পাহাড়সম পুঁজি নিয়েও মোহামেডানের হার
৫ এপ্রিল ২০১৯ ১৯:৫৯
বড় পুঁজি নিয়েও যেন হারের মুখ দেখছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। এর আগে লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জের বিপক্ষে ২৯৫ রানের বিশাল সংগ্রহ নিয়েও হারতে হয়েছে। এবার শের-ই-বাংলায় আরও বড় পুঁজি করেও শাইনপুকুরের কাছে একই পরিণাম নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে সাদা-কালো জার্সিধারীদের। মোহামেডানের ৩২৪ রানের পাহাড়সম ২ উইকেট আর ২ বল হাতে রেখেই টপকে গেছে শাইনপুকুর।
অবিশ্বাস্য এই জয়টা মোটেও সহজ ছিল না শাইনপুকুরের জন্য। কম রানে উইকেট পতনের অব্যাহত ধারাকে ফুল স্টপ করে দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। তার ৮৬ বলে ৯৭ রানের স্রোতের বিপরীতের ইনিংসই জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয় শাইনপুকুরকে। ধ্বংসস্তুপ থেকে টেনে আনা ধ্রুবোর ইনিংসের পর সোহরাওয়ার্দী শুভ আর পেসার দেলোয়ার হোসেনের ব্যাটিংয়ে পূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে শাইনপুকুর। হার লেখা হয় মোহামেডানের নামের পাশে।
অথচ ৩২৫ রানের পাহাড় টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১১৭ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল শাইনপুকুর। সেখান থেকে দলকে টেনে তুলেন আফিফ। ষষ্ঠ উইকেটে অমিত হাসানকে নিয়ে ১১৮ রানের ম্যাচ জেতানো এক জুটি গড়েন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
অমিত ৪৩ করে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। ঝড়ো গতিতে এগিয়ে চলা আফিফ সেঞ্চুরির খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন। ৮৬ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায় ৯৭ রানে এসে শাহাদাত হোসেনের বলে ভুল করে বসেন তিনি। ৩ রানের আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয় সাজঘরে।
তখনও শাইনপুকুরের জয়ের জন্য ৬৪ রান দরকার। বাকি দায়িত্বটুকু পালন করেছেন সোহরাওয়ার্দি শুভ আর দেলোয়ার হোসেন। ১৯ বলে ৩৪ রানের এক ইনিংস খেলে দেলোয়ার যখন ফিরেছেন, জয়ের জন্য আর মাত্র ৫ রান দরকার শাইনপুকুরের। ২৩ বলে ৩৪ করা সোহরাওয়ার্দি শুভ বিজয়ীর বেশেই মাঠ ছেড়েছেন।
এর আগে টপ অর্ডারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে খুব ভালো অবস্থানে ছিল মোহামেডান। লিটন দাস (৮৪), ইরফান শুক্কুর (৫০), অভিষেক মিত্র (৫০) আর রকিবুল হাসান (৭৪)-টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যানই হাফসেঞ্চুরি করেন। ৪৫ করেন পাঁচ নাম্বারে নামা সোহাগ গাজীও।
কিন্তু ৪৫তম ওভার শেষেও ৪ উইকেটে ২৮৬ রানে থাকা দলটি শেষ ৩০ বলে করতে পারে মাত্র ৩৮ রান। উইকেট হারায় ৬টি। ৬ উইকেট হাতে নিয়েও যে দল শেষ ৫ ওভার পূর্ণ হওয়ার তিন বল আগেই অলআউট হয়ে যায়, দিনটি আসলে সে দলের জন্য ছিল না। মোহামেডানের এই হারটা যেন পাওনাই ছিল!
সারাবাংলা/জেএইচ