বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে বিপক্ষে ‘প্রথম’
৩১ মে ২০১৯ ১৩:৩০
১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে খেলে বাংলাদেশ। আর সেখান থেকেই শুরু নতুন এক পথ চলা। মাঝে উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে পাড়ি দিয়েছে অনেকটা পথ।
৩০ মে থেকে ইংল্যান্ড-ওয়ালসে শুরু হয়েছে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯ এর মূল পর্বের খেলা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলতে ২ জুন মাঠে নামবে বাংলাদেশ । ১২তম ক্রিকেট বিশ্বকাপ হবে বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য ষষ্ঠবারের অংশগ্রহণ।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশ খেলতে নামে ১৭ মে ১৯৯৯ সালে। ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডের কাউন্টি গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয় ম্যাচটি। আর সেই ম্যাচ থেকে শুরু করে ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ১৯ মার্চ অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ভারতের বিপক্ষে খেলে নিজেদের শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচ।
আসুন একটু দেখে নেওয়া যাক গত পাঁচ আসরে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কিছু পরিসংখ্যান।
• প্রথম ম্যাচ- ১৭ মে ১৯৯৯।
• প্রতিপক্ষ – নিউজিল্যান্ড।
• মাঠ – ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডের কাউন্টি গ্রাউন্ড
• বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে টস ভাগ্যে হারে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ড টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায়।
• বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ। তিন বল খেলে শূন্য রান করে জিওফ এলটের বলে এলবিডব্লিউ আউট হন তিনি।
• বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম রান সংগ্রহ করেন আকরাম খান। জিওফ এলটের বলে ১ম ওভারের ৫ম বলে ফাইন লেগে বল ঠেলে দিয়ে ১ রান নেন আকরাম।
• বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ২ রান সংগ্রহ করেন মেহরাব হোসেন অপি। জিওফ এলটের করা ম্যাচের প্রথম ওভারের শেষ বল কাভারে বল ঠেলে করে ২ রান সংগ্রহ করেন এই ওপেনার।
• বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম বাউন্ডারি হাঁকান আকরাম খান। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে ডিওন ন্যাসের চতুর্থ বলে বাউন্ডারি হাঁকান বাংলাদেশের পক্ষে ওয়ান ডাউনে খেলতে নামা এই ব্যাটসম্যান। লেগ স্ট্যাম্পের ওপরের ফুলটস বলকে মিড উইকেট অঞ্চল দিয়ে এই শট খেলেন তিনি।
• বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ওয়াইড হিসেবে প্রথম অতিরিক্ত রান পায় জিওফ এলটের কাছ থেকে। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে তার বলটি লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে দিয়ে ওয়াইড হয়। বাংলাদেশের খাতায় যোগ হয় এক রান।
• বিশ্বকাপে বাংলাদেশ প্রথম নো বল খাতে রান পায় জিওফ এলটের বলেই। ম্যাচের নবম ওভারের প্রথম বলে তিনি নো বল করেন।
• বিশ্বকাপে প্রথম ‘লেগ বাই’ হিসেবে বাংলাদেশ প্রথম রান পায় লারসেনের বলে নাইমুর রহমান দুর্জয়ের প্যাডে লেগে বল চলে যায় থার্ড ম্যান অঞ্চলে এবং বাংলাদেশ পায় একটি অতিরিক্ত রান।
• বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম মেইডেন ওভার পায় নিউজিল্যান্ডের ক্রিস কেয়ার্ন্স। বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংসের ১৩তম ওভারে এই মেইডেন ওভার পান এই অলরাউন্ডার। একই সঙ্গে তিনি সেই ওভারের চতুর্থ বলে বোল্ড আউট করেন আমিনুল ইসলাম বুলবুলকেও। এই ক্ষেত্রে এটা বাংলাদেশের বিপক্ষে কোনো দলের প্রথম মেইডেন উইকেটও বলা যায়। সেই সাথে বাংলাদেশের কোন ব্যাটসম্যানকে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো বোল্ড আউট করার কৃতিত্বও গড়েন এই অলরাউন্ডার।
• বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাটিং এ নেমে প্রথম বলেই আউট হন মোহাম্মদ রফিক। দলীয় ৫১ রানের সময় ক্রিস কেয়ার্নসের বলে এলবিডব্লিউ আউট হন তিনি।
• বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম কট এন্ড বোল্ড আউট হন আকরাম খান। ম্যাচের ১৪তম ওভারে আকরাম খান বোলার লারসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন।
• বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বকাপে প্রথম ছক্কা হাঁকান হাসিবুল হোসেন শান্ত। ম্যাচের ৩৬তম ওভারে ক্রিস হ্যারিসের প্রথম বলে বোলারের মাথার ওপর দিয়ে তিনি ছক্কা মারেন।
• বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম বোলিং করেন হাসিবুল হোসেন শান্ত।
• বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হিসেবে নিউজিল্যান্ডের স্কোরবোর্ডের প্রথম রানটি আসে অতিরিক্ত খাত থেকে। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে লেগ সাইডে ওয়াইড দেন হাসিবুল হোসেন শান্ত।
• বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম বাউন্ডারি তুলে নেন নাথান এস্টলে। মনজুরুল ইসলাম মঞ্জুর করা ম্যাচের ২য় ওভারের দ্বিতীয় বলে স্ট্রেইট ড্রাইভে এই বাউন্ডারি হাঁকান এস্টলে।
• বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম উইকেট নেন মনজুরুল ইসলাম মঞ্জু। নিজের প্রথম ম্যাচের ২য় ওভারের চতুর্থ বলে নাথান এস্টলকে আউট করেন তিনি। এক্সট্রা কাভার অঞ্চলে ক্যাচ নেন অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
• বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম মেইডেন ওভার বোলিং করেন হাসিবুল হোসেন শান্ত। নিজের দ্বিতীয় এবং ম্যাচের তৃতীয় ওভারে এই কীর্তি গড়েন তিনি।
• স্পিনার হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বকাপে প্রথম উইকেট নেন মোহাম্মদ রফিক। ম্যাচের ২৪তম ওভার এবং নিজের প্রথম ওভারেই আউট করেন স্টিফেন ফ্লেমিংকে।
• বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে উইকেট রক্ষক হিসেবে প্রথম ডিসমিসালের রেকর্ড খালেদ মাসুদ পাইলটের। ম্যাচের ২৪তম ওভারে মোহাম্মদ রফিকের বলে স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের ক্যাচ ধরে এই রেকর্ড গড়েন।
• বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ছক্কা হাঁকান নিউজিল্যান্ডের টুজ। মোহাম্মদ রফিকের করা ম্যাচের ২৮তম এবং নিজের তৃতীয় ওভারের শেষ বলে লং অনের ওপর দিয়ে এই ছক্কা হাঁকানো হয়।
• বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিপক্ষের কোনো ব্যাটসম্যানকে প্রথম এলবিডব্লিউ আউট করেন নাঈমুর রহমান দুর্জয়। তিনি নিজের করা প্রথম ওভার এবং ম্যাচের ৩০ তম ওভারের পঞ্চম বলে ম্যাথু হর্ণকে আউট করেন।
• বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে প্রথম উইনিং রান করেন ক্রিস কেয়ার্নস। ম্যাচের ৩৩তম ওভারের শেষ বলে হাসিবুল হোসেন শান্তর বলে এই রান নেন তিনি।
• ওহ আরেকটা কথা তো আগেই জানানো হয় নাই। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ৩৭.৪ ওভারে ১১৬ রান করে অল আউট হয়। বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে প্রথম অল আউট করে নিউজিল্যান্ড।
• বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের কাছে হারে ৬ উইকেটে। ৩৩ ওভারে নিউজিল্যান্ড জয়ের জন্যে ১১৭ রান সংগ্রহ করে।
• বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন গেভিন লারসেন। এ ম্যাচে তিনি ১০ ওভারে ১৯ রানের খরচায় তুলে নেন তিন উইকেট।
• বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করেন মেহরাব হোসেন অপি। ১৯৯৯ এর ২১ মে ডাবলিনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ১২৯ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন অপি। ৩৮তম ওভারের তৃতীয় ওভারে ফিল সিমন্সের বলে এক রান নিয়ে তিনি এই অর্ধশতক পূর্ণ করেন তিনি।
• বিশ্বকাপের ম্যাচে ওভারের প্রতিটি বলে রান স্কোর করার কৃতিত্ব মেহরাব হোসেন অপি এবং নাইমুর রহমান দুর্জয়ের। ম্যাচের ৩৫তম ওভারে প্রতিটি বলেই রান তুলে নেন এই দুই ব্যাটসম্যান।
• বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম অর্ধশত রানের জুটি গড়েন মেহরাব হোসেন অপি এবং নাঈমুর রহমান দুর্জয়। দলীয় ৫৫ রানের সময়ে মিনহাজুল আবেদিন নান্নু আউট হওয়ার পরে জুটি গড়েন তারা। ম্যাচের ৩৭তম ওভারে নাইমুর রহমান দুর্জয় দুই রান তুলে নিলে অর্ধশত রান পূর্ণ হয় এ জুটির।
• বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের রিডলি জ্যাকবস। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসের ৩১তম ওভারে মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর শেষ বলে এক রান নিয়ে ৮০ বলে ৫০ রান করেন রিডলি জ্যাকবস।
• বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ফিল্ডারদের প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানকে প্রথমবারের মতন রান আউট করার কৃতিত্ব শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ এবং খালেদ মাসুদ পাইলটের। ৩৩তম ওভারে মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর বোলিংয়ে জিমি অ্যাডামস সিঙ্গেল রান নেয়ার চেষ্টা করেন। শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ ডিরেক্ট থ্রোতে স্ট্যাম্প মিস করলেও মিস করেননি খালেদ মাসুদ পাইলট। বল ধরে স্ট্যাম্প ভাঙ্গেন তিনি। সিদ্ধান্ত পাঠানো হয় টিভি আম্পায়ারের কাছে। এবং সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের পক্ষে যাওয়াতে আউট হন রিডলি জ্যাকবস।
• বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম অর্ধশত রানের জুটি গড়ার কৃতিত্ব ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার রিডলি জ্যাকবস এবং শেরউইন ক্যাম্পবেলের। বাংলাদেশের বিপক্ষে এই দুইজন ৬৭ রানের জুটি গড়েন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসের ১৫ তম ওভারে খালেদ মাহমুদ সুজনের পঞ্চম বলে কাভার ড্রাইভে বাউন্ডারি হাঁকিলে জুটির ৫০ রান পূর্ণ হয়।
• বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ জয় ২৪ মে, ১৯৯৯ এডিনবার্গে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর অপরাজিত ৬৮ রান, নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের ৩৬ এবং ‘মি. এক্সট্রার’ বা অতিরিক্ত ৪৪ রানের ওপর ভর করে ৫০ ওভারে ১৮৫ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে ৪৬.২ ওভারে ১৬৩ রানে অল আউট হয় স্কটল্যান্ড।
• বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। ব্যাট হাতে ৬৮ রান করার পাশাপাশি বোলিংয়েও নেন ১ উইকেট।
• বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম শূন্য রানে আউট হন স্কটল্যান্ডের ওপেনিং ব্যাটসম্যান পিটারসন। হাসিবুল হোসেন শান্ত’র করা প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে এলবিডব্লিউ আউট হন পিটারসন।
• বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম স্ট্যাম্পিং আউট করেন উইকেটরক্ষক খালেদ মাসুদ পাইলট। ২৭মে, ১৯৯৯ সালে চেস্টার লি স্ট্রিটে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে দ্বাদশ ওভারের ৫ম বলে ৬৩ রান করে স্ট্যাম্পিং আউট হন। বোলার ছিলেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।
• বিশ্বকাপে প্রতিপক্ষের কোনো ব্যাটসম্যানকে প্রথম বোল্ড আউট করার কৃতিত্ব বাংলাদেশের এনামুল হক মনির। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে পনেরতম ওভারের প্রথম বলে সুইপ শট খেলতে গিয়ে বোল্ড আউট হন অস্ট্রেলিয়ার ব্রেন্ডন জুলিয়ান।
• বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ ২০০ রান পার করে ৩১মে ১৯৯৯। পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে নর্দাম্পটনের কাউন্টি গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ ম্যাচের ৪৫তম ওভারে ওয়াসিম আকরামের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে খেলে ১ রান নিয়ে দলীয় সংগ্রহ ২০০ তে পৌঁছান মোহাম্মদ রফিক। সেই বলটি নো বল হওয়ার কারণে অতিরিক্ত আরেকটি রান যুক্ত হয় বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে।
• বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম পাঁচ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্বও পাকিস্তানের সাকলাইন মোশতাকের। পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে নর্দাম্পটনের কাউন্টি গ্রাউন্ডে ১০ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন সাকলাইন মোশতাক।
• বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম হ্যাটট্রিক করেন শ্রীলংকার চামিন্দা ভাস। ২০০৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ২য় ম্যাচে তিনি এই কৃতিত্ব গড়েন ম্যাচের প্রথম ওভারেই। ২০০৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। ম্যাচের প্রথম ওভারের ১ম, ২য় ও ৩য় বলে ভাস আউট করেন যথাক্রমে বাংলাদেশের হান্নান সরকার, মোহাম্মদ আশরাফুল এবং এহসানুল হককে।
