বিশ্বমঞ্চে নেমেই জিম্বাবুয়ের জায়ান্ট বধ
২৬ মে ২০১৯ ২১:৫৭
বিশ্বকাপ ১৯৮৩, জিম্বাবুয়ে বনাম অস্ট্রেলিয়া (গ্রুপ পর্ব, টেন্টব্রিজ)। বিশ্ব ক্রিকেটে সেই সময়ে সম্পূর্ণ অপরিচিত একটি নাম জিম্বাবুয়ে। সহযোগী দেশ হিসেবে ১৯৮৩ এর বিশ্বকাপে প্রথম খেলতে এসেছিল জিম্বাবুয়ে। আগের বছরই আইসিসি ট্রফি জিতেছে। কিন্তু তাতে কি? শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজ তখন ক্রিকেট বিশ্বের পরাশক্তি। আর ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াও ১৯৮৩ বিশ্বকাপের শক্তিশালী দল।
ডেনিস লিলি, জেফ থমসন, কেপলার ওয়েসেলস, অ্যালান বোর্ডার, জেফ লসন, রডনি হগ, রড মার্শদের অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে তাই স্বাভাবিকভাবেই জিম্বাবুয়েকে দুর্বল দল হিসেবে ভাবা হচ্ছিল। নবাগত জিম্বাবুয়ের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ সেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে জিম্বাবুয়ে ৯৪ রানে ৫ উইকেট হারায়। লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করতে নামা অধিনায়ক ডানকান ফ্লেচারের ৬৯ রান, কুরানের ২৭ রান ও পিটার বুচার্টের ৩৪ রানে দলীয় ২৩৯ রানের সংগ্রহ পায় জিম্বাবুয়ে। ডেনিস লিলি পান ২ উইকেট।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো সূচনা পায় অস্ট্রেলিয়া। ৬১ রান আসে প্রথম জুটিতে। জুটিতে ভাঙন ধরান ফ্লেচার। কেপলার ওয়েসেলস সর্বোচ্চ ৭৬ রান করে রান আউট হয়ে যান। রডনি মার্শ করেন ৫০ রান। কিন্তু বাকিরা আর তেমনভাবে রান করতে না পারলে ৬০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২২৭ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। ফলাফল জিম্বাবুয়ে ১৩ রানে জয়ী।
‘বি’ গ্রুপের এই ম্যাচে ডানকান ফ্লেচার নেন ৪ উইকেট। ম্যান অব দ্য ম্যাচও নির্বাচিত হন তিনি। মূলত এই ম্যাচে হেরে গ্রুপ পর্ব পেরুতে পারেনি অজিরা। এই গ্রুপে থাকা ভারত আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ফাইনালে খেলে। চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। তাতে হ্যাটট্রিক শিরোপা জিততে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
নিজেদের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই জিম্বাবুয়ের অস্ট্রেলিয়াকে হারানো এখন পর্যন্ত বিশ্বের সেরা আপসেট গুলোর মাঝে একটি বলেই বিবেচনা করা হয়।
সারাবাংলা/এসবি/এমআরপি