ক্ষুধার্ত সাকিবকেই দেখছেন রোডস
২৫ এপ্রিল ২০১৯ ১৮:৫৬
প্রথম ম্যাচের পারফরম্যান্স আপ টু দ্য মার্ক ছিল না সাকিবের। কলকাতা নাইট রাইডার্সের তরুণ ব্যাটিং অলরাউন্ডার শুভমান গিলের ব্যাটে আউটক্লাস হয়ে টানা ৮ ম্যাচ ছিলেন সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের ডাগ আউটে। এরপর দলের দশম ম্যাচ দিয়ে ফিরে ব্যাটিংয়ে নামা না হলেও বোলিংটা করেছেন দারুণ। উইকেট পাননি, তবে ছিলেন দারুণ হিসেবি। চার ওভারে দিয়েছেন ২৭ রান।
এই পারফরম্যান্সেই হয়তো ২৭ এপ্রিল হায়দ্রাবাদের পরের ম্যাচেও তাকে একাদশে দেখা যাবে। কিন্তু ওই শেষ, তার পরদিনই তাকে দেশের বিমানে চাপতে হবে। কেননা দু’দিন বাদেই (১ মে) ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে দলের সঙ্গে উড়াল দেবেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। মানে তিন ম্যাচ (সম্ভাব্য) খেলেই এবারের আইপিএল থেকে তাকে বিদায় নিতে হচ্ছে।
বিষয়টি অনেকেই হয়তো ইতিবাচকভাবে নেননি। বিশ্বকাপ সামনে দলের সঙ্গে অনুশীলন না করে, প্রিমিয়ার লিগে না খেলে আইপিএলে উপেক্ষিত হয়েও সাকিবের ভারতে থাকা নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করছেন। কেউ আবার তাকে খলনায়ক বলেও আখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেটের হেড কোচ স্টিভ রোডসের চোখে তিনি ‘ক্ষুধার্ত সাকিব’।
রোডসের মতে, যেহেতু সাকিব বেশি বেশি ম্যাচ খেলে অভ্যস্ত সেহেতু আইপিএলে খেলা এত কম সংখ্যক ম্যাচ তার মধ্যে আরো বেশি ম্যাচের ক্ষুধা বাড়িয়ে দেবে। সেই তারণা থেকেই বিশ্বকাপে ভালো কিছু করতে সাকিব উদগ্রীব থাকবেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সম্মেলন কক্ষে রোডস একথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আইপিএলে সাকিবের জন্য দুটি ভালো ব্যাপার ঘটেছে। প্রথমটি; সে ক্রিকেটের জন্য ক্ষুধার্ত থাকবে। আপনি যখন অনেক ক্রিকেট খেলে অভ্যস্ত তখন নিশ্চয়ই খেলার জন্য ক্ষুধার্ত থাকবেন। হায়দ্রাবাদে পর্যাপ্ত ম্যাচ খেলতে না পারায় বড় মঞ্চে তার প্রমাণ করার অনেক কিছুই থাকবে। আমার মনে হয় দুটো ব্যাপার থেকেই বাংলাদেশ উপকৃত হবে।’
রোডস প্রশংসা করেছেন সাকিবের দুরদর্শিতা নিয়েও। টানা ৮ ম্যাচে উপেক্ষিত সাকিব দেশে ফিরে দলের সঙ্গে অনুশীলন করে যতটা না উপকৃত হতেন তার চাইতে বেশি উপকৃত তিনি এই দুই ম্যাচ খেলে হচ্ছেন বলে বিশ্বাস করেন লাল সবুজের ক্রিকেটের এই হেড কোচ, আমার মনে হয় সেজন্যই সাকিব আইপিএল ছেড়ে আসেনি। যদি দু’একটা ম্যাচ পায়। তবে এটা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল সত্যি।
কোচ আরও যোগ করেন, আমি আশা করছিলাম সে যেন হায়দ্রাবাদে দুই তিনটি ম্যাচ হলেও পায় এবং অনুশীলনটা করতে পারে। সে সেটা পাচ্ছেও। শেষ ম্যাচে তাকে একাদশে দেখে মনে হলো বেশ ধারালো, ফিট ও দ্রুতগতি সম্পন্ন। মাঠে বলের পেছনেও বেশ দ্রুত দৌঁড়াচ্ছিল। আমি খুবই খুশি এবং আশা করব যেন আরও এক বা দুটি ম্যাচ হলেও খেলতে পারে। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারেরও ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হতে সময় লাগে।
সারাবাংলা/এমআরএফ/এমআরপি
** বিশ্বকাপে স্পিনাররা বড় ভূমিকা রাখবে: সাকিব