জোড়া সেঞ্চুরি ডিঙিয়ে প্রাইমের জয়
৩০ মার্চ ২০১৯ ১৮:৩৫
জয়ের জন্য প্রাইম ব্যাংকের লক্ষ্যটি মোটেও সহজ ছিল না। ৩৩১ রানের টার্গেট বিস্ময়করভাবে ছুঁয়ে ফেলেছে দলটি! অবশ্য সেজন্য বিস্তর কাঠখড়ও পোড়াতে হলো না। মাত্র ৫ উইকেটের খরচায় বাজিমাত করে দিল। বল বাকি ছিল ৭টি। নিদারুণ আশাহত দলটির নাম ব্রাদার্স ইউনিয়ন। বৃথাই গেল ফজলে মাহমুদ ও মিজানুরের জোড়া সেঞ্চুরি।
শনিবার (৩০ মার্চ) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ফজলে মাহমুদের ১৪৭ বলে অপরাজিত ১৪৯, মিজানুর রহমানের ১০০ ও ইয়াসির আলীর ৩৭ বলে অপরাজিত ৬১ রানে ভর করে মাত্র ২ উইকেটর খরচায় নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩৩০ রানের বড় সংগ্রহ পায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন।
প্রাইম ব্যাংকের হয়ে একটি উইকেট নিয়েছেন হাসান। অপরটি রানআউট।
৩৩১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো করতে পারেনি প্রাইম ব্যাংক। দলীয় ১৯ রান তুলতেই হারাতে হয়েছে ওপেনার সালমান হোসেনকে। সাজেদুলের বলে ব্যক্তিগত ১৩ রানে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন সালমান। দ্বিতীয় উইকেটে অভিমানু ইশওয়ারনের সঙ্গে ৭৫ রানের জুটি গড়ে ব্যক্তিগত ৫৪ রানে মোহাম্মদ শরীফের বলে ক্রিজছাড়া হন এনামুল হক বিজয়। ৪৭ বল থেকে এই সংগ্রহ পেয়েছেন বিজয়।
বিজয়ের বিদায়ে তৃতীয় উইকেটে আসেন মোহাম্মদ আল আমিন। ইশওয়ারনের সঙ্গে সপ্রতিভ ব্যাটেই ব্রাদার্স বোলারদের জবাব দিচ্ছিলেন। দারুণ ব্যাটিংয়ে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১৪তম ফিফটি। তবে ইনিংসটি খুব বেশি দূর এগিয়ে নিতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৫২ রানে সাজেদুলের বলে ইয়াসির আলীর ক্যাচ বনে যান। এই জুটিতে আসে ৮০ রান।
তবে প্রাইম ব্যাংক ভেলকি দেখিয়েছে চতুর্থ উইকেট জুটিতে। অলোক কাপালি ও অভিমানু ইশওয়ারনের অবিচ্ছিন্ন ১১১ রানে ২৭৪ রানের সংগ্রহ পায়। জয়ের দুর্গম পথ পাড়ি দিতে তখন বাকি আর মাত্র অল্প পথ। ঠিক তখনই নাইম ইসলামের আঘাতে ব্যক্তিগত ৯০ রানে কাটা পড়েন অভিমানু।
এরপর নাহিদুলকে সঙ্গে নিয়ে ৭ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটে ৩৩১ রান সংগ্রহ করে প্রাইম ব্যাংককে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন অলোক কাপালি। ৬৫ বলে খেলেছেন অপরাজিত ৮২ রানের এক ঝড়ো ইনিংস। ব্রাদার্সের হয়ে বল হাতে সাজেদুল ইসলাম ৩টি এবং মোহাম্মদ শরীফ ও নাইম ইসলাম জুনিয়র ১টি করে উইকেট নিয়েছেন। ম্যাচসেরা হয়েছেন ফজলে মাহমুদ।
সারাবাংলা/এমআরএফ/এমআরপি
** বিকেএসপি-শাইনপুকুর ম্যাচ টাই
** পুঁচকে উত্তরা হারিয়ে দিল মোহামেডানকে