শেওয়াগ এবং শচীন। ১১ বলে ৯ রান করে বিদায় নেন শেওয়াগ। ২০০ রানে অপরাজিত থাকেন শচীন। তার ১৪৭ বলের ইনিংসে ছিল ২৫টি চার আর তিনটি ছক্কা। ২২৬ মিনিট ২২ গজে থেকে শচীন বাউন্ডারি থেকেই পেয়েছিলেন ১১৮ রান। স্ট্রাইকরেট ছিল ১৩৬.০৫। তিন নম্বরে নামা দিনেশ কার্তিক ৮৫ বলে করেছিলেন ৭৯ রান। ইউসুফ পাঠানের ব্যাট থেকে আসে ২৩ বলে ৩৬ রান। দলপতি ধোনি ৩৫ বলে ৭টি চার আর ৪টি ছক্কায় ৬৮ রান করে অপরাজিত থাকেন।

বিজ্ঞাপন

৮.০২ রানরেটে ভারত তোলে ৪০১ রান। ভারতের প্রথম উইকেটের পতন হয় দলীয় ২৫ রানের মাথায়। এরপর শচীন-কার্তিক জুটি ভাঙে দলীয় ২১৯ রানের মাথায়। আর পাঠান বিদায় নিলে তৃতীয় উইকেটের পতন হয় দলীয় ৩০০ রানের মাথায়। শচীন-ধোনি অবিচ্ছিন্ন জুটিতে আসে ১০১ রান।

৪০২ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রোটিয়া ওপেনার হাশিম আমলা ২২ বলে ৩৪, হার্শেল গিবস ৭ রান করেন। ভ্যান ডার মারে ১২, ক্যালিস ১১, প্যাটারসেন ৯, জেপি ডুমিনি ০, মার্ক বাউচার ১৪, ওয়েইন পার্নেল ১৮, ডেল স্টেইন ০, ল্যাঙ্গভেল্ট ০ রান করেন। স্রোতের বিপরীতে সেঞ্চুরি হাঁকান এবি ডি ভিলিয়ার্স। ১০১ বলে ১৩টি চার আর দুটি ছক্কায় তিনি করেন অপরাজিত ১১৪ রান। ভারতের পেসার শ্রীশান্ত তিনটি উইকেট তুলে নেন। দুটি করে উইকেট পান রবীন্দ্র জাদেজা, ইউসুফ পাঠান, আশিষ নেহারা। একটি উইকেট নেন প্রভীন কুমার।

ওয়ানডে ইতিহাসের ২৯৬২ নম্বর ম্যাচটি ছিল ডে নাইট ম্যাচ। শচীন ৩৭ বলে ৯টি চারের সাহায্যে ফিফটি করেন। ৯০ বলে ১৩টি চারে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মাস্টার ব্লাস্টার এই ব্যাটসম্যান। ১১৮ বলে ২২টি চার আর একটি ছক্কায় শচীনের রান দাঁড়ায় ১৫০। অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়ার আগে তার নামের পাশে থাকে ১৪৭ বলে ২৫টি চার আর ৩টি ছক্কায় ২০০*।

ওয়ানডে ক্রিকেটে শচীনের ডাবল সেঞ্চুরি বাদে ২০০ পেরুনো ইনিংস আছে আরও সাতটি। সর্বোচ্চ তিনটি করেছেন ভারতের আরেক ওপেনার রোহিত শর্মা। আট ডাবল সেঞ্চুরির পাঁচটিই ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের দখলে। এছাড়া ওয়ানডেতে একটি করে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন ক্যারিবীয়ান তারকা ক্রিস গেইল, নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল এবং পাকিস্তানের ফখর জামান।

২০১১ সালে ইন্দোরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন শেওয়াগ, ২০১৩ সালে বেঙ্গালুরুতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রোহিত শর্মা, ২০১৪ সালে ইডেন গার্ডেনসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আবারো রোহিত শর্মা, ২০১৫ সালে ক্যানবেরার মানুকা ওভালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গেইল, একই বছর ওয়েলিংটনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গাপটিল, ২০১৭ সালে মোহালিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয়বার আর ক্যারিয়ারে তৃতীয়বার রোহিত শর্মা এবং গত বছর জুলাইয়ে বুলাওয়াতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ফখর জামান ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন।

সারাবাংলা/এমআরপি

ওয়ানডে ডাবল সেঞ্চুরি শচীন টেন্ডুলকার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর