Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অমির ব্যাটে উড়ে গেল মোহামেডান


২৫ মার্চ ২০১৯ ১৭:২০

এক জহুরুল ইসলাম অমির কাছেই হেরে গেল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। সেঞ্চুরি হয়নি সত্যি। কিন্তু ম্যাজিক ফিগার থেকে ছিলেন মাত্র ৪ রান দূরে। ব্যক্তিগত ৯৬ রানে নিজের ইনিংসের ফুলস্টপ টেনেছেন এই আবাহনী ওপেনার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৩ রান এসেছে সৌম্য সরকারের ব্যাট থেকে। আর তাতেই কিস্ত মাত! মোহামেডানের দেওয়া ২৪৯ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেললো ৪ উইকেটের খরচায়। বল বাকি ছিল ১৫টি।

দিন শেষে ৬ উইকেটের জয় ধরা দিল আকাশী নীল দলে। বলে রাখা ভালো, বিগত দুই মৌসুমে দুই দলের তিনবারের মোকাবেলায় সবক’টিতেই জিতেছে আবাহনী। এই দিয়ে চির বৈরী দলটির বিপক্ষে টানা চার জয়ের দেখা পেল দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৫ মার্চ) শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে মোটেও সুবিধা করতে পারেননি মোহামেডান। আবাহনীর পেস ও স্পিন ঘূর্ণির সামনে দলের ডাকসাইটে ব্যাটসম্যানরা দাঁড়াতেই পারেনি। দুই ওপেনার লিটন দাস ও আব্দুল মজিদ করেছেন ২৭, ২৬ রান। মিডল অর্ডারে নাদিফ চৌধুরী ও লঙ্কান চতুরঙ্গ ডি সিলভার ব্যাট থেকে এসেছে ৭ রান, ৩২ রান।

তবে লোয়ার মিডল অর্ডারে অপ্রত্যাশিতভাবে সোহাগ গাজী ২০ বলে ২৭ রান উপহার দিয়েছেন। সাধারণত টপ অর্ডারে ব্যাটিং করা আশরাফুল এদিন আটে নেমে অপরাজিত ছিলেন ৪ রানে।

ভাগ্যিস টপ অর্ডারে ইরফান শুক্কুর ও রকিবুল হাসান দলের হাল ধরেছিলেন। ইরফান শুক্কুরের ৫৭ ও অধিনায়ক রকিবুল হাসানের ৫১ রানে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২৪৮ রানের যতসামান্য সংগ্রহ পায় মোহামেডান।

আবাহনীর হয়ে বল হাতে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও নাজমুল ইসলাম অপু ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন। অপর উইকেটটি নিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশের সামর্থ্য জানেন না আফ্রিদি!

জয়ের জন্য ২৪৯ রানের লক্ষ্য ছুঁতে নেমে দুই ওপেনার জহুরুল ইসলাম অমি ও সৌম্য সরকারের দৃঢ় ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় আবাহনী। দুজনই দলকে ১০০ রানের সংগ্রহ এনে দেন। তবে নিজের ইনিংসটিকে এগিয়ে নিতে পারেননি সৌম্য। ওপেনিং জুটিতে ১০৫ রান এনে দিয়ে ব্যক্তিগত ৪৩ রানে শাহাদাত হোসেনের বলে বোল্ড হন।

দ্বিতীয় উইকেটে ওয়াশিম জাফরকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামত করে বড় সংগ্রহের পথে ছুটছিলেন অমি। কিন্তু আচমকাই সেখানে বাধ সাধেন শফিউল ইসলাম। ব্যক্তিগত ৩৮ রানে ওয়াশিমকে তুলে দেন ইরফান শুক্কুরের নিরাপদ গ্লাভসে।

জাফরের বিদায়ের পর ইনফর্মড ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসান শান্ত উইকেটে এলেন সত্যি কিন্তু থিতু হতে পারলেন না। চতুরঙ্গ ডি সিলভার কৌশলী বলে মাত্র ১৬ রানে এলবি’র ফাঁদে পড়ে ক্রিজ ছাড়া হন। আবাহনীর দলীয় সংগ্রহ তখন ২১০ রান।

চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে নিয়ে হয়তো বাকি পথ টুকু পাড়ি দিতে চেয়েছিলেন জহুরুল ইসলাম অমি। কিন্তু তার সেই যাত্রা ভঙ্গ করেন শাহাদাত হোসেন। তার দারুণ লেংথ বলে ৯৬ রানে ক্লিন বোল্ড হন।

এরপর আর কোন বিপদ নয়। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও সাব্বির রহমান জুটিতে ৪ উইকেটে ৪৭.৩ ওভারে ২৫৪ রান সংগ্রহ করে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে আবাহনী। মোসাদ্দেক সৈকত অপরাজিত ছিলেন ১৮ রানে আর সাব্বির রহমান ২১ রানে।

সারাবাংলা/এমআরএফ/এসএন

ডিপিএল ২০১৯

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর