জেদ থেকেই জ্বলে উঠেছেন এস ৭!
২৭ এপ্রিল ২০১৯ ২১:২৫
ঢাকা: সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে প্রথম ম্যাচে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি। গোল করা বা করানোর দাঁয়িত্বের পটু সানজিদার আক্তারের জেদটা সেখান থেকেই। দ্বিতীয় ম্যাচে এসেই সেই জেদটাকে শক্তিতে রূপান্তর করেছেন। ম্যাচের ফল বদলাতে অস্ত্রের মতো কাজে লাগিয়েছেন নিজেকে। তাতেই ফল হাতেনাতে।
দ্বিতীয় ম্যাচে স্বরূপে ফিরলেন লাল-সবুজের এস সেভেন। সাত নম্বর জার্সি পড়ে খেলা সানজিদা আক্তার। ফুটবল সমর্থকরা যাকে নাম দিয়েছেন ‘সি আর সেভেন’।
নিজেতো গোল করলেনই সতীর্থকে দিয়ে করালেন আরেকটি। বাংলাদেশও ২-১ গোল ব্যবধানে জয় নিয়েই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কিরগিজদের সঙ্গে।
ম্যাচের শুরুর প্রথম মিনিটেই সানজিদার গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। গ্যালারিতে তখনও ঠিক মতো ঠাঁই নিয়ে বসতে পারেনি বাংলাদেশের সমর্থকরা। রেফারির বাঁশি সেন্টার থেকে বল পেয়ে ভোঁ দৌড়। ১৮ সেকেন্ডে থ্রো থেকে বল কৃষ্ণার পায়ে। একজনকে বোকা বানিয়ে কিরগিজস্তানের গোল বরাবর শট। গোলরক্ষকের হাত ফসকে বল সিক্স ইয়ার্ডের ভেতরে ফাঁকা জায়গায়। ঠাণ্ডা মাথায় আলতো টোকা ওত পেতে থাকা সানজিদার। মুহূর্তের মধ্যে বল জালে।
প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও সানজিদা-কৃষ্ণা-তহুরা-মৌসুমীদের দাপট লক্ষ্য করা গেছে। কিরগিজদের রক্ষণভাগকে চাপে রাখে স্বাগতিকরা। ৫৯ মিনিটে সানজিদার দুর্দান্ত ড্রিবলিং করে ডি বক্সে ঢুকে বুদ্ধিদীপ্ত ও দুর্দান্ত পাস থেকে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কৃষ্ণা রাণী সরকার।
সঙ্গে ম্যাচ সেরার পুরস্কারটাও বগলদাবা করেছেন সানজিদা। নিজেকে ফিরে পেয়ে কেমন লাগছিল এস সেভেনের, ‘ভালো লাগছে। গোল পেলে ভালো লাগে। তবে, গোল করার থেকে গোল করাতে বেশি ভালো লাগে।’
সানজিদার খেলার ধরনটাও এমন। বল পায়ে দ্রুত দিক পরিবর্তন করতে পারেন। বল পায়ে ড্রিবলিংয়ের প্রতিভা তার সহজাত। সঙ্গে গতি আর ভারসাম্য তো আছেই। সব মিলে কীভাবে ফিরে পেলেন সানজিদা, ‘আগের ম্যাচে সেভাবে ভালো খেলতে পারিনি। তাই ভেতরে জেদ ছিল।’
কাকতালীয় হলেও জেদ থেকে সি আর সেভেনও জ্বলে উঠতেন। নিজেকে নিয়ে গেছেন বিশ্ব সেরাদের কাতারে এই জেদ থেকেই। জেদ থেকে যদি ভালো কিছু হয় তাহলে জেদই ভালো!
সারাবাংলা/জেএইচ
কিরগিজস্তান বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ আন্তর্জাতিক গোল্ড কাপ বাংলাদেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত সানজিদা আক্তার