ব্যস্ততার মাঝেও মুম্বাইকে ফিজের শুভেচ্ছা
১৩ মে ২০১৯ ১৪:৪১
আয়ারল্যান্ডে চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজে ব্যস্ত থাকার পরও টাইগার পেসার মোস্তাফিজুর রহমান তার আইপিএলের দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি। গত আসরে আইপিএলে মুম্বাইয়ের নীল জার্সিতে খেলা কাটার মাস্টারের এবারের আসরে খেলা হয়নি। গতবার আইপিএলে খেলে এসে ইনজুরিতে ভুগেছিলেন মোস্তাফিজ।
ফলে, ত্রিদেশীয় সিরিজ আর বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ফিজকে নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে চায়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ফলে, মোস্তাফিজকে আইপিএল খেলার অনুমতিও দেয়নি বিসিবি।
এদিকে, গত রাতে দ্বাদশ আইপিএলের চ্যাম্পিয়ন হয় রোহিত শর্মার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। শেষ বলের রোমাঞ্চে নাটকীয় জয় পায় মুম্বাই। মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসকে ১ রানে হারিয়ে চতুর্থবারের মতো শিরোপা জেতে ফিজের দল মুম্বাই। এর আগে ২০১৩, ২০১৫ আর ২০১৭ সালে শিরোপা জিতেছিল মুম্বাই। আর ২০১০, ২০১১ আসরের পর গত আসরেও চ্যাম্পিয়ন হয় চেন্নাই। টানা দ্বিতীয় এবং চতুর্থবারের মতো শিরোপা নিজেদের ঘরে তোলা হলো না দলটির।
হায়দ্রাবাদের ফাইনালে আগে ব্যাট করে মুম্বাই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৪৯ রান। জবাবে, ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে চেন্নাই তোলে ১৪৮ রান। ১ রানে হেরে যায় চেন্নাই।
মুম্বাইয়ের শিরোপা জেতায় নিজের টুইটারে মোস্তাফিজ দলটিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছেন, ‘বাকরুদ্ধ! চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো কী দারুণ পথ। এটা চরম রোমাঞ্চকর ছিল। জাসপ্রিত বুমরাহ দুর্দান্ত বোলিং করেছে এবং লাসিথ মালিঙ্গা শেষ ওভারে দারুণ বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং করেছে। রোহিত শর্মা এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে আরেকটি শিরোপা জেতার জন্য অভিনন্দন।’
চেন্নাইয়ের জয়ের জন্য শেষ ওভারে দরকার হয় ৯ রান। সহজ হিসেব, কিন্তু তখনও নাটকের বাকি ছিল। শেষ ওভারে বোলিংয়ে আসেন লাসিথ মালিঙ্গা। প্রথম বলে সিঙ্গেল নেন শেন ওয়াটসন। দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল পান রবীন্দ্র জাদেজা। তৃতীয় বলে ডাবল পান ওয়াটসন। চতুর্থ বলে ডাবল নিতে গিয়ে রান আউট হন ৫৯ বলে ৮০ রান করা ওয়াটসন। তার ইনিংসে ছিল ৮টি চার আর চারটি ছক্কার মার। শেষ ২ বলে চেন্নাইয়ের দরকার তখন ৪ রান, স্ট্রাইকিংয়ে নতুন নামা শার্দুল ঠাকুর। মালিঙ্গার পঞ্চম বলে শার্দুল ঠাকুর ডাবল রান নেন। শেষ বলে দরকার হয় ২ রান। শার্দুল ঠাকুর শেষ ডেলিভারিতে এলবির ফাঁদে পড়েন। ১ রানে জয় তুলে নেয় মুম্বাই।
মুম্বাইয়ের ম্যাকক্লেনাঘ্যান ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন। ৪ ওভারে ১৪ রান খরচায় একটি উইকেট তুলে নেন রাহুল চাহার। জাসপ্রিত বুমরাহ ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে পান দুটি উইকেট। ১ ওভারে ৩ রান দিয়ে উইকেট পাননি হারদিক পান্ডিয়া। ক্রুনাল পান্ডিয়া ৩ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে পান একটি উইকেট। লাসিথ মালিঙ্গা ৪ ওভারে ৪৯ রান দিয়ে পান একটি উইকেট।
সারাবাংলা/এমআরপি
** ইংলিশ সাবেক দলপতির চোখে বিশ্বকাপের সেরা চার