বিশ্বকাপে নেই বাংলাদেশি আম্পায়ার; কিন্তু কেন?
৫ মে ২০১৯ ১৮:২৫
কত বিশ্বকাপই তো এলো-গেল। কিন্তু কী দুঃখজনক! বৈশ্বিক এই আসরগুলোতে বাংলাদেশ থেকে কোনো আম্পায়ারকেই দেখা যায়নি। ক্রিকেট খেলুড়ে বিভিন্ন দেশের আম্পায়াররা আইসিসি’র ম্যাচ পরিচালনার সুযোগ পেলেও গৌরবান্বিত সেই সুযোগবঞ্চিত বাংলাদেশের আম্পায়াররা। যে ধারাবাহিকতা বজায় থাকছে ২০১৯ বিশ্বকাপেও।
৩০ মে থেকে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ ক্রিকেটকে সামনে রেখে গত ২৬ এপ্রিল ১৬ জন আম্পায়ার ও ৬ জন ম্যাচ রেফারির তালিকা ঘোষণা করেছে আইসিসি। অনুমিতভাবে সেই তালিকায় নেই বাংলাদেশি কোনো আম্পায়ার!
বাংলাদেশ থেকে একমাত্র আম্পায়ার হিসেবে এনামুল হক মনি ছিলেন ইমার্জিংয়ে। সেই সুবাদে প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে ২০১২ সালে নিউজিল্যান্ড-জিম্বাবুয়ে টেস্টে তার ম্যাচ পরিচালনার সুযোগও মিলেছিল। কিন্তু অজানা এক কারণে পরে ওই তালিকা থেকে বাদ পড়েন সাবেক এই টাইগার ক্রিকেটার।
বিশ্বকাপের মতো আসরে কেন বাংলাদেশ থেকে কোনো আম্পায়ার ডাক পান না? এমন প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে জানা গেছে, হেভিওয়েট এই টুর্নামেন্টগুলোতে এলিট প্যানেল ও ইমার্জিং প্যানেলে থাকা আম্পায়ারদের দায়িত্ব দেয় আইসিসি। যেখানে বাংলাদেশের কোনো আম্পায়ারের নাম নেই। ফলে বিশ্বকাপে বাংলাদেশি আম্পায়ারদের উপস্থিতি দেখা যায় না।
তবে শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকতকে নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি। দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক এই সংস্থাটির আম্পায়ার্স কমিটির ইনচার্জ অভি আব্দুল্লাহ আল নোমান জানালেন, ‘এখন শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত বেশ এগিয়ে আছেন। আশা করি ২-১ বছরের মধ্যে উনি ইমার্জিংয়ে চলে আসবেন। উনি বেশ ভালো করছেন।’
আইসিসির বর্তমান আন্তর্জাতিক প্যানেলে চার বাংলাদেশি আম্পায়ার আছেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে আইসিসির আন্তর্জাতিক প্যানেলে আছেন চার বাংলাদেশি আম্পায়ার। তাদের মধ্যে শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত বেশ এগিয়ে আছেন। উন্নতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে ২-১ বছরের মধ্যে তাকে ইমার্জিং প্যানেলে দেখা যেতে পারে।’
একই প্যানেলে থাকা অন্য তিন আম্পায়ার হলেন; গাজী সোহেল, মাসুদুর রহমান মুকুল ও তানভীর আহমেদ।
অভি আব্দুল্লাহ আল নোমানের ভাষ্য মতে, বিশ্বকাপে আম্পায়ারদের দায়িত্ব পাওয়াটা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। বেশ কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করে তবেই তাদের এই পর্য়ায়ে আসতে হয়। আইসিসির আন্তর্জাতিক প্যানেলে প্রতিটি দেশ থেকেই ৩-৪ জন আম্পায়ার থাকে। সেখান থেকে বাছাই করে আইসিসি। প্রথমে আসবে ইমার্জিংয়ে। ইমার্জিং থেকে আইসিসি পরে এলিটে আনে। এভাবেই বিশ্বকাপ বলেন, আইসিসির টুর্নামেন্ট বলেন, এসব জায়গায় দায়িত্ব পান তারা। এটা একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এমন নয় যে, কেউ হুট করেই একজন বিশ্বকাপ প্যানেলে চলে আসলো।
সারাবাংলা/এমআরএফ/এমআরপি
** আসিফ-আমিরদের ম্যাচ ফিক্সিং সম্পর্কে জানতেন আফ্রিদি