৩০-৪০ এর অভিশাপ থেকে বেরিয়ে আসতে চান সৌম্য
২৮ মার্চ ২০১৯ ১৫:২০
নিউজিল্যান্ড সফরে ওয়ানডে সিরিজটি দুঃস্বপ্নেরর মতো কেটেছে সৌম্য সরকারের। তিন ম্যাচ সিরিজের কোনটিতেই ব্যক্তিগত ৩৫ রানের কোঠাও স্পর্শ করতে পারেননি। সফরে তার ব্যাট থেকে সর্বোচ্চ এসেছে ৩০ রান। নিউজিল্যান্ড সফর থেকে দেশে ফিরে দিন কয়েকের বিশ্রাম নিয়ে আবাহনীর জার্সি গায়ে নেমে পড়েছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। কিন্তু সেখানেও সেই তথৈবচ অবস্থা। সবশেষ খেলা তিন ম্যাচ থেকে তার সংগ্রহ যথাক্রমে ৩৩, ৩৬, ৪৩। বিশ্বকাপ সামনে নিজের দৈন্য ব্যাটিং দেখে নড়েচড়ে বসেছেন এই টাইগার ওপেনার।
বিশ্বকাপের মঞ্চে ইনিংসগুলোকে আরো বড় করতে এবং ম্যাজিক ফিগারে উন্নীত করতে এখন থেকেই পরিকল্পনা আটছেন সৌম্য। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে তিনি একথা বলেন।
সৌম্য জানান, ‘আমি মনে করি যে আমার জন্য ম্যাচের প্রস্তুতিটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর উইকেটের মধ্যে পরিকল্পনাটা অনেক বেশি থাকতে হবে। সাধারণত আমি যে এমন ৩০ বা ৪০ করার পর আউট হয়ে যাচ্ছি ঐ জায়গাটা থেকে কিভাবে বের হওয়া যায়, তেমন পরিকল্পনা করছি।’
সৌম্য আরও জানান, ‘উইকেটের মধ্যে থেকে কতটা শিখতে পারছি সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। হয়তো বা হচ্ছে না, তবে এর মধ্যেও অনেক কিছু শেখার ছিল আমার। গত তিন ম্যাচেও আপনি দেখবেন যে আমি ৩৩, ৩৬, ৪৬ করে আউট হয়ে গিয়েছি। এর মধ্যে যে প্ল্যানগুলো ছিল সেটি আমার জন্য ভালো এবং আমিও খুশি যে আমার পথটা ঠিক ছিল। তবে আমি আউট হয়েছি ভালো বল গুলোতে। হয়তো দিনটি আমার ছিল না।’
সৌম্য সরকারের বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালে। অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডের ওই আসরে এক টগবগে তরুণকে দেখেছিল ক্রিকেট বিশ্ব। চাপহীন নির্ভীক এক একটি শটস খেলে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিও ওই বিশ্বকাপেই। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন ৫১ রানের ইনিংস। কম যাননি ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও। ৫২ বলে করেছিলেন ৪০ রান। তাতে টাইগারদের জয়ের পথ অনেকটাই প্রশস্ত হয়েছিল।
সেই সৌম্য এখন বেশ পরিপক্ক ও অভিজ্ঞ। কাজেই গেল আসরের তার সেই তরুণ্যদীপ্ত ব্যাটিং হয়তো বিশ্বকাপের এবারের আসরে দেখা যাবে না। কারণ দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকতে হলে চাপ কিছুটা থাকবে। তবে সেই চাপ নিতে তিনি প্রস্তুত। আর এক্ষেত্রে তাকে সাহায্য করছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বিগত বছরগুলোর অভিজ্ঞতা। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অভিজ্ঞতার ঝুলি তো আছেই।
‘আসলে আগেরটাতে পুরোই নতুন ছিলাম। আর এবার যদি সুযোগ পাই তাহলে অবশ্যই পরিকল্পনা তেমনই থাকবে। হয়তোবা এবার পরিকল্পনা একটু ভিন্ন থাকবে। ঐ সময় যেভাবে জুনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে ফ্রি মাইন্ডে খেলেছি এখন হয়তো অতটা ফ্রি থাকবো না, একটু চাপ তো থাকবে। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যতটুকু অভিজ্ঞতা হয়েছে ওখানে গিয়ে সেটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করবো। আগে যে বিশ্বকাপ খেলেছি, বা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলেছি- ওখানে যে সাহস নিয়ে খেলেছি সেটা ধরে রাখার চেষ্টা থাকবে।’ যোগ করেন সৌম্য।
সারাবাংলা/এমআরএফ/এমআরপি