Saturday 12 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৪৭ বছরেও একটা জিম হলো না হকিতে?


৩১ জানুয়ারি ২০১৮ ১৯:৪৩
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জাহিদ-ই-হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রতিষ্ঠার প্রায় অর্ধ শতাব্দী কেটে গেছে। বিশ্বব্যাপী হকি যেখানে তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে থমকে আছে দেশের হকি। পিছিয়ে যাচ্ছে বললেও খুব একটা ভুল হবে না। কার্যত হকিতে চলছে ঢাল-তলোয়াড়হীন যুদ্ধে যাওয়ার প্রচেষ্টা!

বাংলাদের হকি ফেডারেশনের জন্ম হয়েছে সেই ১৯৭১ সালে। দুই বছর পর আন্তর্জাতিক ও ১৯৭৫ সালে এশিয়ান হকি ফেডারেশনের সদস্য পদ লাভ করে। দেখতে দেখতে কেটে গেছে দেশের হকির ৪৬ বছর। এখনও একটি স্থায়ী জিমনেসিয়াম হয়নি ফেডারেশনের। অনেকটা যাযাবরের মতোই অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে খেলোয়াড়দের।

তবে, মাঝে একটা অস্থায়ী জিমের ব্যবস্থা করেছিল ফেডারেশন। তারপর এশিয়া কাপ গেল। সামনে ওমানে এশিয়ান গেমসের বাছাইপর্বে অংশ নিতে যাচ্ছে জিমি-আশরাফুলরা। ২৮ জনের প্রাথমিক দল নিয়ে চলছে আবাসিক ক্যাম্প। দুই-বেলা মাঠেই ঘাম ঝড়াচ্ছে খেলোয়াড়রা।

বিজ্ঞাপন

তার বাইরে জিমের জন্য দ্বারস্থ হতে হয় পূর্বানী হোটেলে। অনেক সময় নষ্ট হয় সেখানে। খেলোয়াড়দের বিরতি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। একটি স্থায়ী জিমের দরকার মনে করেন দলের কোচ মাহবুব হারুন, ‘খেলোয়াড়দের জন্য স্থায়ী জিম হলে ভালো হয়। এখন জিমের জন্য ছেলেদের পূর্বানীতে যেতে হয়। বিকেএসপিতে থাকলেও সুবিধা হতো। সুইমিং-জিম করে রেস্ট নেয়ার সুযোগ থাকতো।’

জিম না থাকার আক্ষেপ দলের অধিনায়ক মাহমুদ রাসেল জিমির, ‘হকি এখন অনেক বেশি পাওয়ার ভিত্তিক হয়েছে। জিম থাকলে আমরা অনুশীলনের পাশাপাশি অনেকগুলো কাজ করতে পারতাম। হাত-পায়ের শক্তি বাড়াতে জিমের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি।’

তবে, ফেডারেশন আপতকালীন একটি অস্থায়ী জিমের ব্যবস্থা করছে। বাংলাদেশ রোলার স্কেটিং ফেডারেশনে জিমের কাজ চালিয়ে নেয়ার জন্য চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন (বাহফে)। দু’য়েকদিনের মধ্যে সেখানেই হয়তো জিমে অংশ নেবেন জিমিরা।

তবে, হকির এতো বড় একটি স্টেডিয়াম আছে। মাওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামের চারপাশে অনেক জায়গাও আছে। বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব বা দক্ষিণ-পশ্চিমে বেশ খোলা জায়গাও রয়েছে। সেখানে চাইলেই একটি স্থায়ী জিম স্থাপনা করতে পারে বাহফে।

তবে স্থায়ী জিমের জন্য সেই তহবিল নেই ফেডারেশনের। সেজন্য পৃষ্ঠপোষক এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন জিমি, ‘জিমে কয়েকটি ইন্সট্রুমেন্ট দরকার। সেটার জন্য খুব বেশি ব্যয়ও হবে না। কোনো পৃষ্ঠপোষক এগিয়ে আসলে খেলোয়াড়রা জিমে অংশ নিতে পারে।’

দেশের ক্রীড়ার সাফল্যের জন্য অনেক পৃষ্ঠপোষকই কাজ করছে। তাদের কেউ জিম অবকাঠামো নির্মাণ করে দেশের বেহাল হকিকে অন্তত একটু এগিয়ে দিতেই পারে।

সারাবাংলা/জেএইচ/এমআরপি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর