এক নজরে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা
২৭ মে ২০১৯ ১৯:৩৭
১৯৭৫ এ প্রথম বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হলেও তখন পর্যন্ত বাংলাদেশ আইসিসির সদস্য না হওয়ায় সে বিশ্বকাপে অংশ নেয়ার উপযুক্ত ছিল না বাংলাদেশ। ১৯৭৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আইসিসি ট্রফিতে প্রথম জাতীয় দল হিসেবে অংশ নেয় বাংলাদেশ। সেবার দুই জয় এবং দুই হার নিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয় বাংলাদেশকে।
১৯৭৯ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত চেষ্টা করেও বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে পারেনি লাল-সবুজের দলটি। অবশেষে ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফি জেতার মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ। সাথে পায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) পূর্ণ সদস্য হওয়ার মর্যাদা।
১৯৯৯ এ বিশ্বকাপের সপ্তম আসর থেকে এখন পর্যন্ত সব কয়টি বিশ্বকাপেই খেলেছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের যাত্রা দুই যুগের, ইংল্যান্ডের মাটিতে এবারে ষষ্ঠবারের মতো ক্রিকেটের সবথেকে বড় আসরে খেলবে বাংলাদেশ।
দলীয় রেকর্ড:
পাঁচ বিশ্বকাপের মধ্যে টাইগারদের সেরা সাফল্য আসে ২০০৭ বিশ্বকাপে। সেবার ভারতকে গ্রুপ পর্বে হারিয়ে ‘সুপার এইট’ পর্ব খেলে বাংলাদেশ এবং সেই পর্বে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে তাক লাগিয়ে দেয় বিশ্ববাসীকে। এছাড়া সাফল্য বলতে ২০১৫ সালের আসরে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিল লাল-সবুজরা। অন্য তিন আসর ১৯৯৯, ২০০৩ ও ২০১১ তে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় বাংলাদেশ।
সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ:
২০১৫ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে তামিমের ৯৫ রানের ওপর ভর করে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩২২ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় টাইগাররা। এটিই বিশ্বকাপে টাইগারদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। আর সর্বনিম্ন সংগ্রহ আসে ২০১১ সালে ঘরের মাটিতে। ঢাকার শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাত্র ৫৮ রানে গুটিয়ে যায় সাকিবের দল।
ব্যক্তিগত রেকর্ড:
গত বিশ্বকাপে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের অপরাজিত ১২৮ রানের ইনিংসটা বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। রিয়াদই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান। ২০১৫ বিশ্বকাপেই তিনি নিউজিল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পরপর দুই ম্যাচে দুইটি সেঞ্চুরি করেন।
সেরা বোলিং ফিগারটি শফিউল ইসলামের দখলে। ২০১১ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ২১ রানে ৪ উইকেট নেয়ার স্পেলটা এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা বোলিং পারফরম্যান্স। এছাড়াও মাশরাফি, সাকিব এবং রুবেল এক ম্যাচে ৪ উইকেট শিকার করেছেন।
বাংলাদেশের হয়ে বিশ্বকাপের সব আসর মিলিয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ও উইকেট শিকারির রেকর্ড দুটিই সাকিব আল হাসানের ঝুলিতে। তিন বিশ্বকাপে ২১ ম্যাচ খেলে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার করেছেন ৫৪০ রান এবং নিয়েছেন ২৩টি উইকেট।
উইকেট শিকারের ক্ষেত্রে সাকিবের ঠিক পরের অবস্থানে আছেন মাশরাফি। ১৬ ম্যাচ খেলে মাশরাফি নিয়েছেন ১৮ উইকেট। আর রান সংগ্রাহকের তালিকায় সাকিবের পরের অবস্থানে আছেন মুশফিকুর রহিম। যিনি ২০ ইনিংস ব্যাট করে সংগ্রহ করেছেন ৫১০ রান।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮টি ছয় মেরেছেন মুশফিক। অপরদিকে সর্বোচ্চ ৫৮টি চার হাঁকিয়ে তালিকার শীর্ষে আছেন ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল।
২০১৫ সালে সর্বশেষ আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মুশফিক-রিয়াদের ১৯৩ রানের জুটিটা এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি।
২০১৯ বিশ্বকাপ একটি লম্বা বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে। এই আসরে প্রতিটি দল খেলবে একে অপরের বিপক্ষে। এই বিশ্বকাপ শেষে আগের রেকর্ডগুলো হয়তো ভেঙে যাবে। হবে আরও ভালো কিছু।
সারাবাংলা/টিএম৬/এমআরপি