বিশ্বকাপে ব্যাটসম্যানদের আতঙ্ক যারা
৩১ মে ২০১৯ ১৬:০০
বিশ্বের অন্যতম সফল বোলার লাসিথ মালিঙ্গা ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন, এবারের বিশ্বকাপে ব্যবধানটা গড়ে তুলবে বোলাররা। ইংল্যান্ডের ফ্ল্যাট পিচে বেশির ভাগ ম্যাচে রান হয়তো ৩০০ এর ওপরেই থাকবে, তবে ভালো লেংথে বল করতে পারলে ব্যাটসম্যানদের আটকে দেয়া সম্ভব। বিশেষ করে ডেথ ওভার অর্থাৎ ম্যাচের শেষ দশ ওভারে যদি বোলাররা কৃপণ হতে পারেন তাহলে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণেই থাকবে। এই বিশ্বকাপে নজর রাখার মতো কিছু বোলারদের কথা জেনে নেয়া যাক।
১। রশিদ খান: ২০১৫ বিশ্বকাপের পরপরই অভিষেক হওয়া রশিদ খান এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একটা বড় নাম। চার বছরের ক্যারিয়ারে ৫৯ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ১২৫ উইকেট। এছাড়া বিশ্বের মোটামুটি সব কয়টি দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেই দাপটের সাথে খেলার অভিজ্ঞতা আছে তার। এই লেগ স্পিনারের ইকোনমি রেট মাত্র ৩.৯, যা বর্তমান বোলারদের মধ্যে সবথেকে কম। স্পিনারদের ডেথ ওভারে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কাজে না লাগানো হলেও ডেথ ওভারেও সমান পারদর্শী এই আফগান সুপারস্টার। তাই বিশ্বকাপেও ব্যাটসম্যানরা সবথেকে সাবধানে খেলবেন তার ডেলিভারিগুলোই।
২। জাসপ্রিত বুমরাহ: আইসিসি বোলার র্যাংকিংয়ের শীর্ষে থাকা বুমরাহ ডেথ ওভারে সবথেকে কার্যকরী। ভিন্নধর্মী বোলিং অ্যাকশন, স্লোয়ার এবং লাগাতার ইয়োর্কার ছাড়ার সক্ষমতা থাকার কারণে তিনি ব্যাটসম্যানদের জন্য এক আতঙ্কের নাম। মাত্র ৪৯ ম্যাচ খেলে ৮৫ উইকেট নিয়েছেন ৪.৫১ ইকোনমিতে। ভারতের হয়ে শুরুর ও শেষের গুরুত্বপূর্ণ ওভারগুলো করার দায়িত্ব তার কাঁধেই থাকে।
৩। কেগিসো রাবাদা: লুঙ্গি এনগিদি, ডেল স্টেইনদের মতো বোলার থাকলেও দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং রাবাদাকে কেন্দ্র করেই। গতি এবং সুইং এর মিশেলে ডেথ ওভারে দারুণ কার্যকরী ২৪ বছর বয়সী এই তরুণ পেসার। এরই মধ্যে একটি ম্যাচ খেলেছেন বিশ্বকাপে। মাত্র ৬৭ ম্যাচ খেলে ১০৮ উইকেট শিকার করেছেন আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে কিছুটা খরুচে হলেও বর্তমানে ডেথ বোলার হিসেবেই সুনাম ছড়িয়েছেন বেশ।
৪। জোফরা আর্চার: ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে জাতীয় দলের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা মাত্র চার ম্যাচের। এরপরও ২৪ বছর বয়সী এই পেসারকে দলে রাখা হয় তার সাম্প্রতিক ফর্মের কারণে। এ বছর আইপিএলে তাক লাগিয়েছেন। তার প্রশংসায় ক্রিকেট বোদ্ধারা বলেছেন ইংল্যান্ডের তুরুপের তাস হতে যাচ্ছেন আর্চার। ডেথ বোলিংয়েও তাকেই কাজে লাগাবে হয়তো ইংল্যান্ড। এরই মধ্যে উদ্বোধনী ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নেমেছিলেন আর্চার। ৭ ওভারে ২৭ রানের বিনিময়ে তুলে নিয়েছেন তিনটি উইকেট।
৫। মিচেল স্টার্ক: স্টার্ককে নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। ২০১৫ বিশ্বকাপে ২২ উইকেট নিয়ে হয়েছিলেন ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট। এরপর থেকে অবশ্য নিয়মিত ইনজুরিতে ভুগেছেন। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে তার বোলিং দেখে মনে হয়েছে ক্ষিপ্রতা আগের মতোই আছে। সেই সুবাদেই দলে ডাক পেয়েছেন এবারের বিশ্বকাপে। প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা হয়তো প্রার্থণাই করবে যাতে স্টার্ক আগের ফর্মে না ফেরেন।
৬। ট্রেন্ট বোল্ট: গত বিশ্বকাপে মিচেল স্টার্কের পাশে অন্যতম সেরা বোলার ছিলেন নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট। সেই ফর্ম বিশ্বকাপের পর থেকে এখন পর্যন্তও ধরে রেখেছেন তিনি। গত চার বছরে ৫৪ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ১০৭ উইকেট, ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৫.৩০ গড়ে। শেষ ওভারগুলোয় তার সুইং আর ইয়োর্কার প্রচণ্ডই কার্যকরী ব্যাটসম্যানদের পরাস্ত করতে। তাই এই বিশ্বকাপে আরেকবার জ্বলে উঠবেন বলেই আশা করা যায়।
৭। মোস্তাফিজুর রহমান: স্লোয়ার, ইয়োর্কার, সুইং, পেস কি নেই তার বোলিংয়ে! পিচে কাটারের রাজত্ব। ফিজের নাম হয়েছে গেছে কাটার মাস্টার। ইনজুরি তাকে কিছুটা দমিয়ে দিলেও ত্রিদেশীয় সিরিজের মাধ্যমে ফর্ম ফিরে পেয়েছেন বলেই আশা করা যাচ্ছে। আর যদি তাই হয় তবে ব্যাটসম্যানদের জন্য অশনি সংকেত অপেক্ষা করছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর অভিষেক হওয়া এই পেসার এখন পর্যন্ত খেলেছেন ৪৬টি ওডিআই। ৪.৮৮ ইকোনমি রেটে নিয়েছেন ৮৩ উইকেট। বাংলাদেশের হয়ে বোলিংয়ের শুরু এবং শেষটা তাকে দিয়েই করিয়ে থাকেন মাশরাফি। বিশ্বকাপে তার দিকেও বিশেষ নজর রাখতে হবে।
বাংলাদেশের দর্শকরা বিশ্বকাপের সকল ম্যাচ অনলাইনে কোনো প্রকার সাবস্ক্রিপশন ফি বা চার্জ ছাড়াই দেখতে পারবেন র্যাবিটহোলের ওয়েবসাইট www.rabbitholebd.com এ। এছাড়া র্যাবিটহোলের অ্যাপসেও দেখা যাবে প্রতিটি ম্যাচ। অ্যাপসটি এন্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা ডাউনলোড করতে পারবেন https://goo.gl/UNCWS2 (শুধুমাত্র বাংলাদেশ) এই লিঙ্কে ক্লিক করে। তাছাড়া আইওএস ব্যবহারকারীরা ডাউনলোড করতে পারবেন https://goo.gl/vJjyyL (শুধুমাত্র বাংলাদেশ ) এই লিঙ্কে ক্লিক করে।
সারাবাংলা/টিএম৬/এমআরপি
ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯ বিশ্বকাপ স্পেশাল বোলার ব্যাটসম্যান মোস্তাফিজ