নিউজিল্যান্ডের অভিজ্ঞতায় রুবেলের বিশ্বকাপ স্বপ্ন
৪ মার্চ ২০১৯ ১৮:২৫
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
কন্ডিশন বিবেচনায় ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড কাছাকাছি। আবহাওয়ায় গা হিম করা ঠান্ডার সঙ্গে হু হু বাতাস, যেন হাড়ে গিয়ে লাগে। আর উইকেটে মুহুর্মুহু বাউন্স। কখনো নাক, কখনো মুখ কিংবা মাথার সামনে দিয়ে সাঁই সাঁই করে বল চলে যায়।
বাংলাদেশ তো বটেই উপমহাদেশের যে কোনো দলকেই দুই দেশের বিরূপ কন্ডিশনে সংগ্রাম করতে হয়। সেই কন্ডিশনের একটি নিউজিল্যান্ডে মাত্রই খেলে এসেছেন টাইগার পেসার রুবেল হোসেন। সব ঠিক থাকলে প্রায় অনুরূপ কন্ডিশনে মাস দুয়েক পরেই ইংল্যান্ডে খেলবেন ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ। আসন্ন বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের এই অভিজ্ঞতা দারুণ কাজে দেবে বলে মত তার।
সোমবার (৪ মার্চ) হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে তিনি জানালেন, ‘আমাদের বোলারদের জন্য খুবই ভালো হবে এটা। ইংল্যান্ডে আমাদের বিশ্বকাপ। আবহাওয়া বলেন, উইকেট বলেন নিউজিল্যান্ড একদমই ইংল্যান্ডের কাছাকাছি। আমার মনে হয় খুব ভালো হবে এবং হয়েছে। এই ধরণের কন্ডিশনে কিভাবে বোলিং করতে হবে, কিভাবে আবহাওয়ারর সাথে খাপ খাওয়াতে হবে, ব্যাটসম্যানদের কিভাবে ব্যাটিং করতে হবে; অনেক কিছুই শেখার আছে।’
নিউজিল্যান্ড সফরে ওয়ানডে সিরিজের অভিজ্ঞতাটি মোটেও ভালো ছিল না রুবেলের। তিন ওয়ানডের দুটিতেই ছিলেন ডাগ আউটে। শেষ ম্যাচে বল হাতে নেমেছিলেন সত্যি কিন্তু উইকেট বানে দলকে ভাসিয়ে নিতে পারেননি। ২৮ রানের বিনিময়ে পেয়েছেন মাত্র ১টি উইকেট। রুবেল তো বটেই কোনো বোলারই দলকে সুখকর কোন মুহূর্ত উপহার দিতে পারেননি। তাতে ক্ষতিও হয়েছে বিস্তর। একটি জয়ের মুখও দেখেনি সফরকারী বাংলাদেশ।
কাজেই দেশে ফিরে সাংবাদিকদের কাছে কোনো সুখকর স্মৃতি রোমন্থন করতে পারেননি এই অভিজ্ঞ টাইগার পেসার। তবে শিখেছেন অনেক কিছুই। সেই শেখাটিকেই সিরিজে নিজের প্রাপ্তি হিসেবে দেখছেন, ‘নিউজিল্যান্ডে আমরা সিরিজটা হেরে গেছি। তাই ওইখানের কোনো ভালো স্মৃতি নেই। কিন্তু অনেক কিছু শেখার আছে, ওই ধরণের কন্ডিশনে কিভাবে খেলতে হয়, বোলারদের কিভাবে বোলিং করতে হয় এগুলো শিখেছি। আমার তো মনে হয় এই সিরিজ থেকে আমাদের বোলাররা বলেন, ব্যাটসম্যানরা বলেন অনেক কিছু শিখেছে।
‘নিউজিল্যান্ডে প্রচুর বাতাস থাকে। বাতাসের বিপক্ষে বোলিং করাটা খুব কঠিন। বাংলাদেশে সাধারণত এতজোরে বাতাস হয় না। তো বাতাসের সঙ্গে কিভাবে বোলিং করতে হবে এটা খাপ খাওয়ানোর ব্যাপার আছে। তারপর ধরেন আমাদের উইকেটগুলো ফ্ল্যাট হয়, ওদের উইকেটগুলো সুন্দর স্পোর্টিং হয়ে থাকে। আপনি যে লাইনেই বল করেন না কেন হাইটটা সুন্দর হয়। যে যত দ্রুত ওই ধরণের কন্ডিশনে খাপ খাওয়াতে পারবে সে ততো ভালো করবে। বিশ্বকাপের আগে যেহেতু আমাদের খুব একটা ম্যাচ নেই তাই আসন্ন ডিপিএলে ভালো করতে হবে।’ যোগ করেন রুবেল।
** মাশরাফির আবাহনীতে মিরাজ, রুবেল, সাইফউদ্দীন
সারাবাংলা/এমআরএফ/এমআরপি