থাই ক্লাবকে উড়িয়ে শেষ হলো বাংলাদেশের প্রস্তুতি
১ জুন ২০১৯ ২০:১৮
বিশ্বকাপ প্রাক-বাছাইপর্বে লাওসের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে নিজেদের সেরা ফর্মেই ফিরেছে বাংলাদেশ। থাইল্যান্ড ক্যাম্পে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে ড্রয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে বড় জয় পেয়েছে জামাল ভূঁইয়ারা। শনিবার (১ জুন) দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে থাই লিগের দ্বিতীয় স্তরের ক্লাব ব্যাংকক গ্লাস পাথুম ইউনাইটেডকে ৩-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। বিকাল পাঁচটায় (বাংলাদেশ সময়) শুরু হয়েছিল ম্যাচটি।
এতে লাওস ম্যাচের আগে বড় বুস্টআপ হয়ে গেল লাল-সবুজদের। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এখন ভিয়েনতিয়েনের পথে রওনা হবে জেমি ডে’র শিষ্যরা।
এদিকে প্রায় দুই মাস আগে থেকেই বিশ্বকাপ প্রাক বাছাইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে লাওস। মাঝে নিজেদের যোগ্যতা বিচারে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচও খেলে ফেলেছে তারা। ম্যাচে এক গোলে পিছিয়ে থেকে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে লঙ্কান বধ করেছে লাওস দল। ঠিক এমন মুহূর্তে বাংলাদেশ তাদের শেষ পরীক্ষাটাও ভালোভাবে উতরে গেছে।
ব্যাংকক গ্লাস পাথুম ইউনাইটেডের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছেন বসুন্ধরা কিংসের তৌহিদুল আলম সবুজ। বাকি গোলটি করেন আরামবাগের উদীয়মান ফুটবলার আরিফুর রহমান। দুটি গোলে বল যোগান দিয়েছেন বিপলু আহমেদ। বিপলু প্রথম প্রস্তুতি দলের একমাত্র গোলটি করেছিলেন।
এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে থাইল্যান্ডে ১০ দিনের বিশেষ ক্যাম্প শেষ হচ্ছে বাংলাদেশের। এই ক্যাম্প মূলত বিশ্বকাপ প্রাক-বাছাইপর্বের ম্যাচ লাওসকে ঘিরে। ৫ জুন লাওসের মাটিতে খেলবে বাংলাদেশ। ১১ জুন লাওসকে আতিথ্য জানাবে লাল-সবুজরা।
এ ম্যাচকে ঘিরেই যত পরিকল্পনা দু’দলের। সেই পরিকল্পনার একটা অংশ হলো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা। থাইল্যান্ডের দুটি ক্লাবের সঙ্গে ম্যাচের লক্ষ্য নিয়ে যায় বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ছিল নিজেদের লেভেলটা বোঝাপড়ার লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে প্রথম ম্যাচে ১-১ ব্যবধানে ড্র করে দ্বিতীয় মাচে ব্যাংকক গ্লাস পাথুম ইউনাইটেডকে উড়িয়ে প্রস্তুতিটা দুর্দান্তভাবেই শেষ করেছে লাল-সবুজরা।
৩ জুন থাইল্যান্ড থেকে লাওসের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে লাল-সবুজরা।
বাংলাদেশের চূড়ান্ত দল:
গোলরক্ষক: আশরাফুল ইসলাম রানা, আনিসুর রহমান জিকো ও মাজহারুল ইসলাম।
রক্ষণভাগ: টুটুল হোসেন বাদশা, সুশান্ত ত্রিপুরা, বিশ্বনাথ ঘোষ, ইয়াসিন খান, রহমত মিয়া, রিয়াদুল হাসান, নাসিরউদ্দিন চৌধুরী।
মাঝমাঠ: ইমন মাহমুদ, সোহেল রানা (আবাহনী), জামাল ভূঁইয়া, রবিউল হাসান, মাসুক মিয়া জনি, মামুনুল ইসলাম মামুন ও রাকিব হোসেন।
আক্রমণভাগ: নবীব নেওয়াজ জীবন, মাহবুবুর রহমান সুফিল, মতিন মিয়া, তৌহিদুল আলম সবুজ, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, বিপলু আহমেদ ও আরিফুর রহমান।
সারাবাংলা/জেএইচ/এমআরপি