মাশরাফির শেষ বিশ্বকাপ
২৯ এপ্রিল ২০১৯ ১৪:২৮
অবশেষে নিজের বিদায়ী বিশ্বকাপ প্রশ্নে সরব হলেন টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মুর্তজা। এতদিন বিষয়টি প্রকাশ্যে না বললেও আজ জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে সাফ জানিয়ে দিলেন সম্ভবত নয়, ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে অনুষ্ঠেয় আসন্ন বিশ্বকাপই নিশ্চিতভাবে তার শেষ বিশ্বকাপ। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে এখনই বিদায় নয়, কবে সেটাও নিশ্চিত নয়।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সম্মেলন কক্ষে আয়োজন করা হয়েছিল বিশ্বকাপের সংবাদ সম্মেলন। যেখানে উপস্থিত হয়ে নিজমুখে বিশ্বকাপ থেকে নিজের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে দিলেন এই লাল সবুজের দলপতি, ‘সম্ভবত না। নিশ্চিতভাবেই এটা অবশ্যই আমার শেষ বিশ্বকাপ।’
বৈশ্বিক আসরে নিজের শেষ। নিশ্চয়ই আসরটিকে সামনে রেখে নিজের চাওয়া পাওয়ার হিসেব মেলাতে চাইবেন নড়াইল এক্সপ্রেস। তিনিই তো সেই মাশরাফি যার হাত ধরে এদেশের ক্রিকেটে অনেক প্রথমের সূচনা হয়েছে। বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেমিফাইনাল; ঐতিহাসিক সব ঘটনাই তার দুর্দান্ত নেতৃত্বে ঘটেছে। তাহলে এবারও কী আরেকবার নতুন করে কিছু ঘটতে চলেছে? বিশেষ কোনো চাওয়া কী থাকছে ইংল্যান্ড কন্ডিশনে।
না, তেমন কোনো চাওয়া তার নেই। নেই বললে বোধহয় ভুল হবে। তিনি তৈরি করতে চাচ্ছেন না, পাছে চাপ ঘিরে ধরে। ম্যাশ জানালেন, ‘আলাদা করে চাওয়া তৈরি করার কিছু নাই। আলাদা করে চাওয়া তৈরি করাটাও চাপ। আমার কাছে মনে হয় না আলাদা করে আমি ওখানে কিছু করতে পারব। আমি প্লেয়ার হিসেবে পারফর্ম করার চেষ্টা করবো। অবশ্যই অধিনায়কত্বটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে। অতএব আমার যে দায়িত্বগুলো আছে চেষ্টা করবো ঠিক করে পালন করার।’
গেল এক মাসেরও বেশি সময় বিশ্বকাপের আলোচনায় বারবারই লাল সবুজের ম্যানেজমেন্ট এবং জাতীয় দলের বিভিন্ন ক্রিকেটার জানিয়েছেন, এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ সেমিফাইনালে খেলবে। টাইগার দলপতি মাশরাফিও তাদের কণ্ঠেই কণ্ঠ মেলালেন। তবে যেহেতু এবার গ্রুপ পর্ব নেই সেহেতু কাজটি সহজ হবে না বলেই মত তার।
মাশরাফি যোগ করেন, ‘সেমি ফাইনাল অসম্ভব কিছুই না। তবে অনেক কঠিন। কারণ এর আগের বিশ্বকাপ যে পদ্ধতিতে ছিল সেখানে বড় একটা দলকে হারাতে পারলে তাদের ঘুরে দাঁড়ানোটা কঠিন হয়ে যেত। কারণ সীমিত খেলা ছিল। আর এখানে ৯টা ম্যাচ। যারা প্রত্যাশা করছে সেমিফাইনাল খেলবে তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর অনেক সুযোগ থাকবে। তাই আমাদের ওই জায়গাটাও খেয়াল রাখতে হবে।’
সারাবাংলা/এমআরএফ/এমআরপি
** প্রত্যাবর্তনে আনন্দিত ফরহাদ রেজা