বড় জয়ে শুরু উইন্ডিজদের বিশ্বকাপ
৩১ মে ২০১৯ ১৭:৫০
বিশ্বকাপের ১২তম আসরের দ্বিতীয় দিনে গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় পাকিস্তান-উইন্ডিজ। পাকিস্তানকে ১০৫ রানে গুটিয়ে দিয়ে উইন্ডিজ জিতেছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে। ফিফটি করেন ক্রিস গেইল। ক্যারিবীয়ানরা ১৩.৪ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছে।
বিশ্বকাপের প্রথম দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন উইন্ডিজ, আর ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ জিতেছিল ইমরানের খানের পাকিস্তান। দুই দলের অবস্থান আইসিসির প্রকাশিত সবশেষ র্যাংকিংয়ে উইন্ডিজ থেকে দুই ধাপ এগিয়ে আছে পাকিস্তান। ৯৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে আইসিসির ওডিআই র্যাংকিংয়ে ৬ষ্ঠ স্থানে আছে পাকিস্তান আর ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে ৮ম স্থানে উইন্ডিজ।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন উইন্ডিজ দলপতি জেসন হোল্ডার। শুক্রবার (৩১ মে) বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে তিনটায় নটিংহ্যামের ট্রেন্ট ব্রিজে শুরু হয় ম্যাচটি। ২১.৪ ওভারে গুটিয়ে যাওয়ার আগে পাকিস্তান তোলে মাত্র ১০৫ রান।
ব্যাটিংয়ের শুরুটা করেন ইমাম উল হক এবং ফখর জামান। শেলডন কট্রেলের করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারের শেষ বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১১ বলে ২ রান করা ইমাম উল হক। আরেক ওপেনার ফখর জামানকে বিদায় করেন আন্দ্রে রাসেল। ১৬ বলে দুটি চার আর এক ছয়ে ২২ রান করে বোল্ড হন ফখর জামান।
দলীয় ৪৫ রানের মাথায় বিদায় নেন হারিস সোহেল। ব্যক্তিগত ৮ রানে রাসেলের বলে উইকেটের পেছনে শাই হোপের গ্লাভসে ধরা পড়েন সোহেল। ইনিংসের ১৩তম ওভারে ওশানে থমাসের বলে বাবর আজম ক্যাচ তুলে দেন শাই হোপের হাতে। বাবর আজমের ৩৩ বলে ২২ রানের ইনিংসে ছিল ২টি চারের মার। দলীয় ৭৫ রানের মাথায় পাকিস্তানের দলপতি সরফরাজ আহমেদ এবং ৭৭ রানের মাথায় ইমাদ ওয়াসিম বিদায় নেন। ১৭তম ওভারে হোল্ডার ফিরিয়ে দেন সরফরাজ (৮) এবং ইমাদ ওয়াসিমকে (১)।
১৮তম ওভারে ওশানে থমাস ফেরান শাদাব খানকে। ১৯তম ওভারে হাসান আলিকে বিদায় করেন হোল্ডার আর ২০তম ওভারে থমাস ফিরিয়ে দেন ১৬ রান করা মোহাম্মদ হাফিজকে। ২২তম ওভারে শেষ ব্যাটসম্যান হয়ে বিদায় নেন ১১ বলে একটি চার আর দুটি ছক্কায় ১৮ রান করা ওয়াহাব রিয়াজ। বিশ্বকাপের শেষ মুহূর্তে দলে ডাক পাওয়া এই পেসারের ছোটো ইনিংসটি না থাকলে দলীয় শতকের আগেই গুটিয়ে যেত পাকিস্তান। মোহাম্মদ আমির ৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওশানে থমাস ৫.৪ ওভারে ২৭ রানের বিনিময়ে তুলে নেন চারটি উইকেট। দলপতি হোল্ডার ৫ ওভারে ৪২ রানে তুলে নেন তিনটি উইকেট। আন্দ্রে রাসেল ৩ ওভারে ৪ রান খরচায় পান দুটি উইকেট। একটি উইকেট নেন ৪ ওভারে ১৮ রান খরচ করা শেলডন কট্রেল।
১০৬ রানের মাথায় ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৩৬ রানের মাথায় বিদায় নেন উইন্ডিজ ওপেনার শাই হোপ। মোহাম্মদ আমিরের বলে মোহাম্মদ হাফিজের তালুবন্দি হয়ে ফেরেন ১৭ বলে ১১ রান করা শাই হোপ। দলীয় ৪৬ রানে আউট হন ড্যারেন ব্রাভো। এবারো শিকারি আমির। সপ্তম ওভারে আমিরের লাফিয়ে উঠা বলে খোঁচা দিলে স্লিপে বাবর আজমের হাতে ধরা পড়েন ০ রান করা ব্রাভো। দলীয় ৭৭ রানের মাথায় বিদায় নেন ওপেনার ক্রিস গেইল। আমিরের তৃতীয় শিকারে বিদায় নেওয়ার আগে ৩৩ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন গেইল। ৬টি চার আর তিনটি ছক্কায় ৩৪ বলে গেইল করেন ৫০ রান। শিমরন হেটমেয়ার ৭ রানে অপরাজিত থাকেন। নিকোলাস পুরান ১৯ বলে চারটি চার আর দুটি ছক্কায় ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
শেষ ১৯৭৯ সালে কিংবদন্তি অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েডের হাত ধরে জোড়া শিরোপা জিতেছিল উইন্ডিজ দল। তবে এরপরে আর শিরোপার স্বাদ উপভোগ করতে পারেনি ক্যারিবীয়রা। অন্যদিকে ১৯৯২ সালে আর এক কিংবদন্তি ক্রিকেটার ইমরানের খানের নেতৃত্বে প্রথম এবং শেষবারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তোলে পাকিস্তান।
পাকিস্তান একাদশ: ইমাম উল হক, ফখর জামান, বাবর আজম, হারিস সোহেল, সরফরাজ আহেমদ, মোহাম্মদ হাফিজ, ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খান, মোহাম্মদ আমির, হাসান আলী, ওহাব রিয়াজ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ: ক্রিস গেইল, শাই হোপ, ড্যারেন ব্রাভো, শিমরন হেটমেয়ার, নিকোলাস পুরান, আন্দ্রে রাসেল, জেসন হোল্ডার, কার্লোস ব্রাথওয়েট, অ্যাশলে নার্স, শেলডন কট্রেল, ওশানে থমাস।
বাংলাদেশের দর্শকরা বিশ্বকাপের সকল ম্যাচ অনলাইনে কোনো প্রকার সাবস্ক্রিপশন ফি বা চার্জ ছাড়াই দেখতে পারবেন র্যাবিটহোলের ওয়েবসাইট www.rabbitholebd.com এ। এছাড়া র্যাবিটহোলের অ্যাপসেও দেখা যাবে প্রতিটি ম্যাচ। অ্যাপসটি এন্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা ডাউনলোড করতে পারবেন https://goo.gl/UNCWS2 (শুধুমাত্র বাংলাদেশ) এই লিঙ্কে ক্লিক করে। তাছাড়া আইওএস ব্যবহারকারীরা ডাউনলোড করতে পারবেন https://goo.gl/vJjyyL (শুধুমাত্র বাংলাদেশ ) এই লিঙ্কে ক্লিক করে।
সারাবাংলা/এমআরপি/আইই