শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারটা ‘জেগে ওঠার ডাক’: মাশরাফি
২৫ জানুয়ারি ২০১৮ ১৭:৪৫
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
‘ব্যাড ডে’ কথাটাও আসলে একটু কম হয়ে যায়। বাংলাদেশ আজকে যেমন ব্যাটিং করল, সেটার ব্যাখ্যায় মাশরাফি বিন মুর্তজাও যেন খানিকটা খেই হারিয়ে ফেললেন। তবে ফাইনালের আগে এই ম্যাচটা দেখেছেন দলের জন্য ‘জেগে ওঠার ডাক’ হিসেবেই।
আগের ম্যাচেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। আজ মিরপুরে বাংলাদেশকে প্রথমবারের মতো ১০ উইকেটের হারের স্বাদ দিয়ে সেটি যেন ফিরিয়ে দিল শ্রীলঙ্কা। মাশরাফিও এমন হারের পর কিছুটা যেন হকচকিত।
‘আমরা জানি যে শ্রীলঙ্কা আমাদের হারাতে পারে। কিন্তু এভাবে আমরা হারব সেটা কেউই প্রত্যাশা করিনি। এটাতো সত্যি। ড্রেসিং রুমের কেউই এটা বিশ্বাস করবে না যে আমাদেরকে শ্রীলঙ্কা হারাতে পারে না। শেষ তিন ম্যাচ এভাবে খেলার পর এভাবে হারব সেটা হয় না। আসলে এভাবে তিন ম্যাচে পারফরম্যান্সের পর মন্তব্য করাও কঠিন। ম্যাচের খুঁটিনাটি নিয়ে ব্যাখ্যা করাও কঠিন।’
তারপরও ফাইনাল ম্যাচ বাকি, মাশরাফি তাই ম্যাচটা দেখছেন সবার জন্য মাটিতে নেমে আসার মতোই, ‘আমার কাছে মনে হয়… যেভাবে আমরা শেষ তিন ম্যাচ খেলেছি সেভাবেই আমাদের চিন্তা করতে হবে। এখন আমাদের ইতিবাচক ক্রিকেট খেলতে হবে। হয়তোবা এটা আমাদের জন্য ফাইনালের আগে ছিল জেগে ওঠার ডাক। হয়তো আমাদের নার্ভটা আরেকটু শক্ত হবে।’
মাশরাফির সংবাদ সম্মেলন
কিন্তু এমন হারের কারণ কি অতি আত্মবিশ্বাস দায়ী? মাশরাফি অবশ্য সেটি স্বীকার করলেন না, ‘সত্যি কথা বলতে কি কাল রাতে বলেন, আর আজকের কথা বলেন সবাই একসঙ্গে ছিলাম। কাল রাতেও মিটিং হয়েছে। কারো ভেতর এমন দেখিনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এমন থাকার (অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী) সুযোগ ছিল না, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তো না-ই। যেটা বলতে পারেন আমরা খুবই বাজে ক্রিকেট খেলেছি।’
আপাতত এই ম্যাচটা তাই শিক্ষা হিসেবেই দেখছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘এরকম অবস্থায় পড়ি তা অবশ্যই আমরা চাইব না। এটা একটা বার্তা যে আমাদের বাজে দিনে আমরা কতটা খারাপ খেলতে পারি। এটাও আমাদের জানা হলো। ফাইনাল ম্যাচে যে তাড়াতাড়ি দুটা উইকেট পড়বে না সেই গ্যারান্টি নেই। পরপর দুই বলে সাকিব-তামিম দুজনই আউট হয়ে যেতে পারে। আজকে আমরা না পারলেও কিছুটা হলেও আমাদের ধারণা পাওয়া গেল যে এ রানটাকে কতদূর নিয়ে যাওয়া যেতে পারে।’
ফাইনালের আগে এই হার ইতিবাচক একটা ধাক্কাই দেবে, সেটাই চাইবে বাংলাদেশ।
সারাবাংলা/এএম/এমআরপি