টানা চতুর্থ বিশ্বকাপের আগে সাকিব-তামিম-মুশফিকরা
২ জুন ২০১৯ ১৩:২৮
এবারের বিশ্বকাপটি নিজের চতুর্থ বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে মিস্টার ডিপেন্ডেবল খ্যাত মুশফিকুর রহিমের। মুশফিকের মতো দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালও খেলতে যাচ্ছেন তার ক্যারিয়ারের চতুর্থ বিশ্বকাপ। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান টানা চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলতে নামবেন। সাকিব অবশ্য বিরল এক রেকর্ড গড়েই মাঠে নামতে যাচ্ছেন। ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম কোনো খেলোয়াড় হিসেবে টানা তৃতীয় বিশ্বকাপে এক নম্বর অলরাউন্ডার হিসেবে খেলতে নামবেন।
মুশফিক-তামিম-সাকিব টানা চতুর্থ বিশ্বকাপ খেললেও মাশরাফির ক্ষেত্রটি একটু ভিন্ন। তিনিও খেলবেন চতুর্থ বিশ্বকাপ, তবে টানা চতুর্থ নয়। তামিম-সাকিব-মুশফিকের আগেই একটি বিশ্বকাপ খেলেছেন ম্যাশ। তবে, দেশের মাটিতে ২০১১ সালে ইনজুরির কারণে খেলা হয়নি নড়াইল এক্সপ্রেসের।
এদিকে, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ খেলবেন নিজের তৃতীয় বিশ্বকাপ। সৌম্য সরকার গত বিশ্বকাপে খেলেছেন। এবার তিনি খেলবেন টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। ৫০ ওভারের ফরম্যাটে বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানো সৌম্য আছেন দুর্দান্ত ছন্দে।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মাত্র ২টি সেঞ্চুরি আছে। দুটিই হয়েছে গত বিশ্বকাপে, দুটিই করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ রান করার রেকর্ডটিও মাহমুদউল্লাহর। ২০১৫ বিশ্বকাপে মোট ৩৬৫ রান করেছিলেন তিনি।
তবে সর্বোচ্চ ৫টি হাফসেঞ্চুরি করেছেন সাকিব। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মেরেছেন মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব। দুইজনই ৬টি করে ছক্কা মেরেছেন। এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মেরেছেন মাহমুদউল্লাহ। ২০১৫ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩টি ছক্কা মেরেছিলেন তিনি। এছাড়া, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৫ বিশ্বকাপে অপরাজিত ১২৮ রান করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। এখন পর্যন্ত এটাই বাংলাদেশের হয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ইনিংস।
বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি বোলারই পাঁচ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করতে পারেননি। ২০১১ বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২১ রানের খরচায় ৪ উইকেট নিয়েছিলেন পেসার শফিউল ইসলাম। যেটা এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা। আর এক আসরে সর্বাধিক উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকের। ২০০৭ বিশ্বকাপে ১৩ উইকেট নিয়েছিলেন এই বাঁহাতি স্পিনার। যিনি এবার ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসির কলামিস্ট হিসেবে ইংল্যান্ডে পুরো বিশ্বকাপেই থাকবেন।
বাংলাদেশের হয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ডিসমিসালের মালিক মুশফিকুর রহিম। তিনটি বিশ্বকাপ খেলে মোট ১৮টি ডিসমিসাল করেছেন তিনি। উইকেটের পেছনে টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থাভাজন মুশফিক বাংলাদেশের হয়ে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ডিসমিসালের মালিক। ২০১৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪টি ডিসমিসাল করেছিলেন এই উইকেটরক্ষক। আর ২০১৫ বিশ্বকাপে ৮টি ডিসমিসাল করেন মুশফিক, যা এক আসরে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ নিয়েছেন তামিম ইকবাল। তিনটি বিশ্বকাপ খেলে মোট ৯টি ক্যাচ নিয়েছেন দেশসেরা এই ফিল্ডার। ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে এক ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৪টি ক্যাচ নিয়েছেন সৌম্য সরকার।
বাংলাদেশের দর্শকরা বিশ্বকাপের সকল ম্যাচ অনলাইনে কোনো প্রকার সাবস্ক্রিপশন ফি বা চার্জ ছাড়াই দেখতে পারবেন র্যাবিটহোলের ওয়েবসাইট www.rabbitholebd.com এ। এছাড়া র্যাবিটহোলের অ্যাপসেও দেখা যাবে প্রতিটি ম্যাচ। অ্যাপসটি এন্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা ডাউনলোড করতে পারবেন https://goo.gl/UNCWS2 (শুধুমাত্র বাংলাদেশ) এই লিঙ্কে ক্লিক করে। তাছাড়া আইওএস ব্যবহারকারীরা ডাউনলোড করতে পারবেন https://goo.gl/vJjyyL (শুধুমাত্র বাংলাদেশ ) এই লিঙ্কে ক্লিক করে।
সারাবাংলা/এমআরপি
ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯ তামিম বিশ্বকাপ স্পেশাল মুশফিক র্যাবিটহোল সাকিব