• বিশ্বকাপে বাংলাদেশ প্রথমবার কোনো প্রতিপক্ষের কাছে দশ উইকেটে হারে ২০০৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ২য় ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ ১২৪ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ২১.১ ওভারে ১২৬ রান করে শ্রীলংকা। ওপেনার আতাপাত্তু ৬৯ রান এবং জয়সুরিয়া ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন। অতিরিক্ত খাত থেকে শ্রীলংকা পায় ২ রান।
• বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশের কোনো ম্যাচ প্রথমবারের মতো পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় ২০০৩ বিশ্বকাপের ৩য় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৪৪ রান সংগ্রহ করে। জবাব দিতে নেমে ৮.১ ওভারে ২ উইকেটে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ৩২ রান। এরপর বৃষ্টি শুরু হলে খেলা আর মাঠে গড়ায়নি এবং ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
• বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো দ্রুততম ৫০ রানের জুটি গড়েন দক্ষিণ আফ্রিকার হার্শেল গিবস এবং গ্যারি কার্স্টেন। ২০০৩ বিশ্বকাপের চতুর্থ ম্যাচে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার এই কৃতিত্ব গড়েন। ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের চতুর্থ বলে বাউন্ডারি হাকিয়ে দলীয় সংগ্রহ ৫০ পার করেন হার্শেল গিবস।
• বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো দ্রুততম শতরানের জুটি গড়েন দক্ষিণ আফ্রিকার হার্শেল গিবস এবং গ্যারি কার্স্টেন। ২০০৩ বিশ্বকাপের চতুর্থ ম্যাচে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার এই কৃতিত্ব গড়েন। ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের দ্বাদশ ওভারের প্রথম বলে দুই রান নিয়ে দলীয় সংগ্রহ ১০০ রান পার করেন হার্শেল গিবস।
• বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব শ্রীলংকার সনাথ জয়সুরিয়ার। ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত ২০০৭ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের তৃতীয় ম্যাচে ৮৭ বলে ১০৯ রানের ইনিংস খেলেন জয়সুরিয়া।
• বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দ্রুততম জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত ২০০৭ বিশ্বকাপে বারমুডার বিপক্ষে। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে বারমুডা ৯ উইকেটে ২১ ওভারে সংগ্রহ করে ৯৪ রান। জবাবে ১৭.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
• বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি করেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০৩ রানের ইনিংস খেলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
• বিশ্বকাপে বাংলাদেশ প্রথম ৩০০ রানের দলীয় মাইলফলক পায় ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে।
• ২০১১ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট নেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ভারতের ব্যাটিং ইনিংসের ২৪তম ওভারের ২য় বলে গৌতম গম্ভীরকে বোল্ড করেন রিয়াদ।
• বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম অধিনায়কত্ব করেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
• বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম কোচের দায়িত্ব পালন করেন গর্ডন গ্রিনিজ।
বাংলাদেশের দর্শকরা বিশ্বকাপের সকল ম্যাচ অনলাইনে কোনো প্রকার সাবস্ক্রিপশন ফি বা চার্জ ছাড়াই দেখতে পারবেন র্যাবিটহোলের ওয়েবসাইট www.rabbitholebd.com এ। এছাড়া র্যাবিটহোলের অ্যাপসেও দেখা যাবে প্রতিটি ম্যাচ। অ্যাপসটি এন্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা ডাউনলোড করতে পারবেন https://goo.gl/UNCWS2 (শুধুমাত্র বাংলাদেশ) এই লিঙ্কে ক্লিক করে। তাছাড়া আইওএস ব্যবহারকারীরা ডাউনলোড করতে পারবেন https://goo.gl/vJjyyL (শুধুমাত্র বাংলাদেশ ) এই লিঙ্কে ক্লিক করে।
সারাবাংলা/এসবি/এসএস
ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯ টাইগার বাংলাদেশ বিশ্বকাপ স্পেশাল স্পোর্টস স্পেশাল