বিশ্বকাপে স্পিনাররা বড় ভূমিকা রাখবে: সাকিব
২৫ এপ্রিল ২০১৯ ১৬:৪২
৩০ মে থেকে ইংল্যান্ডে শুরু হতে যাচ্ছে দ্বাদশ বিশ্বকাপ। বলা হচ্ছে ইংলিশ কন্ডিশনে পেসাররাই বন্ধু হিসেবে পাবে ২২ গজের উইকেটকে। পেসবান্ধব উইকেটে গতির ঝড় তুলবেন ডেল স্টেইন, লাসিথ মালিঙ্গা, কেমার রোচ, টিম সাউদি, ক্রিস ওকস, প্যাট কামিন্স, হাসান আলিরা। তাহলে কি বসে থাকবেন ইমরান তাহির, মঈন আলি, অ্যাডাম জাম্পা, যুভেন্দ্র চাহাল, রশিদ খানরা?
টাইগারদের স্পিনিং অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের মতে, এবারের বিশ্বকাপে ঘূর্ণি জাদু দিয়ে বড় ভূমিকা রাখবে স্পিনাররা।
এবারের বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ সহ দশ দল। প্রতিটি দলই প্রত্যেক দলের বিপক্ষে খেলবে। সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাওয়া চারটি দল উঠবে সেমি ফাইনালে। সেখান থেকে ফাইনালে দুই দল। ৩০ মে শুরু হওয়া আইসিসির এই মেগা ইভেন্টের ফাইনাল হবে লর্ডসে, ১৪ জুলাই। এবার বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে দেড়মাস ব্যাপী।
সাকিব এই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে কথা বলেছেন। আইপিএলে ব্যস্ত সময় পার করা সাকিব ভারতীয় গণমাধ্যমে জানান, এই বিশ্বকাপের ফরমেশন দেখে মনে হচ্ছে স্পিনাররা বড় একটা ভূমিকা পালন করবে। কারণ এই টুর্নামেন্টটি হতে যাচ্ছে লম্বা একটা সময়ের জন্য। যেখানে ইংলিশ কন্ডিশনে উইকেট সহজেই শুষ্কভাব নেয়। টুর্নামেন্টের শেষ দিকে স্পিনাররা আরও ভালো করবে বলে মনে হচ্ছে।
বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ ত্রিদেশীয় সিরিজে অংশ নেবে। সেখানে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে অংশ নেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সাকিব সেই সিরিজ নিয়েও কথা বলেন। আগামী ১ মে আয়ারল্যান্ডের বিমান ধরবে টাইগাররা। এর মধ্যে কন্ডিশনিং ক্যাম্প শুরু হয়েছে মাশরাফি-তামিমদের। সেখানে যোগ দিতে পারেননি আইপিএলে ব্যস্ত থাকা সাকিব। হায়দ্রাবাদের ১০ ম্যাচের প্রথমটি এবং শেষটিতে একাদশে ছিলেন তিনি। দলীয় কম্বিনেশনের কারণে মাঝের বাকি ৮ ম্যাচই ছিলেন দর্শকের ভূমিকায়।
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব জানান, আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো নিজেকে বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত করার। আইপিএলে হয়তো আরও কিছু ম্যাচ খেলার সুযোগ হবে। এটা আমার প্রস্তুতিরও একটা অংশ বলতে পারেন। বাংলাদেশে ফিরে আরও প্রস্তুতির সময় পাব। চেষ্টা থাকবে সর্বোচ্চটা দেওয়ার। এখানে আইপিএল খেলতে এসে নিজেকে প্রস্তুত করছি বিশ্বকাপের জন্য।
নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে সাকিব যোগ করেন, আমার জন্য এ বছরটা খুব ভালো যায়নি। অনেক ম্যাচ খেলতে পারিনি। আইপিএলের এই আসরেও তাই হয়েছে। বিদেশি কোটায় থাকা ক্রিকেটাররা সবাই বেশ ভালো করছেন। বুঝতে পারছি সুযোগ পেতে হলে ভালো কিছুই করতে হবে। দলের জন্য সব সময়ই আমি কিছু না কিছু দিতে চেষ্টা করি। এই বিশ্বকাপে আমাদের নিয়ে অনেক প্রত্যাশা। সব সময়ই সেটা থাকে। একজন পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে বলতে পারি, প্রত্যাশার চাপ আপনাকে সামাল দিতে শিখতে হবে। বাংলাদেশ এখন বিশ্ব ক্রিকেটের বড় এক নাম। আমরা বেশ উন্নতি করেছি। আশা করছি বিশ্বকাপে নিজেদের সেরাটা দিতে পারবো।
৩০ মে ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বিশ্বকাপ। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ২ জুন। প্রথম প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর ৫ জুন নিউজিল্যান্ড, ৮ জুন ইংল্যান্ড, ১১ জুন শ্রীলঙ্কা, ১৭ জুন ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২০ জুন অস্ট্রেলিয়া, ২৪ জুন আফগানিস্তান, ২ জুলাই ভারত আর ৫ জুলাই পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে টাইগাররা।
সারাবাংলা/এমআরপি