অনেক জল্পনার শেষে এক হয়েছে দুই কোরিয়া
২৪ জানুয়ারি ২০১৮ ১১:৫৯
সারাবাংলা ডেস্ক
ফেব্রুয়ারিতে শুরু হতে যাওয়া শীতকালীন অলিম্পিকে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া এক পতাকার নিচে হাঁটবে। দুই বছরেরও বেশি সময়ে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা শেষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ইতোমধ্যে উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধিদল যৌথ অলিম্পিকের নানা ইভেন্টের ভেন্যু পরিদর্শনের জন্য সীমান্ত অতিক্রম করে দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছেছে।
২০১৮ সালের প্রথম দিনই দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। তাতে সাড়া দিয়ে দিনক্ষণসহ পাল্টা প্রস্তাব দেয় দক্ষিণ কোরিয়া। এরপরই টেলিফোন হটলাইন চালুর সিদ্ধান্ত হয়। এর ধারাবাহিকতায় অলিম্পিকের মার্চে একই পতাকার নিচে দেখা যাবে দুই দেশের অ্যাথলেটদের।
দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়ানহোপ বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, প্রায় দুই বছরের মধ্যে উত্তর কোরিয়ায় সিউল কর্মকর্তাদের এটা প্রথম সফর। টেলিভিশন ফুটেজে দেখা যায়, উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধিরা এক ঘণ্টার মধ্যেই সিউল রেল স্টেশনে পৌঁছায়। প্রতিনিধিরা উত্তর কোরিয়ার মোরাবঙ্গ ব্যান্ডের প্রধান হন গান উলের নেতৃত্বে সাতজন কর্মকর্তার একটি দল নিয়ে আগমন করেন দক্ষিণ কোরিয়ায়।
প্রায় ১১ বছর আগে ২০০৬ সালে শীতকালীন অলিম্পিকে কোরীয় উপদ্বীপের পতাকা নিয়ে একসঙ্গে পদযাত্রা করেছিলেন দুই কোরিয়ার প্রতিনিধিরা।
দক্ষিণ কোরিয়ার পিয়েঅংচাংয়ে অনুষ্ঠিতব্য শীতকালীন অলিম্পিকের এবারের আসরে দুই কোরিয়ার আইস হকি দল মিলে সম্মিলিতভাবে একটি দল গঠন করবে বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, যৌথভাবে প্রশিক্ষণ ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেবেন দুই দেশের খেলোয়াড়রা। অলিম্পিকের সময় কোরীয় যুদ্ধে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া পরিবারগুলোর পুনর্মিলনের প্রস্তাবও রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচির কারণে গত কয়েক বছর ধরে কোরীয় উপত্যকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। অবশ্য অলিম্পিকে এক পতাকা নিয়ে দুই কোরিয়ার অংশ নেয়ার ঘটনা এটিই প্রথম হবে না। ২০০০ সালে সিডনিতে অনুষ্ঠিত অলিম্পিকে প্রথমবারের মতো দুই কোরিয়ার অ্যাথলেটরা একটি পতাকা নিয়ে মার্চ করেছিলেন। এছাড়া, ২০০৪ সালের এথেন্স অলিম্পিক ও ২০০৬ সালে ইটালিতে অনুষ্ঠিত শীতকালীন অলিম্পিকেও এক পতাকা নিয়ে মার্চ করেন দুই কোরিয়ার অ্যাথলেটরা। তবে ইভেন্টগুলোতে নিজ নিজ পতাকা নিয়েই লড়েছে দুই কোরিয়ার অ্যাথলেটরা। আর পদক জয়ের পর নিজ নিজ দেশের জাতীয় সংগীতে গলা মিলিয়েছেন তারা।
সারাবাংলা/এমআরপি