অদম্য মাইশুকুর, তিনে থেকে সুপার লিগে প্রাইম ব্যাংক
১১ এপ্রিল ২০১৯ ১৭:২৭
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের হয়ে ব্যাট হাতে একাই লড়েছিলেন ওপেনার মাইশুকুর রহমান। সতীর্থ ইনফর্মড ব্যাটসম্যানরা যখন প্রাইম ব্যাংকের বোলিং তোপে থরহরিকম্প তখন একাই দৃঢ় ব্যাটে দলকে কক্ষপথে রেখেছিলেন। ১২৪ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ড্রেসিং রুমে ফিরে যান তিনি। শেষ রক্ষা হয়নি গাজী ক্রিকেটার্সের। প্রাইম ব্যাংকের দেয়া ২০২ রানের লক্ষ্য ছুঁতে নামা দলটি ৪৫.২ ওভারেই গুটিয়ে যায় ১৬৭ রানে।
৩৪ রানের জয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের লিগ পর্বের খেলা করে শেষ ছয়ে নামবে প্রাইম ব্যাংক। আর ইমরুল কায়েসরা ছিটকে গেল লিগের সুপার সিক্সের লড়াই থেকে। আটে থেকে লিগ শেষ করলো কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের শিষ্যরা।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেএসপিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা মোটেও আশা জাগানিয়ো করতে পারেনি প্রাইম ব্যাংক টপ অর্ডাররা। যার সুস্পষ্ট প্রভাব ছিল লোয়ার মিডল অর্ডার পর্যন্তও। দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও জাকির হাসান ফিরেছেন যথাক্রমে ৪ ও ৯ রানে। টপ অর্ডারের সুদীপ চ্যাটার্জি ২১ ও আল আমিন ৯ রানে কাটা পড়েছেন। মিডল অর্ডারের অলোক কাপালি ১৪ ও নাহিদুল ইসলাম ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন ১৮ রানে।
তবে লোয়ার মিডল অর্ডারে যতসামান্য লড়েছেন নাইম হাসান ও আারিফুল হক। দুজনই খেলেছেন ৩৪ রানের ইনিংস। এরপর টেলএন্ডার মনির হোসেনের অপরাজিত ২৫ রানে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২০১ রানের সংগ্রহ পায় প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।
বল হাতে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের হয়ে দাপট দেখিয়েছেন সঞ্জিত সাহা। একাই নিয়েছেন ৩ উইকেট। এছাড়া, নাসুম আহমেদ, কামরান গোলাম ২টি করে উইকেট পান। আর আবু হায়দার রনি ও কামরুল ইসলাম রাব্বির শিকার ছিল ১টি করে উইকেট।
২০২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে নাইম, কাপালিদের আক্রমণাত্মক বোলিংয়ের সামনে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের ব্যাটসম্যানরা ছিলেন ভীষণ অসহায়। মাইশুকুরের ৭৪ রানের ইনিংসটি বাদ দিলে উল্লেখ করার মতো ব্যাটিং উপহার দিতে পারেননি কেউই।
রনি তালুকদার ১০, ইমরুল কায়েস ১৮, শামসুর রহমান শুভ ২৭, কামরান গোলাম ১৪, শামসুল ইসলাম ০ ও মেহেদি হাসান ফিরে গেছেন মাত্র ২ রানে। দলের বিপর্যয়ে টেলেএন্ডাররাও হাল ধরতে পারেননি। আবু হায়দার রনি ৩, সঞ্জিত সাহা ১২, নাসুম আহমেদ ২ ও কামরুল ইসলাম রাব্বি অপরাজিত ছিলেন ১ রানে।
উইকেট শিকারে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে এগিয়ে ছিলেন নাইম হাসান ও অলোক কাপালি। দুজনের শিকারই ছিল ২টি করে। আরিফুল হক, আল-আমিন হোসেন ও মনির হোসেন যথাক্রমে ১টি করে উইকেট শিকার করেছেন।
৬৬ ম্যাচ শেষে সুপার সিক্স নিশ্চিত করেছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ (২০ পয়েন্ট), আবাহনী (১৬ পয়েন্ট), প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব (১৬ পয়েন্ট), প্রাইম দোলেশ্বর (১৪ পয়েন্ট), মোহামেডান (১২ পয়েন্ট) এবং শেখ জামাল (১২ পয়েন্ট)। সাত থেকে দ্বাদশ হয়ে মৌসুম শেষ করলো যথাক্রমে শাইনপুকুর, গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স, ব্রাদার্স, খেলাঘর, বিকেএসপি এবং উত্তরা স্পোর্টিং ক্লাব।
সারাবাংলা/এমআরএফ/এমআরপি