তবুও শেষ হাসি গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের
৮ এপ্রিল ২০১৯ ১৭:৪৪
মেহেদি হাসানকে বিতর্কিত আউটের ফাঁদে ফেলে শাইনপুকুর ক্রিকেটার্সকে হয়তো অন্যায়ভাবে জিতিয়ে দেয়ার পায়তারা করছিলেন আম্পায়ার! কিন্তু প্রকৃতির সঙ্গে কী আর পাল্লা চলে? আম্পায়ারের কূটচালে বৃষ্টি ঢেলে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে জয় উপহার দিল প্রকৃতি।
শাইনপুকুরের দেয়া ১৭৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা গাজী ক্রিকেটার্সের ইনিংস বৃষ্টিতে বাধাগ্রস্থ হলে ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ২১ রানের জয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শেষ ছয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখলো কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের শিষ্যরা।
সোমবার (৮ এপ্রিল) সকালে বৃষ্টি হানা দিলে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ও শাইনপুকুরের মধ্যকার ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসে ৪৮ ওভারে।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা শাইনপুকুরের ব্যাটিং লাইন আপ গাজী গ্রুপের আক্রমণাত্মক বোলিংয়ের সামনে ছিল দারুণ অসহায়। টপ অপর্ডারের সাদমান ইসলামের ৪০ ও টেলএন্ডার দোলোয়ার হোসেনের ৪০ রানের ইনিংস দুটি বাদ দিলে বলার মতো রান আর কোনো ব্যাটসম্যানই পাননি।
ব্যক্তিগত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩০ রান এসেছে দলপতি সোহরাওয়ার্দী শুভর ব্যাট থেকে। ২৪ রান করেন ওপেনার সাব্বির হোসেন। তাতে ভর করে ৪৮ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৭ রানের মামুলি সংগ্রহ পায় শাইনপুকুর।
বল হাতে গাজী গ্রুপের হয়ে দাপট দেখিয়েছেন সঞ্জিত সাহা। একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট। বাকি ৫ উইকেটের ২টি নাসুম আহমেদ এবং ১টি করে নিয়েছেন কামরুল ইসলাম রাব্বি ও আবু হায়দার রনি।
১৭৮ রানের লক্ষ্য তাড়া নেমে মোস্তাফিজের বোলিং তোপের মুখে পড়ে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের টপঅর্ডার। চার মৌসুম পর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলতে নেমে প্রথম ওভারেই ফিজ তুলে নেন ২ উইকেট। পরে আরো একটি উইকেট শিকার করলে প্রথম স্পেল শেষে ২০ রানের বিনিময়ে থলিতে জমান ৩ উইকেট। যদিও তার তৃতীয় ও শেষ শিকার মেহেদি হাসানের উইকেট নিয়ে মাঠে ক্রিকেটার ও আম্পায়ারদের মধ্যে বিস্তর বিতর্ক হয়েছে। যার উত্তাপ ডাগ আউটে থাকা গাজী গ্রুপের ম্যাচ অফিশিয়ালদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে।
যা হোক ইমরুলদের ব্যাটিংয়ের ২১.৫ ওভারে বৃষ্টি হানা দিলে ম্যাচ বন্ধ হয়ে যায়। তখন তাদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১০৬ রানে। এরপর আর মাঠে খেলা না গড়ালে বৃষ্টি আইনে ২১ রানের জয়ে মাঠ ছাড়ে গাজী গ্রুপ।
শামসুর রহমান শুভ অপরাজিত ছিলেন ৫৩ রানে। ৬৫ বলে এই ইনিংসটি সাজাতে শামসুর খেলেছেন দৃষ্টিনন্দন ৯টি চারের মার। ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন দলের পাকিস্তানি মিডল অর্ডার কামরান গুলাম। রনি তালুকদারের ব্যাট থেকে এসেছে ১৬ রান। এর আগে ওপেনার ওয়ালিউল করিম ফিরেছেন ০ রানে, বিতর্কিত আউটের ফাঁদে পড়া মেহেদি হাসান ১৩ ও ইমরুল কায়েস নিজের ইনিংসের ফুলস্টপ টেনেছেন ৫ রানে।
বল হাতে শাইনপুকুরের হয়ে মোস্তাফিজুর রহমান ৬.৫ ওভারে ২৩ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নিয়েছেন। আর অপরটি ছিল রান আউট।
সারাবাংলা/এমআরএফ/এমআরপি