Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মাহমুদ বলছেন, হাথুরুকে নিয়ে ভাবাটা এখন বোকামি


২০ জানুয়ারি ২০১৮ ১৮:০২

চ্যালেঞ্জটা তাঁর জন্যও ছিল অনেক বড়। কাগজে কলমে তাঁর কাজটা টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হলেও আসলে তো অলিখিত কোচই। খালেদ মাহমুদ সুজন প্রথম দুই ম্যাচের পর কিছুটা কৃতিত্ব দাবি করতেই পারেন। তবে আজ প্রিমিয়ার লিগের প্লেয়ারস ড্রাফটে জোর দিয়েই বললেন, মাঠের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন খেলোয়াড়েরাই। চন্ডিকা হাথুরুসিংহের অধ্যায়টাও এখন ভুলে তাকাতে চান।

সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বিন মুর্তজা বার বারই বলেছেন, হাথুরুর বিদায়টা তারা পেশাদারিভাবেই দেখছেন। সাকিব আল হাসানও কাল সংবাদ সম্মেলনে এসে করেছেন একই প্রতিধ্বনিই। শুধু কাল যোগ করলেন, খেলোয়াড়েরা এখন একটু বাড়তি দায়িত্ব নিচ্ছেন। খালেদ মাহমুদও বললেন, সিনিয়ররাই এখন খেলছেন বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে।

বিজ্ঞাপন

‘আমার মনে হয়, সাকিব, তামিম, মাশরাফি, মুশফিক, রিয়াদদের মিলিয়ে বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমে এখন প্রায় ৬০ বছরের অভিজ্ঞতা আছে। মাঠে সিদ্ধান্ত নেবার সামর্থ্য অবশ্যই তাদের আছে। ঢাকা লিগে বলেন বা জাতীয় দলে বলেন, এই ক্রিকেটারদের প্রায় সবাই ঘুরেফিরে  অধিনায়কত্ব করেছে।’

মাঠে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত যে সিনিয়ররা মিলে নিচ্ছেন, তাও মনে করিয়ে দিলেন মাহমুদ, ‘আমরা বাইরে থেকে তো অবশ্যই পরামর্শ পাঠাই। সেটা যদি তারা শুনতে চায়, শোনে। কিন্তু আসল ব্যাপারটা হচ্ছে, তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তগুলো নেয়াটা আসলে তাদের কাজ, যেহেতু তারা মাঠে খেলছে। বাইরে থেকে অনেক সময় উইকেট বোঝা যায় না, যারা খেলছে তারাই উইকেটটা ভালো বুঝে। হয়তো মাঠের বাইরে থেকে আমি যেই বোলারকে বল করাতে বলবো, অধিনায়ক হয়তো তার ব্যাপারে খুব একটা কনফিডেন্ট না। হয়তো সেই সময়টায় সে অন্য কোন বোলারের উপর কনফিডেন্ট। সেইক্ষেত্রে তখন যদি আমি মেসেজ পাঠাই, তখন অধিনায়কের মনে একটা সংশয় তৈরি হয়। সেই সংশয়টা আমি তৈরি করতে চাই না।’

বিজ্ঞাপন

আলাদা করে বললেন মাশরাফি-সাকিবের কথা।

‘ মাশরাফি অনেক অভিজ্ঞ একজন ক্রিকেটার, সাকিবও অভিজ্ঞ। তারা দুজন মিলে মাঠের সিদ্ধান্ত নেয়াটাই ভালো। যদি তারা বাইরে আমাদেরকে জিজ্ঞেস করে, তখন হয়তো আমরা বলতে পারি। হয়তো আমরা মাঝেমাঝে ফিল্ডিং পজিশন নিয়ে কথা বলি, প্রতিপক্ষকে আমরা কোথায় বল করবো সেটা বলি। অনেকসময় হয়তো ক্রিকেটাররা মাঠে গিয়ে কিছু ব্যাপার ভুলে যায়, আমরা সেটা মনে করিয়ে দেবার চেষ্টা করি। তো আমি মনে করি যে, এটা আসলে ক্রিকেটারদেরই খেলা।’

তার মানে কি দল এখন আগের চেয়েও বেশি আত্মবিশ্বাসী? মাহমুদের কথা সেই সাক্ষ্যই দিচ্ছে।

‘ এটা আসলে ক্রিকেটাররাই ভালো বলতে পারবে। কিন্তু আমি যেটা মনে করি, ড্রেসিংরুম এখন অনেকটা আত্মবিশ্বাসী। নিজেদের মধ্যে পরামর্শ ভালো হয়। আমরা চেষ্টা করি সবকিছুতেই ক্রিকেটারদের জড়িত রাখতে। তাদের আমরা সেই দায়িত্বটা দিয়েছি। ড্রেসিংরুম একই আছে, বাংলাদেশ দলে খুব একটা পরিবর্তন হয় না। হয়তোবা স্বাধীনতার কথা যেটা বলা হয়েছে, সেই জিনিসটা হয়তো একটু বেশি আছে।’

এসব কিছুই ইঙ্গিত দিচ্ছে, বাংলাদেশ এখন হাথুরু অধ্যায়টা পেছনে ফেলে এসেছে। মাহমুদও আর সেদিকে তাকাতে চান না, ‘আমি আসলে হাথুরুসিংহের ব্যাপারটাই আনতে চাই নাই বাংলাদেশ দলের মধ্যে। আমি মনে করি, যে চলে গেছে তাকে নিয়ে আলাপ করাটাই বোকামি। কারণ, উনি পেশাদার, উনি উনার মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। উনি দায়িত্ব নেয়ার পর হয়তো তার প্রথম অ্যাসাইনমেন্টটা বাংলাদেশে পড়েছে। তাই কথা বেশি হয়েছে। খেলোয়াড়রাও এটা নিয়ে বেশি আলোচনা করতে চায়নি। কারণ দিনশেষে, এটা ক্রিকেট খেলা। আমরা যার বিপক্ষেই খেলি, আমাদের নিজেদের পরিকল্পনাগুলো কাজে লাগাতে হবে।’

সারাবাংলা/ এএম

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

কানপুরে প্রথম দিনে বৃষ্টির দাপট
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৩৫

সম্পর্কিত খবর