সুখস্মৃতির মাঠে টাইগারদের ভাগ্যের চাকা ঘুরবে তো?
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২০:০৮
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
হ্যামিলটনের সেডন পার্ক। যেখানে ২০১৫ বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিও এ মাঠেই। ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে সিরিজের একমাত্র টেস্টে ১১৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। যাতে ভর করে প্রথম ইনিংসে ৪০০ পেরিয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করা সাকিব আল হাসান ৭ বছর পরে এখানেই ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির (২১৭) দেখা পেয়েছিলেন। একই ম্যাচে ১৫৯ রান করেছিলেন মুশফিকুর রহিম।
সুখস্মৃতির সেই মাঠেই প্রথম টেস্টে ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে নামবে ওয়ানডে সিরিজে নিউজিল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ হওয়া বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় ভোর ৪ টায়।
কিন্তু সেই কাজটি আদৌ কতটা সহজ হবে সেটা নিয়ে বাংলাদেশকে কিন্তু ভাবতেই হচ্ছে। কেননা ম্যাচটিতে পাওয়া যাবে না সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমকে। বিপিএলের ফাইনালে বাঁহাতের তর্জণীতে চোট পাওয়ায় সাকিব তো সিরিজের শুরু থেকেই নেই। মুশফিক ছিটকে গেছেন শেষ ওয়ানডেতে পাঁজরে চোট পাওয়ায়।
অর্থাৎ দুই অভিজ্ঞ সেঞ্চুরিয়ানই দলে নেই। কাজেই ওয়ানডের পর টেস্টেও লাল সবুজের দলের ব্যাটিংয়ে চ্যালেঞ্জ থাকছেই। টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান সাকিবের (৮ ম্যাচে ৭৬৩)। সর্বোচ্চ উইকেটও সাকিবের (৮ ম্যাচে ২৬ উইকেট)। কিউইদের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি বলও (৭১৫) খেলেছেন সাকিব। সবচেয়ে বেশি ওভারও করেছেন (১২৪.৪ ওভার)।
আর টেস্টে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে দেশের হয়ে রান তোলায় মুশফিক চারে (৪ ম্যাচে ২২২ রান)। তবে বল খেলার দিক থেকে মুশফিক রয়েছেন সাকিবের পরই (৪৭৭ বল)। ২০১৭ সালে বেসিন রিজার্ভে সাকিবের সঙ্গে মুশফিকের ৩৫৯ রানের জুটি সুখস্মৃতিকে মনে করিয়ে দিচ্ছে। ১৩ বছর পর সাকিব-মুশফিক একসঙ্গে সাদা পোশাকের দলে থাকছেন না।
ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি চ্যালেঞ্জ থাকছে বোলিং আক্রমণ বিভাগেও। কেননা বাংলাদেশের স্কোয়াডে পেস আক্রমণে একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটার। কিছুটা অভিজ্ঞ মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে আছেন খালেদ আহমেদ, আবু জায়েদ রাহী, ইবাদত হোসেন চৌধুরী। খালেদ ও আবু জায়েদের অল্পবিস্তর টেস্ট খেলার সুয়োগ হলেও ইবাদত একেবারেই আনকোরা। বৃহস্পতিবার হতে পারে এ পেসারের অভিষেক।
সারাবাংলা/এমআরএফ/এমআরপি