এতো ভালোবাসা পাব ভাবিনি: রুবেল
১ এপ্রিল ২০১৯ ১৯:২৯
তার চেহারায় সেই উজ্জ্বলতা নেই, নেই স্বতস্ফুর্ততা। চলায় ও বলায় নেই সপ্রতিভতা। ভীষণ বিবর্ণ দেখাচ্ছিল। যেন প্রলয়ী কোনো ঝড় তার স্বাভাবিক জীবনকে থমকে দিয়েছে। বলছিলাম বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক সময়ের স্পিনার ও ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত পারফর্মার মোশাররফ হোসেন রুবেলের কথা।
সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ব্রেইন টিউমারের সফল অস্ত্রোপচার শেষে গত শনিবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছেন রুবেল। সোমবার এসেছিলেন (১ এপ্রিল) হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে। তখন মিরপুর শের-ই-বাংলায় চলছিল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শেখ জামাল ধানমন্ডি ও প্রাইম দোলেশ্বরের মধ্যকার ম্যাচ। রুবেলের সঙ্গে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
সেখানে উপস্থিত সংবাদমাধ্যম কর্মীরা তার সঙ্গে কথা বলতে গেলে ঠিকমতো গুছিয়ে বলতে পারছিলেন না কিছুই। কি বলছেন বা বলতে চাইছেন বারবারই ভুলে যাচ্ছিলেন। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিলো কথা বলতে ভীষণ সমস্যা হচ্ছে।
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে মাত্র ১ মিনিটের কথায় নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে কৃতজ্ঞতা জানালেন দেশের মানুষ এবং জাতীয় দলের সাবেক সতীর্থদের প্রতি, ‘মানুষের এতো ভালোবাসা পাব, এতো সাড়া পাব ভাবি নাই। প্রতি মুহূর্তে খবর নিয়েছে…আসলে আমার কথা বলতে একটু সমস্যা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী এসেছিলেন, গণপূর্তমন্ত্রী এসেছিলেন, বিসিবির সভাপতি পাপন ভাই এসেছিলেন। সাকিব, মাশরাফি, তামিম খবর নিয়েছে। এতো ভালবাসা পাব চিন্তা করি নাই। দেশবাসীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’
মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের বিখ্যাত নিউরো সার্জন এলভিন হংয়ের তত্ত্বাবধানে অস্ত্রোপচার হয় রুবেলের। পুরো অস্ত্রোপচার শেষ হতে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার মতো সময় লাগে। সফল অস্ত্রোপচারের কিছুক্ষণ পরই জ্ঞান ফেরে ৩৭ বছর বয়সী এ ক্রিকেটারের।
স্বস্তির ব্যাপার হলো, মোশাররফ রুবেলের ব্রেইন টিউমারে ক্যান্সারের কোনো অস্বিস্ত পাওয়া যায়নি। এ কারণে ক্যান্সারের হাত থেকে পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত তিনি। তবে কেমো এবং রেডিওথেরাপি দিতে আগামী মাসে আরও একবার সিঙ্গাপুর যেতে হবে বাঁহাতি এই স্পিনারকে। প্রতি মাসেই নিয়ম করে দিতে হবে এই থেরাপি, যাতে করে টিউমারটা নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। তাই এই চিকিৎসা পদ্ধতিটা বেশ ব্যয়বহুল।
সারাবাংলা/এমএরএফ/এমআরপি