ভাসের চোখে নির্ভরতার প্রতীক মালিঙ্গা
২৪ এপ্রিল ২০১৯ ১৪:০৮
২০১৬ সালে কোনো ওয়ানডে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। ২০১৭ সালের প্রথমভাগে জাতীয় দলে ছিলেন না শ্রীলঙ্কান পেসার লাসিথ মালিঙ্গা। ইনজুরি আর অফফর্মে ডানহাতি এই পেসার হারিয়েই গিয়েছিলেন। ২১৮ ওয়ানডেতে ৩২২ উইকেট নেওয়া মালিঙ্গাকে আসন্ন বিশ্বকাপের তুরুপের তাস মনে করছেন লঙ্কান সাবেক পেসার চামিন্দা ভাস।
২০১৫ সালের ৭ নভেম্বর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ খেলে আর সুযোগ হয়নি। ২০১৭ সালের ৩ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফিরেছিলেন। একই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর ভারতের বিপক্ষে খেলার পর আবারো হারিয়ে যান মালিঙ্গা। এক বছরেরও বেশি সময় পর ২০১৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ফিরেছিলেন। আবুধাবিতে এশিয়া কাপের সেই ম্যাচেই মালিঙ্গা ১০ ওভারে ২৩ রান খরচায় তুলে নেন বাংলাদেশের চারটি উইকেট। ফেরাটা হয়েছিল ফেরার মতোই।
এটাই হতে যাচ্ছে মালিঙ্গার শেষ বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের স্কোয়াড নিয়ে চামিন্দা ভাস জানান, গত কয়েক মাসে শ্রীলঙ্কা খুব একটা ভালো সময় পার করেনি। কিন্তু, বিশ্বকাপের স্কোয়াডটি যদি আপনারা দেখেন তাহলে বুঝবেন নির্বাচকরা যাদের রেখেছে তারা কতটা দারুণ পারফরমার। আমি মনে করি নির্বাচকরা যাদের সুযোগ দিয়েছেন তারা এই বিশ্বকাপে দারুণ পারফর্ম করবে। দেশের জন্য তাদের বাড়তি কিছু করার ইচ্ছাটাই তাদের ভালো খেলতে সহায়তা করবে।
২০১৭ সালে জাতীয় দলের বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন ভাস। স্বদেশি পেসার মালিঙ্গাকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, কোনো সন্দেহ নেই মালিঙ্গা বিশ্বের সেরা বোলারদের মধ্যে অন্যতম। অবশ্যই লঙ্কান দলের জন্য সে তুরুপের তাস হতে পারে। আমরা চোখ বন্ধ করেই তার উপর নির্ভর করতে পারি। আর পেসারদের সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে না। মালিঙ্গা দলের জন্য শতভাগ দিয়ে থাকে।
কদিন আগে আইপিএলের দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে খেলেই দেশের বিমান ধরেছিলেন মালিঙ্গা। বিমান থেকে নেমেই সোজা স্টেডিয়ামে, যেখানে ঘরোয়া টুর্নামেন্টে একটি দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। মাত্র ১০ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই দেশের দুই ফরম্যাটের দুটি ম্যাচে খেলতে নেমে আলোড়ন তুলেছিলেন। চেন্নাইয়ের বিপক্ষে জয় পাওয়া সেই ম্যাচে মালিঙ্গা ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে তুলে নেন তিনটি উইকেট। মুম্বাই ম্যাচটি জেতে ৩৭ রানে। এরপর দিমুথ করুনারত্নের ক্যান্ডির বিপক্ষে শ্রীলঙ্কায় সুপার প্রভিশনাল ওয়ানডে কাপ টুর্নামেন্টে গলের অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নামেন মালিঙ্গা। ৯.৫ ওভার বল করে ৪৯ রান খরচায় তুলে নেন ৭টি উইকেট। সেই ম্যাচে মালিঙ্গার দল জেতে ১৫৬ রানের বিশাল ব্যবধানে। দুই দেশের ভিন্ন ফরম্যাটে ২৪ ঘণ্টায় মালিঙ্গা তুলে নেন ১০ উইকেট।
ভাস জানালেন, মুম্বাই আর গলের হয়ে মালিঙ্গা দুটি ম্যাচে যে পারফরম্যান্স দেখিয়েছে সেটি সত্যিই প্রশংসনীয়। এটা প্রমাণ করে যেকোনো পরিস্থিতিতেই সে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। দলের প্রতি আর দেশের প্রতি গৃহীত দায়িত্ব থেকে সে পিছপা হয় না। আমি মনে করি আসন্ন বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কানদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে মালিঙ্গা।
সারাবাংলা/এমআরপি
** স্কুল ক্রিকেটের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা হাই স্কুল