আসিফ-আমিরদের ম্যাচ ফিক্সিং সম্পর্কে জানতেন আফ্রিদি
৫ মে ২০১৯ ১২:৫৬
আফ্রিদির বায়োগ্রাফি ‘গেম চেঞ্জার’ প্রকাশিত হয়েছে কিছুদিন আগেই। আর সেখান থেকে বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর বিতর্কিত সব তথ্য। আফ্রিদি তার বায়োগ্রাফি বইয়ে উল্লেখ করেছেন ২০১০ সালে আসিফ,আমির এবং সালমান বাটের ম্যাচ ফিক্সিং সম্পর্কে আগেই জানতেন।
ক্রিকেটের শুরু থেকে নানা প্রকার বিতর্কের সাথে যুক্ত পাকিস্তানিরা। শৃঙ্খলা ভঙ্গ কিংবা নিষিদ্ধ ড্রাগস নেয়া অথবা স্পট ফিক্সিংয়ের সাথে যুক্ত। আর ম্যাচ ফিক্সিং যেন পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। এসব কিছু কখনোই পিছু ছাড়েনি পাকিস্তান ক্রিকেটকে।
২০১০ সালে ইংল্যান্ডে সিরিজ খেলতে যায় পাকিস্তান ক্রিকেট দল। সে সফরে স্পট ফিক্সিংয়ের সাথে জড়িয়ে পড়ে পেসার আসিফ, আমির এবং অধিনায়ক সালমান বাট। জুয়াড়িদের কথা মত নো বল করেন আসিফ-আমির। আর ম্যাচের মধ্যে ইচ্ছাকৃত ক্যাচ ছেড়ে দেন অধিনায়ক সালমান বাট।
আর এসব কিছুই নজর এড়ায়নি সাহেব জাদা শহীদ আফ্রিদির। তার কাছে সে সম্পর্কে প্রমাণও ছিল। আর তিনি তা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকেও জানিয়েছিলেন। তবে ক্রিকেট বোর্ড তা নিয়ে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি সে সময়।
আর এসব কিছু নিয়ে বেশ দুঃশ্চিন্তা গ্রস্থ হয়ে পড়েন আফ্রিদি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। আর পরবর্তীতে টেস্ট থেকে অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্তও নেন তিনি।
এ সম্পর্কে আফ্রিদি লিখেছেন, ‘হ্যাঁ, স্পট ফিক্সিংয়ের ঘটনা জানার পর আমি টেস্ট থেকে অবসর গ্রহণ করি।’
স্পট ফিক্সিং সম্পর্কে আফ্রিদি খোলাখুলি লিখেছেন কীভাবে তিনি তথ্য প্রমাণ পেয়েছিলেন। আর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে জানানোর পরেও তারা সব কিছু এড়িয়ে গিয়েছিলো যেন এটি তাদের দেখার বিষয়ই না।
সারাবাংলা/এসএস
আসিফ-আমির-সালমান বাট পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড ম্যাচ ফিক্সিং শহীদ আফ্রিদি