ইমার্জিং এশিয়া কাপ নভেম্বরে
২০ মে ২০১৯ ১৯:৫৭
এক বছর বিরতিতে বাংলাদেশে ফিরছে ইমার্জিং এশিয়া কাপ… এটি পুরোনো খবর। নতুন খবর হল আট জাতির অংশগ্রহনের টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হবে চলতি বছরের নভেম্বরে। ১২-২৫ নভেম্বর দেশের ভিন্ন ভিন্ন ভেন্যুতে উদীয়মান ক্রিকেটারদের এই আসরটি বসতে যাচ্ছে। তবে কোন কোন ভেন্যুতে খেলা হবে সেটি এখনো চুড়ান্ত করেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি।
ইমার্জিং এশিয়া কাপের জন্য বাংলাদেশ গঠিত হবে মূলত বিসিবির হাই-পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের খেলোয়াড়দের নিয়ে। টুর্নামেন্টের জন্য ঘোষণা করা হবে ১৫ সদস্যের মূল স্কোয়াড। যেখানে ১১ জনকেই হতে হবে অনূর্ধ্ব-২৩ বছর বয়সী। চারজন ক্রিকেটার রাখা যাবে যাদের বয়স ২৩ উর্ধ্বো। তবে একাদশে ২৩ বছরের বেশি খেলানো যাবে তিনজন। তারা জাতীয় দলের ক্রিকেটারও হতে পারেন।
সোমবার (২০ মে) সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য দিলেন বিসিবির ন্যাশনাল গেম ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার কায়সার আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘আগামী ১২-২৫ নভেম্বর আমাদের দেশে ইমার্জিং এশিয়া কাপ হবে। ওটার জন্য দল তৈরি করা এইচপি’র মাধ্যমে। এইচপি ক্যাম্প নিয়ে আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে যারা সুযোগ পেয়েছেন তাদের টেকনিকে যে সমস্যা আছে বিশেষজ্ঞ কোচদের অধীনে সেটি শুধরে নেয়া, সামনে যে ক্রিকেট মৌসুম আছে সেটির জন্য তৈরি করা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হোক, ঘরোয়া ক্রিকেট হোক, যত খেলা আছে তার জন্য প্রস্তুত করা। এরই ধারাবাহিকতায় সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমাদের অনুশীলন পর্ব চলবে।’
ইমার্জিং কাপ অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে সংস্করণে অর্থাৎ ৫০ ওভারে। টুর্নামেন্টের আট দলের মধ্যে ৫ টেস্ট খেলুড়ে দল বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান খেলবে তাদের অনূর্ধ্ব-২৩ দল নিয়ে। এই দলগুলো জাতীয় দলের খেলোয়াড় খেলাতে পারবে ৩ জন করে। তবে টুর্নামেন্টের অন্য তিন দল আরব আমিরাত, ওমান ও হংকং খেলবে জাতীয় দল নিয়ে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য দীর্ঘ বিরতির পর বাংলাদেশকে স্বাগতিক করে ২০১৭ সালে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) ইমার্জিং এশিয়া কাপ চালু করে। গত বছর টুর্নামেন্টটির যৌথ আয়োজক ছিল শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান। এক বছর বিরতিতে আবারও ফিরছে বাংলাদেশে।
সারাবাংলা/এমআরএফ/এসএস