এবাদতের উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় চাম্পাকা
২ মার্চ ২০১৯ ১৯:১৭
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
কিউদের বিপক্ষে বল হাতে উইকেটের ডালা উপহার দিতে পারেননি সত্যি। কিন্তু তার বোলিং আগ্রাসন, লেংথ, গতি এবং ফলো থ্রু ছিল দারুণ নজরকাড়া। স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই অভিষেক উইকেটের দেখা পেতে পারতেন, কিন্তু হলো না। দ্বিতীয় স্লিপে থাকা সৌম্য সরকার টম ল্যাথামকে মুঠোয় পেয়েও ফেলে দিলে অপেক্ষা বাড়ে।
অবশেষে প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনে তার সেই অপেক্ষার অবসান হয়। নেইল ওয়েগনারকে ব্যক্তিগত ৪৭ রানে লিটন দাসের হাতে তুলে দিয়ে নিজের প্রথম টেস্ট উইকেটের দেখা পান। বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই এবাদত হোসেনের কথা বলছি।
হালের বাংলাদেশ স্কোয়াডে তাসকিন আহমেদের পর গতির ঝড় তোলা একমাত্র পেসার এবাদত। প্রথম ম্যাচে উইলিয়ামসনদের বিপক্ষে প্রায় প্রতিটি বলই ১৩৮-১৪০ গতিতে ডেলিভারি দিয়েছেন। ২৭ ওভারে ১০৭ রানের বিনিময়ে ১ উইকেটের পাশে আছে ৪টি মেডেন।
আগেই বলেছি, চলতি টেস্টে উইকেটের ছড়াছড়ি তার নেই। তবে পেস বোলিংয়ের বাদ বাকি উপকরণগুলোর সবই তার ডেলিভারিতে ছিল। যা তার এক সময়ের গুরু অর্থাৎ বাংলাদেশ ক্রিকেটের হাই পারফরম্যান্স কোচ চাম্পাকা রামানায়েকের মনে ধরেছে। তিনি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠেই বলেছেন এবাদত হোসেনের মধ্যে দারুণ প্রতিভার সন্নিবেশন আছে।
শনিবার (২ মার্চ) হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে চাম্পাকা বলেন, ‘সে বেশ জোরে বল করতে পারে। বিষয়টি নজরকাড়া। সে শুরুতেই উইকেট নিতে পারতো, কিন্তু পারেনি কারণ ক্যাচটি ড্রপ হয়েছে। সে একজন প্রতিভাবান বোলার এটা নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই।’
এইচপি দলের কোচ হওয়ায় চাম্পাকার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন এবাদত। মাঝে ছন্দ হারিয়ে ফেলেছিলেন রবি পেসার হান্ট থেকে উঠে আসা এই পেসার। গুরুর সংস্পর্শে নিজেকে খুঁজে পেয়েছেন। কক্সবাজারে পেস বোলারদের নিয়ে বিশেষ ক্যাম্পে রানআপ ঠিক করার পর মিরপুরের একাডেমি মাঠে এবাদত ব্যক্তিগত তাগিদেই শরণাপন্ন হয়েছিলেন লঙ্কান কোচের কাছে। সেখানে যতটুকু দেখেছেন তাতে শিষ্যকে কোনো বিবেচনাতেই মন্দ মনে হয়নি। শুধু ঘাটতি দেখছেন লাইন, লেংথের ধারাবাহিকতায়।
‘আমি এবাদতের সঙ্গে কাজ করেছি। আমরা শিখেছি কী করে কব্জি থেকে বল ছাড়তে হয়। তাকে লাইন, লেংথে আরো ধারাবাহিক হতে হবে। তবে এটা একদিনেই হবে না। আস্তে আস্তে হবে। কেননা সে মাত্র ১টি ইনিংস খেলেছে। ভালো দলগুলোর বিপক্ষে খেলতেই খেলতেই এটা ঠিক হয়ে যাবে।’ যোগ করেন লঙ্কান কোচ।
সারাবাংলা/এমআরএফ/এমআরপি