Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সবার আগে সেমিফাইনালে শাইনপুকুর


২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৭:২৭

শাইনপুকুর

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে টানা দুই জয়ে প্রথম দল হিসেবে সেমিফানাল নিশ্চিত করলো ‘সি’ গ্রুপে থাকা শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। নিজেদের প্রথম ম্যাচে লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জকে ৫ উইকেটে হারানো শাইনপুকুর দ্বিতীয় ম্যাচে ২২ রানের জয় তুলে নিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে।

শাইনপুকুরের দেয়া ১৯৩ রানের পাহাড়সমান লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আশরাফুলরা ২০ ওভারে ৯ উইকেটে তোলে ১৭০ রান।

মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুভাগত হোমের ১৮ বলে অপরাজিত ৫৮ ও তৌহিদ হৃদয়ের ৪১ বলে অপরাজিত ৬৬ রানের ঝড়ো ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৯২ রানের বড় সংগ্রহ পায় শাইনপুকুর।

বলে রাখা ভালো এদিন শুভাগত ফিফটি তুলে নিয়েছেন ১৬ বলে। এতে করে রেকর্ডের বইয়ে ঢুকে পড়েছেন এই অলরাউন্ডার। বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির অনন্য রেকর্ড এখন তার। তার চেয়ে ৩ বল বেশি খেলে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন মুমিনুল হক। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জ সিরিজে বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে ১৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন মুমিনুল।

এদিকে উইকেট থেকে ছিটকে পড়া শাইনপুকুরের ৪ ব্যাটসম্যানের মধ্যে আফিফ হোসেন ধ্রুব ২১ বলে করেছেন ২৫ রান। সাকলাইন সজিবের বলে এই টপ অর্ডার ক্যাচ তুলে দিয়েছেন আলাউদ্দিন বাবুর হাতে। ওপেনার সাব্বির হোসেন ফিরে গেছেন ১০ বলে ১০ রান করে আলাউদ্দিন বাবুর বলে রকিবুল হাসানের তালুবন্দি হয়ে। সোহরাওয়ার্দী শুভকে ২ রানে থামিয়েছেন কাজী অনীক। আর মোহাম্মদ রাকিবকে ২২ রানে কট অ্যান্ড বোল্ড করে প্যাভিলনের পথ দেখিয়েছেন নিহাদুজ্জামান।

বিজ্ঞাপন

জয়ের জন্য ১৯৩ রানের পাহাড়সমান লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অভিষেক মিত্র ও আব্দুল মজিদের ব্যাটে দারুণ শুরুর আভাস দিয়েছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। কিন্তু খুব বেশিক্ষণ ছন্দটি ধরে রাখতে পারেননি এই দুই ওপেনার। ৫ম ওভারে সোহরাওয়ার্দী শুভর দ্বিতীয় ডেলিভারিতে ব্যক্তিগত ১৯ ও দলীয় ৪৬ রানে শুভাগত হোমের হাতে নিজের ইনিংসের ফুলস্টপ টানেন অভিষেক মিত্র।

দ্বিতীয় উইকেটে আব্দুল মজিদের সঙ্গে ২৮ রানের জুটি গড়ে দেলোয়ার হোসেনের শিকার বনে যান মোহাম্মদ আশরাফুল। তার আগে নামের পাশে যোগ করেন ২১ রান। মোহামেডানের সংগ্রহ তখন ৭৪। ধারণা করা হচ্ছিলো তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক রকিবুলকে নিয়ে লম্বা পথ পাড়ি দেবেন উইকেটে থিতু হওয়া মজিদ। কিন্তু হলো না। পরের ওভারেই এসেই ৩৩ রানে মজিদকে সোহরাওয়ার্দী শুভর নিরাপদ হাতে পাঠালেন হামিদুল ইসলাম। আর অধিনায়ক রকিবুল হাসানকে ১৬ রানে ফেরালেন আফিফ। বস্তুত এখানেই মোহামেডানের ইনিংসের সলিল সমাধি তৈরি হয়ে যায়।

কেননা পাঁচে নামা নাদিফকে ১ রানে রান আউটের ফাঁদে ফেলেন হামিদুল। সমান সংগ্রহে সোহাগ গাজী বিদায় নেন সোহরাওয়ার্দীর দ্বিতীয় শিকার হয়ে। সাতে নামা ইরফান শুক্কুরের ব্যাট অবশ্য গর্জে উঠেছিল। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। হারের ব্যবধানটা কমিয়েছে এই যা। ২৯ বলে এই লোয়ার মিডল অর্ডার করেছেন ৫২ রান। যেখানে চারের মার ছিল ৭টি ও ৬ একটি।

টেলএন্ডারদের মধ্যে আলাউদ্দিন বাবু ১৩, নিহাদুজ্জামান ও কাজী অনীক ০ এবং সাকলাইন সজিব অপরাজিত ছিলেন ৩ রানে।

শাইনপুকুরের হয়ে বল হাতে সোহরাওয়ার্দী শুভ, সুজন হাওলাদার, হামিদুল ইসলাম ২টি করে এবং দেলোয়ার হোসেন ও আফিফ হোসেন নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমআরএফ/এমআরপি

ডিপিএল ২০১৯ শাইনপুকুর

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

বিএসইসি‘র চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৫১

বাড়তে পারে তাপমাত্রা
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৩৪

গুলশানে দুইজনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:৫৫

সম্পর্কিত খবর